Advertisment

হোপ-হেটমায়ারের ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল ভারত

১০৬ বলে ১৩৯ করে আউট হন হেটমায়ার। ১১টি চার ও ৭টি ছয় আসে তাঁর ব্যাট থেকে। তিনি যখন ফিরলেন তখন উইন্ডিজ ২২৯/২।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ভারত ২৮৭/৮

Advertisment

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৯১/২ (৪৭.৫/৫০ ওভার)

আট উইকেটে জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৩ বল বাকি থাকতেই)

ভারতের বিরুদ্ধে আট উইকেটে অনায়াস জয় ছিনিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল কায়রন পোলার্ডের ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

২৮৭ রান ডিফেন্ড করার মতো যে বোলিংটা ভারতের করার প্রয়োজন ছিল, তার ধারেকাছেও গেলেন না বিরাট কোহলির বোলাররা। পাশাপাশি উইন্ডিজ বুঝিয়ে দিল বাইশ গজের অন্যতম ভয়ঙ্কর ব্যাটিং লাইন-আপ তাদের। এই রান করে তাদেরকে বেঁধে রাখা হওয়া সম্ভব নয়।

রবিবার টস জিতে কায়রন পোলার্ড ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যা দেখে বিরাট কোহলি চমকে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামের এরকম শুষ্ক পিচে তিনি প্রথমে ব্যাট করতেই চেয়েছিলেন।

পোলার্ডের বল করার সিদ্ধান্ত যে খুব একটা ভুল না তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের সাত ওভারের মধ্যেই। রোহিত শর্মাকে রেখে কেএল রাহুল ও বিরাট কোহলি চলে গিয়েছিলেন ড্রেসিংরুমে। শেলডন কটরেলের শিকার হন দুই ব্যাটসম্যানই। রাহুল মাত্র ৬ রান করে হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। কোহলি ক্লিন বোল্ড হয়ে গেলেন।

এরপর ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কাজটা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন হিটম্যান। পাশে পান শ্রেয়স আয়ারকে। রোহিত-আয়ারের জুটি প্রায় সেটই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পোলার্ডের বলে আলজারি জোসেফের হাতে ক্য়াচ তুলে দেন। ৫৬ বলে ৩৬ করে ফিরে যান তিনি। ১৯ ওভারের মধ্যেই ভারত তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে ৮০ রান তুলতে গিয়ে।

এবার আয়ার এবং ঋষভ পন্থ দুরন্ত ভাবে খেলাটা ধরে নেন। ১১৪ রানের পার্টনারশিপ করেন তাঁরা। ৮৮ বলে ৭০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে ফেরেন আয়ার। এদিন কেরিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে শতরানের স্বাদ পান তিনি। পাঁচটি চার ও একটি ছয়ে নিজের ইনিংস সাজিয়েছিলেন আয়ার।

আয়ার ফেরার পর পন্থও ফিরে যান। ভারতের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের হাত থেকে এসেছে ৬৯ বলে ৭১ রান। সাতটি চার ও একটি ছয় মারেন তিনি। আর দু'জনেই ফিরে যান পোলার্ডের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে।

এরপর কেদার যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা মিলে চেষ্টা করেন ভারতের স্ট্রাইক রোটেট করার। ঝোড়ো ইনিংসই উপহার দেন তাঁরা। যাদব ৩৫ বলে ৪০ ও জাদেজা ২১ বলে ২১ করে ফিরে যান। শেষে দীপক চাহার (৭) শিবম দুবের (৯) সৌজন্যে ভারত নির্ধারিত ওভারে ২৮৭ তোলে।

রান তাড়া করতে নামেন শে হোপ ও সুনীল আমব্রিস। উইন্ডিজের মাত্র ১১ রানের মাথায় আমব্রিসকে এলবিডব্লিউ করে দেন দীপক চাহার। ক্যারিবিয়ান ওপেনার ৮ রান করে ফিরে যান। পঞ্চম ওভারের মাথায় ভারত প্রথম উইকেটের দেখা পেয়েছিল।

এরপর মাঝখানে ৩৩ ওভার চলে গেল দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেতে। ততক্ষনে মেন ইন মেরুনরা ম্যাচ বার করে নিয়েছে। ওপেনার হোপ আর তিনে ব্যাট করতে আসা শিমরন হেটমায়ার দু'জনেই হাঁকালেন সেঞ্চুরি। রেয়াত করলেন না ভারতের কোনও বোলারকে।

১০৬ বলে ১৩৯ করে আউট হন হেটমায়ার। ১১টি চার ও ৭টি ছয় আসে তাঁর ব্যাট থেকে। তিনি যখন ফিরলেন তখন উইন্ডিজ ২২৯/২। এখান থেকে বাকি কাজটা হোপ সেরে ফেলেন নিকোলাস পুরানকে নিয়ে (২১ বলে ২১)। হোপ অপরাজিত থাকলেন ১০১ রানে। ১৫০ বল খেলে ৭টি চার ও ১টি ছয় মারেন তিনি। ১৩ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগামী বুধবার বিশাখাপত্তনমে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। পোলার্ডরা জিততে পারলেই সিরিজ চলে আসবে ভারতের দখলে।

Advertisment