IND vs SL 2024 1st ODI Tie match: ভারত-শ্রীলঙ্কা একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচ টাই হল। কিন্তু, কোনও সুপার ওভারে সেই অমীমাংসিত ফলাফলের মীমাংসা হল না। ম্যাচে দুই দলই ২৩০ রান করে তুলেছে। একদিনের সিরিজের আগে শ্রীলঙ্কাতেই টি২০ সিরিজ খেলেছে ভারত। টি২০ সিরিজে তৃতীয় ম্যাচ টাই হওয়ার পর সুপার ওভারে ফয়সালা হয়েছে। কিন্তু, শুক্রবারের একদিনের ম্যাচে সেটা হল না। কারণ, এখানে কোনও সুপার ওভার নেই।
কারণ, সুপার ওভারটা টি২০-র বৈশিষ্ট্য। সেই ফরম্যাটে টাই ব্রেক করার জন্য বা টাইব্রেকার হিসেবে সুপার ওভারের ব্যবস্থা আছে। সেই কারণেই পাল্লেকেলেতে ভারত-শ্রীলঙ্কা তৃতীয় টি২০ ম্যাচের নিষ্পত্তি সুপার ওভারে হওয়া সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু, ৫০ ওভারের ফরম্যাটে কোনও টাইব্রেকার নেই। সেজন্য শুক্রবার কলম্বোর রণসিংহে প্রেমদাসা স্টেডিয়ামের একদিনের ম্যাচ টাই দিয়েই শেষ হল।
এমনিতে প্রত্যেক সিরিজ বা টুর্নামেন্টের নিয়মকানুন আলাদা। তার ওপর আইসিসির নিয়ম অনুযায়ীই টি২০ এবং একদিনের ম্যাচের ফরম্যাটের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। একদিনের ম্যাচে যে সুপার ওভার একেবারেই নেই, তা কিন্তু নয়। কিন্তু, সেটা বহুদেশীয় টুর্নামেন্টের নকআউট ম্যাচগুলোতে থাকে। এখনও পর্যন্ত তিনটি একদিনের ম্যাচের নিষ্পত্তি সুপার ওভারে হয়েছে। তার মধ্যে একটি হল ২০১৯ সালের একদিনের বিশ্বকাপ ফাইনাল। যেখানে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড খেলেছিল। সেটাই প্রথম একদিনের ম্যাচ, যার নিষ্পত্তির জন্য অতিরিক্ত এক ওভার খেলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আম্পায়ারের চরম ভুল! ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ পেল না যোগ্য বিজয়ী দল, সামনে এল নয়া মোচড়
এরপর ২০২০ সালের জিম্বাবোয়ে-পাকিস্তান ম্যাচ। এই ম্যাচ হয়েছিল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। সেখানেও একটা সুপার ওভারে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়। ২০২৩ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে তাকাসিংগা ক্রিকেট ক্লাবের মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং নেদারল্যান্ড। সেই ম্যাচেরও ফয়সালা হয়েছিল সুপার ওভারে।
আরও পড়ুন- শ্রীলঙ্কার কাছেই কালঘাম ছুটল টিম ইন্ডিয়ার! পুরো শক্তির দল নামিয়েও জেতা ম্যাচ টাই রোহিতদের
একদিনের ক্রিকেটে সুপার ওভার চালু হওয়ার আগে ১৯৮৭ সালে হায়দরাবাদে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এবং ১৯৮৮ সালে লাহোরে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ম্যাচ টাই হয়েছিল। সেই সময় যে দল বেশি উইকেট পেয়েছিল, তাকেই জয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। শুক্রবারের ম্যাচে ভারত জয়ের কাছাকাছি ছিল। হাতে ছিল ১৫ বল, ২ উইকেট। জেতার জন্য দরকার ছিল ১ রান। কিন্তু, শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। তিনি পরপর বলে শিবম দুবে ও আরশদীপ সিংকে আউট করেন। যার ফলে ম্যাচ টাই হয়ে যায়।