কেপটাউন টেস্টে নামার আগে ফের বড় দুঃসংবাদ শুনতে হল দক্ষিণ আফ্রিকান শিবিরকে। পেলভিকে প্রদাহের কারণে এবার দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন প্রোটিয়াজ পেস সেনসেশন জেরাল্ড কোয়েটজে। ২৩ বছরের তারকা অলরাউন্ডার সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টের সময়েই পেলভিক অঞ্চলে ব্যথা অনুভব করছিলেন। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং চলাকালীন কোয়েটজে নিজের পাঁচ ওভারের স্পেল সমাপ্ত করেই মাঠ ছাড়েন। তারপর ২৩ বছরের তারকাকে আর দেখা যায়নি।
তাঁর পেস-সতীর্থ রাবাদা, নান্দ্রে বার্গার কিংবা মার্কো জ্যানসেনরা যেমন অনভিজ্ঞ ভারতীয় ব্যাটিংয়ের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিলেন, তিনি অবশ্য ততটা প্রভাব ফেলতে পারেননি। ভারতের প্ৰথম ইনিংসে ১৬ ওভার বল করে ৭৪ রান খরচ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ওভার পিছু প্রায় ৫ রান খরচ করছিলেন তিনি একটা সময়ে। তাঁর পরিবর্ত এখনও ঘোষণা করেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে স্কোয়াডে থাকা কেশব মহারাজ, লুঙ্গি এনগিদির মধ্যে কেউ একজন সুযোগ পেতে পারেন।
একদিন আগেই জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক তেম্বা বাভুমাও কেপ টাউন টেস্টে নামতে পারবেন না সেঞ্চুরিয়নে হ্যামস্ট্রিংয়ে ইনজুরির কবলে পড়ায়। তাঁর বদলে দক্ষিণ আফ্রিকা ডেকে নিয়েছে জুবেইর হামজাকে। কেপ টাউনে নিজের শেষ টেস্টে অধিনায়কত্ব করবেন প্ৰথম ম্যাচের নায়ক ডিন এলগার।
দুর্ঘটনার সূত্রপাত কোহলির ব্যাটিংয়ের সময়। মার্কো জ্যানসেন বোলিং করছিলেন। ওভারের চতুর্থ বলে লং অফ দিয়ে দুরন্ত কভার ড্রাইভ হাঁকান কোহলি। সেই বল বাউন্ডারি পর্যন্ত চেজ করতে গিয়ে বাভুমা নিজেই নিজেকে আহত করে বসেন। সঙ্গেসঙ্গেই মাঠ ছাড়েন তিনি। নিয়ে যাওয়া হয় স্ক্যান করার জন্য। মাসলে স্ট্রেইন ধরা পড়ে। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকান বোর্ডের তরফে জানানো হয়, বাভুমাকে পর্যবেক্ষণ-এ রাখা হয়েছে। তিনি ম্যাচে নামতে পারবেন কিনা, তা পরবর্তীতে নির্ধারণ করা হবে।
প্রোটিয়াজ কোচ সক্রে কনরাড জানান, বাভুমার চোট বেশ গুরুতর। জানান, দলের প্রয়োজনে বাভুমা ব্যাট করতে প্রস্তুত ছিলেন। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট সেই ঝুঁকি আর নেয়নি।
এই জোড়া ধাক্কা সামলেই ভারতকে পর্যুদস্ত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র তিনদিনে ইনিংস হারের লজ্জা উপহার দিয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। ডিন এলগার ব্যাট হাতে ১৮৫ রানের স্মরণীয় ইনিংস খেলেছেন। বল হাতে আগুন ঝড়িয়েছেন কাগিসো রাবাদা। দুই ইনিংস মিলিয়ে তুলে নিয়েছেন সাত উইকেট। যোগ্য সহায়তা করেছেন অভিষেক ঘটানো পেসার নান্দ্রে বার্গার। আর ব্যাটে-বলে কাঁপিয়ে দেওয়া পারফরম্যান্স করেছেন মার্কো জ্যানসেন।