শ্রীলঙ্কা: ২৩০/৮
ভারত: ২৩০/১০
IND vs SL 2024 1st ODI Match Report: তৃতীয় টি২০ ম্যাচ টাইয়ে শেষ হওয়ার পর সুপার ওভারে গড়িয়েছিল। তবে কলম্বোয় প্ৰথম ওয়ানডেতে সেই ঘটনার কিছুটা বদলা নিল শ্রীলঙ্কা। স্কোরবোর্ডে মাত্র ২৩০ রান করেও পূর্ণশক্তির ভারতীয় দলকে আটকে দিয়ে ম্যাচ টাই করে দিল শ্রীলঙ্কার বোলাররা। কোচ গম্ভীরের সঙ্গে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলির নতুন ইনিংস মোটেও সুখের হল না। প্ৰথম ওয়ানডেতেই হোঁচট খেয়ে থামল।শক্তিশালী টিম ইন্ডিয়া।
প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা দুনিথ ওয়েললেগা এবং পাথুম নিশঙ্কার ব্যাটে ভর করে কোনওরকমে ২৩০ তুলেছিল। জবাবে সহজ এই রান তাড়া করতে গিয়েই হোঁচট খেল ভারত। ২৩০ রানেই অলআউট হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ শেষ হল ঐতিহাসিক টাইয়ে। একসময় জয় কার্যত হাতের মুঠোয় ছিল ভারতের। সেখান থেকেই লঙ্কান স্পিনারদের সামনে দমবন্ধ হল ভারতের ব্যাটিং। শেষদিকে হুড়মুড়িয়ে পড়ল বিখ্যাত ব্যাটিং লাইনআপ।
রোহিতের সঙ্গে শুভমানের ওপেনিং জোরদার হয়েছিল। শুভমান অনেকটাই রক্ষণাত্মক খেললেও অন্যপ্রান্তে যথারীতি ঝড় তুলেছিলেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। চার প্ৰথম সারির পেসার নেই। অনভিজ্ঞ শ্রীলঙ্কার বোলিং লাইনআপকে একাই পেড়ে ফেলছিলেন হিটম্যান। ৩১ বলে শতরান করার পর রোহিত শেষমেষ থামেন ৪৫ বলে ৫৮ করে।
শুভমানের সঙ্গে একসময় ওভার পিছু ৭ করে তুলছিলেন রোহিত। ভাবা হচ্ছিল ভারতের জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। তরুণ অলরাউন্ডার ওয়েলালাগে প্ৰথম ব্রেকথ্রু দেন। শুভমানকে তুলে নিয়ে। তারপর এই ওয়েলালাগেই লেগ বিফোর করে যান রোহিত শর্মাকে।
গৌতম গম্ভীর নমনীয় ব্যাটিং অর্ডার গড়ে তুলতে চাইছেন। যে কোনও ব্যাটারকে যে কোনও পজিশনে ব্যাটিং করার জন্য। অনেকটা সকলকে দিয়ে বোলিংয়ের নীতি অনুসারেই।
সেই নীতিতেই ওয়াশিংটন সুন্দরকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোট করা হয়েছিল। তবে দলের আস্থার মর্যাদা দিতে পারেননি ওয়াশিংটন। আকিলা ধনঞ্জয় ওয়াশিংটনকে তুলে নেওয়ার পরে আচমকাই ৭৪/০ থেকে ৮৫/৩ হয়ে যায় ভারত।
এরপরে পঞ্চম জুটিতে হাল ধরেন বিরাট কোহলি-শ্রেয়স আইয়ারের জুটি। দুজনে ৪৩ রান যোগ করার পর জয়ের জন্য ভারতার টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ১০০ রানে। ঠিক যখন মনে হচ্ছে বিপর্যয় সামলে সহজ জয়ই পেতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া। সেই সময়ই হাসারাঙ্গা এবং অসিথা ফার্নান্দো পরপর কোহলি এবং শ্রেয়সকে ফিরিয়ে ১৩২/৫ করে দেয় ভারতকে।
এরপরে ষষ্ঠ উইকেটে অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে কেএল রাহুলের আরও একটা ৫৭ রানের পার্টনারশিপ হয়। ঠিক যখন সামলে নিয়ে ভারত জয়ের পথে অনেকটা এগিয়েছিল সেই সময়েই মাত্র ৮ বলের ব্যবধানে অক্ষর এবং কেএল রাহুল দুজনেই আউট হয়ে যান।
এরপরে পুরোটাই নির্ভর করছিল শিভম দুবের ওপর। দুবে ২৪ করে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান। জয়ের জন্য একসময় টার্গেট ছিল ১৪ বলে মাত্র ১ রান। হাতে ছিল দুই উইকেট। তবে শেষবেলায় আবার টুইস্ট। চরিত আশালঙ্কা পরপর দুবলে আউট করে দেন অর্শদীপ সিং এবং শিভম দুবেকে। ম্যাচ অপ্রত্যাশিতভাবে শেষ হয় টাই-য়ে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে হাসারাঙ্গা, আশালঙ্কা দুজনেই তিনটে করে উইকেট তুলে নেন। জোড়া উইকেট শিকার করেন ওয়েলালাগে।
তার আগে শ্রীলঙ্কা ব্যাট করতে নেমে যথারীতি ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। লঙ্কানদের ব্যাটিং টানেন দুই হাফসেঞ্চুরিয়ন ওপেনার পাথুম নিশঙ্কা (৫৬) এবং দ্বিমুথ ওয়েলালাগে (৬৭)। টপ অর্ডারের ব্যাটিং বিপর্যয় ঢেকে লোয়ার অর্ডারে লিয়ানাগে (২০), আশালঙ্কা (১৪), হাসারাঙ্গা (২৪), ধনঞ্জয়রা (১৭) কোনওরকমে দলকে ২৩০ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিলেন। সেটাই শেষমেশ ফারাক হয়ে গেল।