চোট আঘাতে জর্জরিত টিম ইন্ডিয়া। একের পর এক তারকা চোটের শিকার হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, টুর্নামেন্টে খেলতে পারছেন না। সেই 'ট্র্যাডিশন' রয়েই গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ট্যুরেও। মহম্মদ শামি হাঁটুর চোটে ছিটকে গিয়েছেন পুরো সফর থেকেই। আর তাতেই বেআব্রু হয়ে গিয়েছে ভারতের বোলিং দৈন্যতা। রবীন্দ্র জাদেজা পিঠের স্প্যাজমের জন্য নামতেই পারেননি সেঞ্চুরিয়নে প্ৰথম টেস্টে।
হার্দিক পান্ডিয়া, সূর্যকুমার যাদব দুজনেই গোড়ালির চোটে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় দলের বাইরে। এমন আবহেই এবার দুশ্চিন্তায় ফেলার মত আপডেট টিম ইন্ডিয়া শিবিরে। ৩ জানুয়ারি কেপটাউনে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট। সেই ম্যাচে নামার ৭২ ঘন্টা আগের বড় দুঃসংবাদ আছড়ে ফেলল টিম ইন্ডিয়াকে। শার্দূল ঠাকুর নেট অনুশীলনে ব্যাটিং করার সময় কাঁধে চোট পান। দ্বিতীয় টেস্টে এরপরেই তাঁর নামা নিয়ে সংশয় শুরু হয়ে যায়।
আপাতত স্ক্যানের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে শার্দূলের কেপটাউনে খেলতে নামার বিষয়টি। থ্রো ডাউন নেটে প্ৰথম তারকা হিসাবে ব্যাট করতে নেমেছিলেন শার্দূল। ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ থ্রো ডাউন করছিলেন। তবে নেট অনুশীলনের ১৫ মিনিটের মাথায় শার্দূলে থ্রো ডাউন করছিলেন ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর। কোচের এক ছুঁড়ে আসা লেন্থ ডেলিভারি আছড়ে পড়ে তাঁর কাঁধে। এরপরেই অস্বস্তি নিয়েই ব্যাটিং চালিয়ে যান তিনি। ব্যাটিং পর্ব শেষ হলে ফিজিওর তরফে বরফ ঘঁষে দিতে দেখা যায়। এর পরে আর বোলিং করতেও দেখা যায়নি তাঁকে।
সেঞ্চুরিয়নে দ্বিতীয় টেস্টে কাগিসো রাবাদা এভাবেই লেন্থ ডেলিভারি থেকে উঠে আসা বলে আউট করেন শার্দূলকে। তাঁর ব্যাটের কানা লেগে ওঠা ক্যাচ ধরেন ডেভিড বেডিংহ্যাম। এই বলের দুর্বলতা কাটাতেই কোচের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন করছিলেন তিনি। তবে তাতে হিতে বিপরীত হল।
সেঞ্চুরিয়নে মাত্র ১৯ ওভার বোলিং করেই ১০০ রান খরচ করেছেন শার্দূল। টেস্ট একাদশে তাঁর জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এবার দেখার, কালসিটে দাগ নিয়ে তাঁকে কেপটাউনে খেলানো হয় কিনা।