অভিষেক ম্যাচেই দেশকে লজ্জায় মুড়ে দিয়েছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। টেস্টে মহম্মদ শামির জায়গায় অভিষেক ঘটিয়েছিলেন। তাও আবার দেশের পাটা পিচে নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার পেস-বাউন্স সহায়ক পিচে নজর কাড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে ভারত মাত্র তিনদিনে হারতেই নিশানায় উঠে এসেছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।
সেঞ্চুরিয়নে প্ৰথম ইনিংসে কেএল রাহুলের সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাটের চোয়াল চাপা ইনিংস এবং বোলিংয়ে জসপ্রীত বুমরা বাদে কেউই নজর কাড়তে পারেননি। তা স্বত্ত্বেও আলাদা করে খলনায়ক ধরে নেওয়া হচ্ছে প্রসিদ্ধকে। কেন? তিনি ২০ ওভার বল করে ৯৩ রান দিয়েছেন। ওভার পিছু প্রায় পাঁচের কাছাকাছি রান বিলিয়েছেন, তাও সেঞ্চুরিয়নে। যে বিষয়টি মোটেই হজম হচ্ছে না ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। রোহিত ম্যাচের পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে রাগে গড়গড় করতে করতে বলে দিয়েছিলেন, "এটা মোটেই ৪৫০ রানের পিচ ছিল না। আমরা অনেক রান উপহার দিয়েছি। এটা অবশ্য হয়েই থাকে। একজন বোলারের (বুমরার) ওপর নির্ভর করে টেস্ট খেলা যায় না। বাকিদেরও নিজস্ব ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রতিপক্ষ দলের থেকে এই বিষয়ে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।”
"বুমরা দারুণ বল করেছে। ওঁকে স্রেফ অন্য প্রান্ত থেকে সাহায্যের।প্রয়োজন ছিল। যেটা ও পায়নি। ওঁরা চেষ্টা করেছে। তবে সফল হয়নি।"
রোহিত দলের নবাগত পেসারকে ডিফেন্ড করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন সাংবাদিক সম্মেলনে। তবে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ আপাতত ক্রিকেট মহলে জাতীয় ভিলেন পর্যবসিত হয়েছেন।
সঞ্জয় মঞ্জরেকর যেমন ইএসপিএন ক্রিকইনফো-কে বিস্ফোরকভাবে বলে দিয়েছেন, "দ্বিতীয় টেস্টে মুকেশ কুমার যদি খেলে, মনে হয়না খুব বেশি সমর্থক অখুশি হবেন। তবে নেটে ও কেমন বোলিং করছে সেদিকে টিম ম্যানেজমেন্টের নজর থাকবে। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ সুযোগ পেলে সেটা ওঁর প্রতি ন্যায্য হবে। কারণ বর্তমান টিম ম্যানেজমেন্ট সকলকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়ায় বিশ্বাসী। তবে আগের টিম ম্যানেজমেন্ট অনেক বেশি নির্মম ছিল। রবি শাস্ত্রী-বিরাট কোহলি এই নির্মমতাই ভালোবাসতেন।"
এরপরেই জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা বলে দিয়েছেন, প্রসিদ্ধের আরও একটা সুযোগ প্রাপ্য। সেটা আসন্ন কেপ টাউন টেস্ট না হলেও। দ্রাবিড় মোটেই পর্যাপ্ত সুযোগ না দিয়ে বাদ দেওয়ায় বিশ্বাসী নন। "ওঁকে (প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ) দ্রাবিড়রা আরও একটা ম্যাচ খেলাতে পারেন। তবে সেটা এই সিরিজেই হয়ত নয়। দু ম্যাচের সিরিজ হওয়ায় দ্বিতীয় টেস্টে ওঁর সুযোগ পাওয়ার সম্ভবনা কম।"
শার্দূল ঠাকুরের পারফরম্যান্স নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কেন মুম্বইয়ের অলরাউন্ডারকে বয়ে বেড়ানো হচ্ছে, সেই প্রশ্নের জবাব-ও দিয়েছেন মঞ্জরেকর। বলেছেন, "শার্দূলকে খেলানো হচ্ছে, কারণ ও ব্যাট করতে পারে। কারণ বরাবর-ই বিদেশের মাটিতে ভারত ব্যাটিং নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকে। সেই কারণেই বিদেশের কন্ডিশনে শার্দূলকে খেলানো হয়। ও বারবার প্ৰথম একাদশে জায়গা করে নেয়।"