শ্রীলঙ্কা: ২১৫/১০
ভারত: ২১৯/৬
টার্গেট ছিল মাত্র ২১৬। সেই টার্গেট পেরোতে গিয়েই ভারত রীতিমত গলদঘর্ম হয়ে গেল ইডেন গার্ডেন্সে। প্ৰথম ১৫ ওভারের মধ্যেই ভারত লাহিরু কুমারাদের দাপটে ৮৬/৪-এ ধসে গিয়েছিল ভারত। তারপরে কেএল রাহুল এবং হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটে ভর করে ভারত ৪০ বল বাকি থাকতে হাতে চার উইকেট নিয়ে টেনশন বাড়িয়ে ম্যাচ জিতল।
কেএল রাহুল টানা ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়ার পরও দলে তাঁর জায়গা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। ঈশান কিষান, সূর্যকুমার যাদবদের মত তারকারাও প্ৰথম একাদশে বাদ পড়ার পর চলতি শ্রীলঙ্কা সিরিজে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে একহাত নিয়েছিলেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। তবে রাহুল কঠিন সময়ে ভারতকে সিরিজ জিততে সাহায্য করলেন ইডেনে। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে টেনশনাক্রান্ত ম্যাচে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন। ১০৩ বলে ৬৪ রানের নখ দাঁত কামড়ানো ইনিংস খেলে গেলেন তিনি।
যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন তখন ভারতের টপ অর্ডার ধসে গিয়েছিল। রোহিত শর্মা (১৭), শুভমান গিল (২১), বিরাট কোহলি (৪) শ্রেয়স আইয়ার (২৮) আউট হয়ে যাওয়ার পরে নড়বড়ে ভারতের ইনিংসের হাল ধরেন ক্যাপ্টেন হার্দিক (৩৬) এবং কেএল রাহুল।
পঞ্চম উইকেটে হার্দিকের সঙ্গে ৭৫ রানের পার্টনারশিপে দলকে অনেক সহজ জায়গায় পৌঁছে দেন। হার্দিক আউট হয়ে যাওয়ার পর অক্ষর প্যাটেলও ২১ বলে ২১ করে যান। ১৯১/৬ হয়ে যাওয়ার পর শেষদিকে হালকা চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। তবে কুলদীপকে (১০) সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন কেএল রাহুল।
তার আগে ইডেনে শ্রীলঙ্কা ইনিংসে বিপর্যয় ঘটিয়ে যান কুলদীপ যাদব। জুজবেন্দ্র চাহালের জায়গায় জায়গা পেয়েছিলেন কুলদীপ। নেমেই হিট বাঁ হাতি চায়নাম্যান স্পিনার। একসময় ইডেনে দাপট দেখাচ্ছিলেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটাররা। আবিষ্কা ফার্নান্দো (২০) আউট হওয়ার পরে নুয়ানিন্দু ফার্নান্দো (৫০) এবং কুশল মেন্ডিস (৩৪) দলকে টানছিলেন। দুজনে মিলে ৭৩ রানের পার্টনারশিপে বিপদ বাড়াচ্ছিলেন ভারতের। তবে এই জুটিতে ভাঙন ধরান কুলদীপ। সেই শুরু। তারপরে আর থামানো যায়নি লঙ্কানদের ব্যাটিং বিপর্যয়। ১০২/১ থেকে শ্রীলঙ্কা বাকি ৯ উইকেট হারায় স্কোরবোর্ডে ১১৩ রান যোগ করার ফাঁকে।
কুলদীপ এবং সিরাজ দুজনেই তিনটে করে উইকেট নেন। উমরান মালিক ২ উইকেট নিয়েছেন। টানা দুটো ওয়ানডে জিতে কলকাতাতেই ভারত সিরিজের দখল নিয়ে নিল।