লো স্কোরিং ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ভারত। ব্যাটে রোহিত শর্মার হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে টিম ইন্ডিয়া কোনওরকমে স্কোরবোর্ডে ২১৩ রানের স্কোর খাড়া করেছিল। জবাবে শ্রীলঙ্কার ওয়ালেলেগা-ধনঞ্জয় জুটি শেষ ল্যাপে ভারতের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিল। তবে জাদেজার ব্রেকথ্রুতে ভর করে ভারত জয় নিশ্চিত করে।
ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ ক্রিকেট বিশ্বে নতুন তারকার জন্ম দিয়ে গিয়েছে। অনুর্দ্ধ-১৯ বিশ্বকাপের নজরকাড়া পারফর্মার ওয়ালেলেগা এবার সিনিয়র পর্যায়েও জাদু দেখানো শুরু করলেন। প্রথমে বল হাতে ভারতের হেভিওয়েট ব্যাটিং অর্ডারকে একাই ভাঙলেন। তারপর ব্যাট হাতে ভারতের বিপক্ষে কার্যত একাই লড়াই চালালেন। তাঁর টেম্পারমেন্ট, চাপের মুখে সাহসী ইনিংস রীতিমত প্রসংশনীয়।
ঘটনা যাই হোক, ভারত টানা দু-দিন পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে রবিবারের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলল। দ্বিতীয় দল হিসেবে এবার ওঠার লড়াই শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের। ভারতের জয়ের সঙ্গেই বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল।
কীভাবে? টানা দুটো ম্যাচ জয়ের সুবাদে ভারতের সংগ্রহে এখন চার পয়েন্ট। শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে জয়ের সুবাদে সর্বোচ্চ চার পয়েন্ট অর্জন কররতে পারে। তবে পাকিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে হারানোর সুবাদে নেট পার্থক্যে ভারত সকলের থেকেই অনেক এগিয়ে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ প্ৰথম দুই ম্যাচেই হেরেছে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার কাছে। শেষ ম্যাচে ভারতকে হারালেও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্জন হতে পারে দুই পয়েন্ট। যা ইতিমধ্যেই পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার কাছে রয়েছে।
পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে যে দলই জিতুক বাংলাদেশকে টপকে যাবে। বৃষ্টির কারণে খেলায় পয়েন্ট ভাগাভাগি হলেও বাংলাদেশের তুলনায় এগিয়ে থাকবে। মঙ্গলবার ভারত হারলে সুবিধা হত বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ভারতকে হারালে এবং শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানের কাছে হারলে শ্রীলঙ্কা জোড়া জয় সমেত পৌঁছে যেত ফাইনাল। ভারত-বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান সেক্ষেত্রে একই পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকত।
তবে সেই সম্ভাবনা আপাতত অতীত। ১৫ তারিখ ভারত-বাংলাদেশ কার্যত নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াল।