কয়েক মাস আগেও উঠতি ভারতীয় তারকাদের মুখ ধরা হত তাঁকে। বলা হচ্ছিল তিনিই ভারতের পেস আক্রমণের অন্যতম অস্ত্র হতে চলেছেন। নিয়মিত ১৫০ প্লাস গতিতে বল করে বুকে কাঁপুনি ধরাতেন উমরান মালিক। তবে জম্মুর সেই পেস সেনসেশনই আপাতত জাতীয় দলের বৃত্তের থেকে বহু দূরে সরে গেলেন। নির্বাচক বা টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনাতেও নেই উমরান মালিক।
বৃহস্পতিবার একসঙ্গে চার-চারটে দলের ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরগামী দলের জন্য তিন ফরম্যাটে- টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-২০'তে আলাদা আলাদা স্কোয়াড যেমন ঘোষণা করা হয়েছে, তেমন প্রোটিয়াজ সফরের জন্য এ দলও চূড়ান্ত করে ফেলেছেন নির্বাচকরা। তবে হঠাৎ করেই চার ধরনের স্কোয়াড থেকেই বাইরে রাখা হয়েছে উমরানকে। সিনিয়র দল তো বটেই এমনকি এ দলেও জায়গা পাননি স্পিডস্টার।
ঘোষিত দলে টি-২০’তে নেতা করা হয়েছে সূর্যকুমার যাদবকে। ওয়ানডের নেতা করা হল কেএল রাহুলকে। ওয়ানডে থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে রোহিতকে। তাঁর অনুপস্থিতিতেই নেতৃত্বের দায়িত্ব সামলাবেন রাহুল। টেস্টেও যথারীতি নেতা হচ্ছেন রোহিত।
এতেই রীতিমত ক্ষুব্ধ ইরফান পাঠান। বৃহস্পতিবার দল ঘোষণার পরেই ইরফান পাঠান রীতিমত টুইট করে উষ্মা প্রকাশ করে জানিয়ে দেন, "কয়েক মাস আগেও যে ছেলেটা ভারতের প্ৰথম একাদশের খেলত, সে এ দলে জায়গা পেতে পারত, এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।"
২০২২-এ আইপিএলে ঝড় তুলে দিয়েছিল উমরানের বোলিং। টি নটরাজনের পরিবর্তে খেলতে নেমে স্রেফ গতি দিয়ে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের। বিরাট কোহলিও উমরানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছিলেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে সেই সিজনে ২২ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। পরের সিজনে মেগা নিলামের আগে হায়দরাবাদ রিটেন করেছিল উমরানকে।
আইপিএলে মারকাটারি পারফরম্যান্সের পর জাতীয় দলের জন্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি তারকাকে। গত বছরের জুন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই জায়গা করে নেন তিনি। তারপর থেকে টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে ৮ টি২০ এবং ১০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন আইপিএলে সুপারস্টার বনে যাওয়া তারকা। চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে শেষবার খেলেছেন তিনি। তবে আপাতত তিনি যে জাতীয় দলের রাডারের বাইরে, তা বৃহস্পতিবারের নির্বাচন থেকেই স্পষ্ট।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারতের এ দল:
সাই সুদর্শন, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, দেবদূত পাড়িক্কল, প্রদোষ রঞ্জন পাল, সরফরাজ খান, কেএস ভরত, ধ্রুব জুড়েল, শার্দূল ঠাকুর, পুলকিত নারং, সৌরভ কুমার, মানব সুতার, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, আকাশদীপ, বিদ্যার্থ কেভারপা, তুষার দেশপান্ডে