অভিষেকের অভিজ্ঞতা মোটেই সুখের হয়নি। মহম্মদ শামির জায়গায় খেলতে নেমেছিলেন সেঞ্চুরিয়নে প্ৰথম টেস্টে। আর নেমেই হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছেন। কার্যত খলনায়ক হিসাবে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ২০ ওভারে ওয়ানডের মেজাজে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ বিলিয়ে দিয়েছেন ৯৩ রান। তাঁর বোলিং যে ভারতের প্ৰথম টেস্টে ভরাডুবির অন্যতম কারণ, সেই বিষয়ে সন্দেহ নেই।
আর তাঁকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশীয় ক্রিকেট মহলে। সঞ্জয় মঞ্জরেকর যেমন বলেই দিয়েছেন, কোহলি-শাস্ত্রীদের জমানা হলে টিম ইন্ডিয়ায় আর সুযোগ-ই পেতেন না কৃষ্ণ। জাতীয় দলের হয়ে খেলা এক প্রাক্তন পেসার সংবাদ সংস্থাকে আবার বলে দিয়েছেন, প্রসিদ্ধ বোলিংটাই ঠিক মত জানেন না।
সেঞ্চুরিয়নের বাউন্সি পিচে ফারাক গড়ে দেবে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের উচ্চতার হিট দ্য ডেক ডেলিভারি। তবে তা হয়নি। ডিন এলগার কার্যত ধুয়েমুছে সাফ করেছেন ভারতের তরুণ পেস সেনসেশনকে। আর সেঞ্চুরিয়নের পারফরম্যান্স দেখার পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় দলের প্রাক্তন পেসার জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্পেলে কীভাবে বোলিং করতে হয়, সেই সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই প্রসিদ্ধের।
সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেছেন, "বেচারা প্রসিদ্ধ। ও এখনও টেস্ট ক্রিকেটের জন্য তৈরিই নয়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্পেলে বোলিং করার কত স্কিল-ই নেই ওঁর। হিট দ্য ডেক-এ বল পিচ করার দক্ষতা দেখে ওঁকে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট হয়ত ভুলে গিয়েছে, ও ঠিকঠাক কবে রঞ্জি মরশুম পুরোটা খেলেছিল! স্রেফ একটা ইন্ডিয়া-এ ম্যাচ-ই যথেষ্ট নয়।"
স্রেফ মহম্মদ শামির একটা চোট ভারতের পেস বিভাগের বেঞ্চ স্ট্রেন্থের দুর্বলতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। সেই প্রাক্তন ক্রিকেটার জানাচ্ছেন, মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, ইশান্ত শর্মাদের নতুন প্রজন্মের কোনও পেসার তাঁকে এতটা আলোড়িত করেন না। ভারতের পেস বোলিংয়ের ভবিষ্যত নিয়েও সন্দিহান তিনি।
"বুমরা, শামি, ইশান্ত, সিরাজরা যেভাবে উত্তেজনা, আত্মবিশ্বাস আমদানি করে, নতুনদের কেউ সেরকম দেখাতে পারছে না। আবেশ খান প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের মতই বোলার। তবে লাল বলের ক্রিকেট অনেক খেলে। তাই ও হয়ত কৃষ্ণের থেকে ভালো লাইন লেন্থে বোলিং করতে সক্ষম হবে। নভদীপ সাইনি ছয় বছর ধরে ইন্ডিয়া-এ দলে খেলে যাচ্ছে। এতেই ভারতের বোলিংয়ের কন্ডিশন বোঝা যাচ্ছে।"