Advertisment

রোহিত-রাহুলের সেঞ্চুরিতে সিরিজে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ভারতের

পঞ্চাশ ওভারের ফর্ম্যাটে যে কোনও দলের পক্ষেই ৩৮৭ রান তাড়া করে জেতাটা অত্যন্ত কঠিন। উইন্ডিজের পক্ষে ভারতের বিরুদ্ধে তাদেরই মাটিতে কাজটা কার্যত অসম্ভব ছিল। বাস্তবে সেটাই হলো।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০৭ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ করল টিম ইন্ডিয়া

ভারত ৩৮৭/৫ (৫০ ওভার)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৮০ (৪৩.৩ ওভার)
১০৭ রানে জয়ী ভারত

Advertisment

Ind vs WI 2nd ODI: দুরন্ত ভাবে সিরিজে প্রত্যাবর্তন করল ভারত। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০৭ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ করল টিম ইন্ডিয়া।

ভারতের পাহাড় প্রমাণ রানেই চাপা পড়ল দ্বীপপুঞ্জের দেশ। পঞ্চাশ ওভারের ফর্ম্যাটে যে কোনও দলের পক্ষেই ৩৮৭ রান তাড়া করে জেতাটা অত্যন্ত কঠিন। উইন্ডিজের পক্ষে ভারতের বিরুদ্ধে তাদেরই মাটিতে কাজটা কার্যত অসম্ভব ছিল। বাস্তবে সেটাই হলো।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কায়রন পোলার্ড। বিরাট কোহলিদের ব্যাট করতে পাঠান তিনি।
চেন্নাইতে শিমরন হেটমায়ার ও শেই হোপ যে খেলাটা খেলেছিলেন, বিশাখাপত্তনমের ডক্টর ওয়াইএস রাজাশেখরা রেড্ডি এসিকে-ভিডিসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেই খেলাটাই উপহার দিলেন রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল।

পোলার্ডের বোলাররা দিনের প্রথম উইকেটের দেখা পেল ভারতের ইনিংসের ৩৭ নম্বর ওভারে। ততক্ষণে রোহিত-রাহুলের যা ধ্বংস করার করা হয়ে গিয়েছিল।

প্রথম উইকেটে ভারত তুলল ২২৭ রান। ১০৪ বলে ১০২ করে আলজারি জোসেফের বলে রস্টন চেজের হাতে ক্য়াচ আউট হয়ে যান তিনি। আটটি চার ও তিনটি ছয়ে রাহুল সাজিয়েছিলেন নিজের ইনিংস। রাহুল ফেরার পর বিরাট কোহলি ক্রিজে নামেন। কিন্তু প্রথম বলেই অত্যন্ত খারাপ একটি শট মেরে কোনও রান না-করেই প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটা লাগান তিনি।

এরপর হিটম্যানের দুরন্ত শো শেষ হয় ১৫৯ রানে। ১৩৮ বলের চোখ ধাঁধানো ইনিংসে মুম্বইকর ১৭টি চার ও পাঁচটি ছয় মারেন। তিনিও ক্যাচ আউট হয়ে যান। শেলডন কটরেলের বলে শে হোপের হাতে জমা পড়ে যান রোহিত।

রোহিত-রাহুলের তৈরি করে দেওয়া মঞ্চে এরপর আগুন জ্বালান আয়ার ও ঋষভ পন্থ। ১৬ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন পন্থ। তাঁর ব্যাট থেকে তিনটি চার ও চারটি ছয় এসেছে তারই মধ্যে। আয়ারের ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৫৩ রান। তিনিও পন্থের মতোই তিনটি চার ও চারটি ছয় মারলেন। শেষ পর্যন্ত ভারত নির্ধারিত ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩৮৭ রান তোলে।

এই রান তাড়া করতে নেমে উইন্ডিজ শুরুটা খুব একটা মন্দ করেনি। দুই ওপেনার এভিন লুইস ও শেই হোপ প্রথম উইকেটে ৬১ রান যোগ করেন ১১ ওভারে। আয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩৫ বলে ৩০ করে হোপ ফিরে যান। শার্দূল ঠাকুর তাঁর উইকেটটি নেন।

এরপর গত ম্যাচের সেঞ্চুরিকারী শিমরন হেটমায়ার (৪) ও রস্টন চেজের (৪) উইকেট ব্যাক-টু-ব্যাক তুলে নিয়ে ভারত প্রায় ম্যাচ পকেটে পুরে ফেলে। হেটমায়ার রান-আউট হন, চেজকে ফেরান রবীন্দ্র জাদেজা। ৮৬ রানে তিন উইকেট চলে যায় উইন্ডিজের। এরপর হোপের সঙ্গে ভাল একটা পার্টনারশিপ খেলেন নিকোলাস পুরান। ৪৭ বলে ঝোড়ো ৭৫ করে আউট হন তিনি। মহম্মদ শামির বলে কুলদীপ যাদবের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর পোলার্ড (০) আসেন আর যান। ফেরেন হোপও। ৮৫ বলে ঝকঝকে ৭৫ রান করেন তিনি।

এরপর জেসন হোল্ডার (১১) ফেরেন। শেষের দিকে কেমো পল (৪২ বলে ৪৬) ও খারি পিয়ের (১৮ বলে ২১) লড়াই করেন ঠিকই। কিন্তু বৈতরণী পার করাতে পারেননি। বল হাতে কুলদীপ ও শামি তিন উইকেট করে পেয়েছেন এদিন।

আগামী রবিবার কটকের বারাবটি স্টেডিয়ামে সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচে নামবেন পোলার্ড-কোহলি। ক্রিকেট ফ্যানেরা এখন থেকেই সুপার সানডে-র জন্য বুক বাঁধতে শুরু করে দিয়েছেন।

cricket
Advertisment