কুইন্স পার্ক ওভালে দ্বিতীয় টেস্টেই শতরান হাঁকিয়ে ফেললেন বিরাট কোহলি। গ্যাব্রিয়েল জোসেফকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে কোহলি নিজের ২৯তম টেস্ট সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেললেন। কোহলির সেঞ্চুরির সঙ্গেই ভারতীয় দল ৩১৪/৪-এ পৌঁছে যায়। ৫০০ তম আন্তর্জাতিক ম্যাচের মঞ্চে ১১১তম টেস্টে বড়সড় এই মাইলস্টোনে পৌঁছলেন।
কোহলি শেষমেশ ১২১ রানে আউট হন। মহাতারকা রান আউট হয়ে যাওয়ার পরে ভারত ৩৪১/৫ হয়ে যায়। এই নিয়ে টেস্ট কেরিয়ারের তৃতীয়বার রান আউটের শিকার হলেন কোহলি।
২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় শেষবার বিদেশের মাটিতে শতরান হাঁকিয়েছিলেন। তার পর দীর্ঘ পাঁচ বছর কেটে গিয়েছিল। বিদেশে শতরানের দেখা পাননি। অবশেষে কোহলির বিদেশে সেঞ্চুরির খরা কাটল ক্যারিবিয়ান সফরে। সব ফরম্যাট মিলিয়ে কোহলির মোট শতরানের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৬-এ।
বৃহস্পতিবার প্ৰথম দিনে ভারত ১৫৩/২ থাকা অবস্থায় ক্রিজে ব্যাট করতে নেমেছিলেন কিং কোহলি। তারপর দিনের শেষে ৮৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিন সেঞ্চুরির জন্য মাত্র ১৩ রান দরকার ছিল কোহলির। মিডল অর্ডারে শুভমান গিল, অজিঙ্কা রাহানে ব্যর্থ হওয়ার পর ভারত রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছিল। দিনের শেষে ভারত ২৮৮/৪ হয়ে গিয়েছিল।
টেস্টে কোহলি ৩০ তম হাফসেঞ্চুরি করে জোমেল ওয়ারিক্যানকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। পঞ্চম উইকেটে রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে জুটি বেঁধে ভারতকে বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করেন কোহলি। জাদেজাও হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন ৪৮ রানে।
ভারত প্রথম দিনের প্ৰথম সেশন বেশ ভালোই শুরু করেছিল। কোনও উইকেট না হারিয়ে ভারত স্কোরবোর্ডে ১২১ তুলে ফেলেছিল মাত্র ২৬ ওভারে। তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারতের চার-চারটে উইকেট তুলে নিয়ে পাল্টা চাপ দিয়েছিল। ১২১/০ থেকে ভারত একসময় ১৮২/৪ হয়ে যায়।
যাইহোক, তিন ধরনের ফরম্যাট মিলিয়ে সবথেকে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলিয়েদের তালিকায় কোহলি দশম স্থানে উঠে এলেন। তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন শচীন, ৬৬৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ সমেত।