ভারত: ২৩৪/২
জিম্বাবোয়ে: ১৩৪/১০
IND vs ZIM 2024 2nd T20I Match Report: প্ৰথম ম্যাচে হারের জ্বালা সইতে হয়েছে। বিশ্বকাপ জয়ের পর টিম ইন্ডিয়ার মোমেন্টাম ধাক্কা খেয়েছিল জিম্বাবোয়ের কাছে দলের যুবশক্তি হেরে বসায়। সেই হারের ক্ষত মেটানোর জন্য শুভমান গিলের তরুণ তুর্কিরা যে হিংস্রভাবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঝাঁপাবে, তা কিছুটা প্রত্যাশিতই ছিল। সেটাই হল। ২৪ ঘন্টা আগের হারের জ্বালা জুড়িয়ে ভারতের দ্বিতীয় জয় এল ১০০ রানে। অভিষেক ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর অভিষেক ছক্কায় ছক্কায় তান্ডব চালিয়ে গেলেন। তারপর রিঙ্কু সিংয়ের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ভারত স্কোরবোর্ডে ২৩৪ তুলে দিয়েছিল মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে।
সেই রান চেজ করেই জিম্বাবোয়ে খতম ১৩৪ রানে। রেকর্ড রান তাড়া করে জিম্বাবোয়ে কতক্ষণ টিকতে পারে, সেটাই ছিল দেখার। পুরো ২০ ওভার-ও ব্যাটিং করতে পারলেন না রাজারা। অলআউট হতে হল ১৮.৩ ওভারেই। জিম্বাবোয়ের হয়ে পাল্টা ঝড়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ব্রায়ান বেনেট। অভিষেক শর্মার ওপরেই চড়াও হন তিনি। প্ৰথম ওভারেই মুকেশ কুমার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ওপেনার ইনোসেন্ট কায়াকে। তারপর জিম্বাবোয়েকে হঠাৎ ঝড়ের গতি দিয়ে যান বেনেট। দ্বিতীয় ওভারে অভিষেক শর্মা ১৯ রান দিয়ে বসেন। এবং মুকেশ কুমার তিন নম্বর ওভারে আরও ১৬ রান খরচ করার পর ৩ ওভার শেষেই জিম্বাবোয়ে স্কোরবোর্ডে ৪০ তুলে ফেলেছিল। মুকেশ কুমার অবশ্য সেই ওভারেই তুলে নিয়েছিলেন মারমুখী বেনেটকে।
আবেশ খানকে চতুর্থ ওভারে আক্রমণে নিয়ে আসতেই খেল খতম আফ্রিকান দলটির। সেই ওভারেই আবেশ খান পরপর আউট করে যান ডিওন মায়ার্স এবং ক্যাপ্টেন সিকান্দার রাজাকে। হঠাৎ করেই পরপর তিন উইকেট হারিয়ে যে চাপে পড়ে গেল জিম্বাবোয়ে। তা আর কাটিয়ে বেরোতে পারেনি দলটি।
আরও পড়ুন: নিয়ম ভেঙে সাংবাদিকের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি! বিশ্ব জয়ের পরেই বিতর্কে দগ্ধ টিম ইন্ডিয়া
রবি বিশ্নোই এবং আবেশ খান জিম্বাবোয়ের মিডল অর্ডার তছনছ করে দেন। বিশ্নোই এদিন-ও ৪ ওভারে মাত্র ১১ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নিয়ে যান। আবেশ খান ৩ উইকেট দখল করেন। মুকেশের সংগ্রহেও ৩ উইকেট।
তার আগে ভারতের ব্যাটিং ছিল মারমার, কাটকাট। অভিষেক শর্মার (৪৭ বলে ১০০) বিস্ফোরক শতরান এসেছিল মাত্র ৪৬ বলে। রিঙ্কু সিং ব্যাট হাতে ডেথ ওভারে সাইক্লোন তুলে যান ২২ বলে ৪৮ করে। ৪৭ বলে ৭৭ করে যোগ্য সহায়তা করে যান গায়কোয়াডও। শুভমান গিল দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে গিয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় উইকেটে রুতুরাজের সঙ্গে ১৩৭ রানের বিধ্বংসী পার্টনারশিপ উপহার দিয়ে যান অভিষেক।
দ্বিতীয় ওভারেই ক্যাপ্টেন শুভমান গিল আউট হয়ে যাওয়ার পর কিছুটা সতর্ক হয়ে খেলছিলেন অভিষেক। হাফসেঞ্চুরি করতে নেন ৩৩ বল। তবে এরপরেই খোলস ছেড়ে বেরোন তিনি। পরের হাফসেঞ্চুরি তিনি করলেন মাত্র ১৩ বলে।
অভিষেকের ইনিংস এদিন অবশ্য নিখুঁত ছিল না। ইনিংসের অষ্টম ওভারে মাসাকাদজা লোপ্পা ক্যাচ মিস করেন অভিষেকের। সেই সময় তারকা মাত্র ২৪ রানে ব্যাটিং করছিলেন। জীবন পেয়েও ইনিংসের গতিতে লাগাম টানেনি তিনি। ১১তম ওভারে ডিওন মায়ার্স-এর ওভারেই তিনি ২৬ রান তুলে দেন।
মাসাকাদজাকে পরপর তিনটে ছক্কা হাঁকিয়ে শতরান পূর্ণ করে যান তিনি। পরের বলেই অবশ্য মিস টাইমড হয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন।
তারকা ব্যাটার ফিরে যাওয়ার পর অভিষেককারী সাই সুদর্শনের জায়গায় ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোট করা হয় রিঙ্কু সিংকে। রিঙ্কু-রুতুরাজ মিলে আরও ৮৭ রান যোগ করে যান।