শ্রীলঙ্কা: ২০৬/৫
ভারত: ১৯০/৮
পুণেতে মস্তানি দেখালেন অক্ষর প্যাটেল। বিষ্ফোরক ইনিংসে নাভিশ্বাস তুললেন লঙ্কান বোলারদের। অন্যদিকে, সূর্যকুমার ফের একবার দাদাগিরি দেকগুয়ে8 হাফসেঞ্চুরি করে গেলেন। তা সত্ত্বেও ভারত শেষরক্ষা করতে পারল না।
আসলে ২০৭ রান তাড়া করতে নেমে প্ৰথম ৫ ওভারেই ভারত কোমায় চলে গিয়েছিল। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া সহ গোটা টও অর্ডারই তখন ডাগ-আউটে। পাওয়ার প্লে-তেই ভারতের টপ অর্ডার মুচড়ে যায়। দীপক হুডা যখন দশম ওভারে হাসারাঙ্গার বলে আউট হয়ে ফিরছেন, তখন ভারত ৫৭/৫!
ভারতীয় ইনিংসের শেষ টান উঠে যাওয়া ম্যাচই যে যেভাবে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রূপ নেবে, কে ভাবতে পেরেছিল! ঠিক যেখানে ধরে নেওয়া হয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি২০-তে লজ্জার বিপর্যয় ঘটবে ভারতের, সেখান থেকেই ম্যাচে ভারত ফিরল সূর্যকুমার-অক্ষর প্যাটেলের বিধ্বংসী ৯১ রানের ইনিংসে ভর করে। কার্যত হারা ম্যাচে প্রাণ সঞ্চার করে গিয়েছিলেন দুজন।
সূর্যকুমার একজন পার্টনার খুঁজছিলেন। টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার পর শেষ আশা হয়ে বেঁচেছিলেন টি২০-র অধুনা একনম্বর ব্যাটসম্যান। তিনি হাফসেঞ্চুরি করতে ৩৩ বল লাগিয়ে দিলেও অক্ষর সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ম্লান করে দিলেন তাঁকেও। মাত্র ২০ বলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে কোনও ভারতীয়র করা দ্রুততম ফিফটি করে গেলেন তারকা অলরাউন্ডার।
৪০ বলে ৯১ রানের পার্টনারশিপে ভারত যখন আইসিইউ থেকে বেরিয়ে রীতিমত দৌড়ঝাঁপের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে, সেই সময়েই আচমকা ছন্দপতন দিলশান মধুশঙ্কার ওভারে। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে হাসারাঙ্গার হাতে ক্যাচ তুলে সূর্য অস্ত যেতেই ভারতের ম্যাচ-ভাগ্য চূড়ান্ত হয়ে যায়। শেষদিকে শিবম মাভি জোড়া ছক্কা, জোড়া বাউন্ডারি সমেত ১৫ বলে ২৬ রানের ছোটখাটো বিস্ফোরণ ঘটালেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২১ রান। ক্যাপ্টেন শানাকার ওভারে ভারত চার রানের বেশি তুলতে পারেনি। শিবম মাভি শেষ বলে আউট হয়ে যাওয়ার আগে প্যাভিলিয়নে ৩১ বলে ৬৫ করে ফেরেন অক্ষরও। ভারতকে ১৬ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ করল শ্রীলঙ্কা।
হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেটে নয়া জমানার স্লোগান উঠেছে। তবে সেই পুরোনো রোগ আর সারছে না। টপ অর্ডার যেমন ভেঙে পড়া। সেই ডেথ ওভারে কুৎসিত বোলিং প্রদর্শনীও বন্ধ হচ্ছে না। শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশঙ্কা (৩৫ বলে ৩৩), কুশল মেন্ডিস (৩১ বলে ৫২) পাওয়ার প্লে-তেই ওভার পিছু ১০ রান হিসাবে তুলে যাওয়ার পরেই লঙ্কানদের বড় স্কোর কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়।
দুজনে ওপেনিং জুটিতেই ৮০ তুলে দেন। মিডল অর্ডারে চরিত আশালঙ্কা (১৯ বলে ৩৭) এবং ক্যাপ্টেন দাশুন শানাকা (২২ বলে ৫৬) ব্যাট হাতে রীতিমত তান্ডব চালিয়ে যান। শেষ চার ওভারে ভারতীয় বোলাররা ৬৮ রান খরচ করে বসেন। আর্শদীপ সিং ২ ওভারেই ৩৭ রান দেওয়ার পরে পুরো কোটা বোলিং দেওয়ার সাহস দেখাননি হার্দিক। শিবম মাভি ৪ ওভারে ৫৩ দেন। উমরান মালিক ৩ উইকেট নিলেও ৪৮ রান খরচ করেন।