চলতি মাসের শুরুর দিকে দ্বিতীয় টি২০'তে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা। পোর্ট এলিজাবেথে সেই ম্যাচেই সূর্যকুমার যাদবকে আউট করে ব্যাপক উদযাপনে মেতেছিলেন। ১৪ তম ওভারে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া সেই আউটে এতটাই আহ্লাদিত হয়েছিলেন শামসি যে নিজের ট্রেডমার্ক শ্যু সেলিব্রেশনে মেতেছিলেন। তবে হাতে জুতো নিয়ে সেই উদযাপন হিতে বিপরীত হয়েছে। বেড়েছে বিতর্ক। জল গড়িয়েছে অন্যদিকে।
ভারত থেকে ভয়ানক গালিগালাজের মুখে পড়তে হয়েছিল শামসিকে। তবে প্রোটিয়াজ স্পিনার স্বীকার করে নিলেন, সেই উদযাপনের পর তাঁর স্ত্রীকেও কদর্য আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে। অনলাইন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে তাঁদের কাছে।
ক্রিকবাজ-কে শামসি জানিয়েছেন, "মানুষ এই উদযাপন নেতিবাচকভাবে নিয়েছে। ওঁরা মনে করেছেন এটা অসম্মানজনক। আমি অনেক গালিগালাজের মুখে পড়েছি। সম্ভবত সবথেকে খারাপতম অভিজ্ঞতা হল। এমনকি আমার স্ত্রীকে কুৎসিত গালির মুখে পড়তে হয়েছে। এটা মোটেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা অবাঞ্ছিত। ক্রিকেটারদের কেউ তোপ দাগতে পারলে সেটা তবু মেনে নেওয়া যায়। তবে পরিবারের কাউকে জড়িয়ে কদর্য গালিগালাজ করলে এটা অন্য মাত্রায় পৌঁছে যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় গনগনে ক্ষোভ দেখে নিজের টুইটার হ্যান্ডলে আগেই শামসি সাফাই দিয়েছিলেন, “এটা একটা মজার সেলিব্রেশন। যা অনেক কচি কাঁচারা উপভোগ করে। এতে ব্যাটারকে অসম্মানের কোনও প্রশ্নই নেই। এই আগেও এই কারণ বহুবার ব্যাখ্যা করেছি। আমাকে যাঁরা গালিগালাজ করছ, তাঁরা তোমাদের দেশেরই প্রকৃত ক্রিকেট সমর্থকদের নাম খারাপ করছ। চিয়ার্স।”
তবে তাঁর এই যুক্তিতেই চিঁড়ে ভেজেনি। আরও অকথ্য গালির মুখে পড়েছেন তারকা স্পিনার। শামসি আপাতত অনলাইনে গালি দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তীব্র জনমত গড়ে তুলতে চাইছেন। চাইছেন, বাকি ক্রিকেটাররাও যাতে তাঁর মত সরব হন।
"যদি কেউ কিছু না বলে, চুপচাপ সবকিছু মেনে নেয়, তাহলে ওঁরা ফ্রি লাইসেন্স পেয়ে যাবে। সকলকেই এঁদের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে হবে। মুখ ফুটে বলতে হবে, এটা মোটেও ঠিক হচ্ছে না। হ্যাঁ, আমার প্রিয় দল জিততে না পারে, আমি বেশ কিছু বিষয়ে অসম্মত হতে পারি, তবে সকলকে মানুষের মত আচরণ অন্তত করতে হবে। জন্তু-জানোয়ারের মত ব্যবহার চালিয়ে যাওয়া উচিত নয়।"
সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবর নিজস্ব মতামত শেয়ার করেন। দ্বিধা না রেখেই বক্তব্য রাখেন। উসমান খোয়াজা যেভাবে আইসিসির বিরুদ্ধে ধর্মীয় ইস্যুতে সরব হয়েছেন, তাতে সমর্থন রয়েছে শামসির-ও। টুইটারে বলে দিয়েছেন, "আইসিসিকে স্রেফ জিজ্ঞাসা করতে চাই, খোয়াজা কী এমন ভুল করেছে? কেন আইসিসির এই দ্বৈত নীতি।"