ভারত: ২৮৯/৮
জিম্বাবোয়ে: ২৭৬/১০
রাজার ব্যাটে প্রায় প্রজা হয়ে মাঠ ছাড়ার উপক্রম হয়েছিল। হোয়াইটওয়াশের ম্যাচে নেমে ভারত-বধের অঘটনের মঞ্চ প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল হারারে স্টেডিয়ামে। শেষ পর্যন্ত ভারতের মান বাঁচিয়ে দিল শার্দূল ঠাকুর এবং আবেশ খানের পরপর দু-ওভার। ভারতের ২৯০ রানের টার্গেট তাড়া করে শেষমেশ জিম্বাবোয়ে থেমে গেল ২৭৬ রানে। ১৩ রানে জয়ী হয়ে হোয়াইটওয়াশ সম্পন্ন করে ফেলল টিম ইন্ডিয়া।
প্রায় তিনশো রান তাড়া করতে নেমে জিম্বাবোয়ে যে পাক বংশোদ্ভূত সিকান্দার রাজার দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরিতে ভর করে ভারতকে হারানোর চৌকাঠে পৌঁছে দেবে, কে ভাবতে পেরেছিল।
ভারত প্ৰথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ২৮৯ তোলার পরে জিম্বাবোয়ে কতক্ষণ লড়াই চালাতে পারে, তা ছিল দেখার। দুর্বল জিম্বাবোয় নিয়ম মেনে স্ক্রিপ্ট ধরেই একসময় ১২০/৪ এবং সেখান থেকে ১৬৯/৭-এ ধুঁকছিল। দ্বিতীয় উইকেটে শন উইলিয়ামস (৪৫) এবং ওপেনার কাইটানো ৭৫ রান যোগ করলেও ম্যাচ যে এরকম উত্তেজক জায়গায় পৌঁছে যাবে, কেউ ভাবতে পারেনি।
আরও পড়ুন: বোর্ডের ৩০ হাজার পেনশনে চলছে না সংসার! কাজের জন্য এবার ‘হাত পাতলেন’ কাম্বলি
ম্যাচে হঠাৎ সেই রোমহর্ষক বিষয়টিই আমদানি করলেন সিকান্দার রাজা এবং ব্র্যাড ইভান্স (২৮) জুটি। ১০০ রানের পার্টনারশিপের অধিকাংশ রাজার ব্যাট থেকে এলেও ইভান্সও শেষদিকে ভারতকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন। মাত্র ৮৭ বলে।শতরান পূর্ণ করে রাজা একাই ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিলেন।
তবে ৪৮তম ওভারে আবেশ খানের ওভারে ১৬ রান তুলে টার্গেট একদম জলবৎ তরলম করে দিয়েছিলেন রাজা-ইভান্স। শেষ দু-ওভারে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল মাত্র ১৭ রানের।
তবে আবেশ খান ৪৮ তম ওভারেই শেষ বলে ইভান্সকে ফিরিয়ে দিয়ে ১০৪ রানের পার্টনারশিপে ভাঙন ধরিয়ে যান। ৪৯ তম ওভারে শার্দূল ঠাকুর মাত্র ২ রান খরচ করেন। তুলে নেন ম্যাচের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট রাজাকে। ওখানেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন শার্দূল। বাকি রান তুলতে পারেনি জিম্বাবোয়ে। স্কোরবোর্ডে মাত্র দু-রান যোগ করতে ফাঁকেই বাকি দুই উইকেট হারায় জিম্বাবোয়ে।
আরও পড়ুন: ভারতকে কতটা ভালোবাসেন রাহুল! জাতীয় সঙ্গীতের সময় তারকার কীর্তিতে কুর্নিশ করল গোটা দেশ
তার আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতের হয়ে শতরান করে যান শুভমান গিল। ৯৭ বলে ১৩০ রানের ইনিংসে ঝড় টুকে যান। ঈশান কিষানও হাফসেঞ্চুরি করেন। দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান (৪০), কেএল রাহুলও (৩০) ব্যাট হাতে অবদান রাখেন।
দিনের শেষে সবকিছুই বাতিলের খাতায় চলে যাচ্ছিল। যা শেষদিকে আটকে দেন শার্দূল ঠাকুর।