জিম্বাবোয়ে: ১৬১/১০
ভারত: ১৬৭/৫
প্ৰথম ওয়ানডেতে বিধ্বস্ত হয়েছিল জিম্বাবোয়ে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও শনিবার ভারতের কাছে ৫ উইকেটে হেরে বসল জিম্বাবোয়ে। দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের সঙ্গেই ব্যাট হাতে হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে জ্বলে উঠলেন সঞ্জু স্যামসন, শিখর ধাওয়ান এবং শুভমান গিল। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ভারতের দ্বিতীয় সারির দল সিরিজ দখল করে ফেলল।
প্ৰথম ম্যাচে তা-ও ১৮৯ তুলেছিল জিম্বাবোয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে আফ্রিকান দলটি অলআউট হল ১৬১ রানে। সেই রান ভারত তাড়া করল ২৫.৪ ওভারে। ৫ উইকেট হারালেও ভারত কখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়নি। দাপটেই এল ভারতের সিরিজ জয়।
টসে জিতে ভারত শুরুতে জিম্বাবোয়েকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল। প্ৰথম ম্যাচের মত এদিনও ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে জিম্বাবোয়ে। দীপক চাহার প্ৰথম ম্যাচে বিধ্বংসী স্পেলে ছিটকে দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষকে। শনিবার জিম্বাবোয়েকে ভাঙলেন চাহারের পরিবর্তে প্ৰথম একাদশে ধোকা শার্দূল ঠাকুর। ৭ ওভারে ৩৮ রান খরচ করে শার্দূল তুলে নেন তিন উইকেট। সিরাজ-শার্দূল-প্রসিদ্ধ কৃষ্ণদের দাপটে জিম্বাবোয়ে ৩১/৪ হয়ে গিয়েছিল একসময়। সেখান থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে জিম্বাবোয়ে ধসে যায় মাত্র ১৬১ রানে। শেষদিকে শন উইলিয়ামস (৪২ বলে ৪২), রায়ান বার্ল (৪৭ বলে ৩৯) ব্যাট হাতে অবদান না রাখলে জিম্বাবোয়ে স্কোরবোর্ডে দেড়শো তুলতে পারত কিনা, সন্দেহ।
আরও পড়ুন: ভারতকে কতটা ভালোবাসেন রাহুল! জাতীয় সঙ্গীতের সময় তারকার কীর্তিতে কুর্নিশ করল গোটা দেশ
ক্যাপ্টেন কেএল রাহুল এদিন শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন। শুভমান গিলকে তিন নম্বরে ঠেলে দিয়ে। দ্বিতীয় ওভারেই অবশ্য তিনি আউট হয়ে যান। এরপরে শুভমান গিল (৩৩), শিখর ধাওয়ান (৩৩) ফিরে যাওয়ার পরে আউট হয়ে যান ঈশান কিষানও। ৯৭/৪ হয়ে গিয়েছিল ভারত একসময়। তবে দীপক হুডা (৩৬ বলে ২৫) এবং সঞ্জু স্যামসন (৩৯ বলে ৪৩) দলের জয় নিশ্চিত হয়।
শেষদিকে দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ের জন্য ম্যাচের সেরা সঞ্জু স্যামসন।