ভারত ১৭০/৭
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৭৩/২
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জয়ী (৯ বল হাতে রেখে)
তিরুঅনন্তপুরমে রাতের দিকে শিশির প্রভাব ফেলবে ম্যাচে। ফলে টস জিতে প্রথমেই বল করতে চেয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও কায়রন পোলার্ড। কিন্তু টসে কারোর হাত থাকে না। ভারত টস হেরে ম্যাচটাও হেরে গেল গ্রিনফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে।
এই মাঠে ১৬০ ছিল পার স্কোর। ১৮০/১৮৫ করলে লড়াইয়ের মঞ্চটা প্রস্তুত করতে পারতেন বিরাটরা। আর এই ক'টা রান করতে না-পারাই কাল হল ভারতের। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়ে আনল উইন্ডিজ। এর ফলে আগামী বুধবার ওয়াংখেড়েতেই হবে সিরিজের ফয়সলা। যে জিতবে সিরিজ তার।
That will be all from the 2nd T20I. 1-1 and the stage is set for the decider in Mumbai #TeamIndia #INDvWI @Paytm pic.twitter.com/tbt5RwYl9c
— BCCI (@BCCI) December 8, 2019
ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরুটা কেএল রাহুল আর রোহিত শর্মা মন্দ করেননি। কিন্তু খারি পিয়েরের বলে শিমরন হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে যান রাহুল (১১ বলে ১১)। তিনি যখন আউট হন তখন ভারতের স্কোর ৩.১ ওভারে ২৪।
সকলেই ভেবে ছিলেন যে, এবার রোহিত আর বিরাট কোহলি খেলাটা ধরবেন। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট তিনে নিয়ে আসে শিবম দুবেকে।মুম্বইয়ের বছর ছাব্বিশের অলরাউন্ডার কিন্তু হতাশ করলেন না। শুরু থেকেই রণংদেহী মূর্তি ধারণ করেন তিনি। রোহিতের সঙ্গে স্ট্রাইক রোটেট করতে থাকেন দুবে। হাত খুলেই খেলতে আরম্ভ করেন।
শিবম পাশে পেলেন না হিটম্যানকে। রোহিত এদিনও ব্যর্থ হলেন। ১৮ বলে ১৫ করে জেসন হোল্ডারের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে যান। এরপর আসেন কোহলি। শিবমকে নিজের খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রমাগত অনুপ্রাণিত করতে থাকেন তিনি। শিবমও ঝকঝকে একটা ইনিংস উপহার দিলেন।
FIFTY!@IamShivamDube got promoted to No.3 in the batting order and he makes it count. He brings up his maiden T20I half-century off 27 deliveries ????????#INDvWI @Paytm pic.twitter.com/Ul2P18973n
— BCCI (@BCCI) December 8, 2019
জীবনের চতুর্থ আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলতে নেমে ৩০ বলে ৫৪ রান করে আউট হন তিনি। ১৮০.০০ স্ট্রাইক রেটে তিনটে চার ও চারটি ছয় হাঁকান শিবম। কিন্তু জুনিয়র ওয়ালশের বলে হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি।
গত ম্যাচে অনবদ্য ব্যাটিং করা কোহলি কিন্তু এদিন পারলেন না প্রত্যাশা পূরণ করতে। ১৭ বলে মাত্র ১৯ রান করে কোহলি ফিরলেন উইলিয়ামসের বলে। সিমন্সের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে যান তিনি।
এরপর ঋষভ পন্থ আর শ্রেয়স আয়ারের থেকে একটা যুগলবন্দি দেখার আশা করেছিল তিরুঅনন্তপুরম। কিন্তু আয়ার ১১ বলে মাত্র ১০ রান করেই আউট হয়ে যান সেই ওয়ালশের বলে। ক্যাচ তুলে দেন ব্র্যান্ডন কিংয়ের হাতে।
এরপর রবীন্দ্র জাদেজা এসে উইলিয়ামসের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে যান মাত্র ৯ রান করে। শেষ ওভারে পন্থ পান ওয়াশিংটন সুন্দরকে। তিনি কোনও রান না করে শেলডন কটরেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। শেষ পর্যন্ত পন্থ অপরাজিত থাকেন ২২ বলে ৩৩ করে। নির্ধারিত ওভারে ভারত তোলে ১৭০ রান।
জবাবে লেন্ডি সিমন্স ও এভিন লুইসের ওপেনিং জুটিতে উইন্ডিজ দুরন্ত শুরু করে। প্রথম উইকেটে চলে আসে ৭৩ রান। সুন্দরের বলে ৩৫ বলে ৪০ করে আউট হয়ে যান সিমন্স। ক্রিজে আসেন হেটমায়ার। জাদেজার বলে বড় শট মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কোহলির অসাধারণ ক্যাচে তাঁকে ফিরতে হয় ১৪ বলে ২৩ করে। কিন্তু সিমন্স ঠিকই করে নিয়েছিলেন দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়বেন তিনি। নিজের সংকল্পে অবিচল থাকেন তিনি। ৪৫ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। সিমন্সের কাজটা সহজ করে দেন নিকোলাস পুরান। তিনি ১৭ বলে ৩৪ রানের অপরাজিত থাকেন।
ভারত: বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা কেএল রাহুল, শ্রেয়স আয়ার, ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), শিবম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দর, রবীন্দ্র জাদেজা, যুজবেন্দ্র চাহাল, দীপক চাহার, ও ভুবনেশ্বর কুমার
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: এভিন লুইস, লেন্ডি সিমন্স, ব্র্য়ান্ডন কিং, শিমরন হেটমায়ার, কায়রন পোলার্ড (অধিনায়ক), নিকোলাস পুরান, জেসন হোল্ডার, খারি পিয়ের, কেসরিক উইলিয়ামস, শেলডন কটরেল ও হেডেন ওয়ালস জুনিয়র