ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০৭/৫
ভারত: ২০৯/৪ (১৮.৪/২০ ওভার, টার্গেট ২০৮)
ভারত ৬ উইকেটে জয়ী (৮ বল হাতে রেখে)
India vs West Indies 1st T20I: নিজামের শহর হায়দরাবাদে রাজত্ব করলেন বাইশ গজের রাজা। ফের একবার বিরাট কোহলি প্রমাণ করে দিলেন কেন তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের চেজমাস্টার।
রান তাড়া করতে নেমে নিয়মমাফিক একটা অনবদ্য জয় উপহার দিলেন ভারতকে। শুক্রবার রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ভারত ১-০ এগিয়ে গেল।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কোহলি। ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পান কায়রন পোলার্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেন করতে নামেন লেন্ডি সিমন্স ও এভিন লুইস।
ওয়াশিংটন সুন্দর বল হাতে শুরু করেই প্রথম ওভারে ১৩ রান হজম করেন। শুরুটাই বলে দিয়েছিল টি-২০-র বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা কম রানে থামবেন না।
দ্বিতীয় ওভারে দীপক চাহার এসেই ভারতকে সাময়িক স্বস্তি দেন। তাঁর দ্বিতীয় বলেই ফিরে যান লেন্ডি। মাত্র ২ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ আউট হয়ে যান ক্যারিরিবিয়ান ওপেনার।
এরপর এভিন লুইস আর ব্র্যান্ডন কিং রীতিমতো রণংদেহী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন। এই জুটিটা ভাঙেন ওয়াশিংটন সুন্দর। লুইস তাঁর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান। ১৭ বলে ৪০ করে ডাগআউটে ফেরেন তিনি। এরপর কিং এসেও রানের গতিটা সচল রাখেন। শিমরন হেটমায়ারের সঙ্গে জুটি বেঁধে ১০ ওভারে ১০০ রানের গণ্ডী পার করান দলের। কিন্তু কিংকে ফেরান রবীন্দ্র জাদেজা। ২৩ বলে ৩১ করে স্টাম্প আউট হয়ে যান তিনি।
এরপর ক্যাপ্টেন পোলার্ড ক্রিজে আসেন। হেটমায়ারের সঙ্গে জুটি বেঁধে চেষ্টা করেন উইন্ডিজকে একটা বড় রান উপহার দেওয়ার। আর সেই কাজে সফলও হন দু’জনেই।
দুরন্ত ইনিংস খেলেন হেটমায়ার। ৪১ বলে ৫৬ রান (২টি চার ৪টি ৬) করে আউট হন তিনি। ১৮ নম্বর ওভারের যুজবেন্দ্র চাহালের প্রথম বলেই তুলে মারতে গিয়ে রোহিতের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে যান তিনি। আর ঠিক তৃতীয় বলে চাহাল ক্লিন বোল্ড করে দেন পোলার্ডকে। ১৯ বলে ৩৭ রান (১টি চার ও ৪টি ৬) করেন তিনি।
শেষে জেসন হোল্ডার ( ৯ বলে ২৪) ও দীনেশ রামদিন (৭ বলে ১১) মিলে শেষপর্যন্ত ২০৭ রান তুললেন।
রোহিত শর্মা আর কেএল রাহুলের ব্যাটে রান তাড়া করতে নেমে ভারত চতুর্থ ওভারে হারায় ওপেনার রোহিত শর্মাকে। ১০ বলে ৮ রান করে খারি পিয়েরের বলে হেটমায়ারের হাতে আউট হয়ে যান।
এরপর ক্যাপ্টেন কোহলিকে নিয়ে অনবদ্য ছন্দে এগিয়ে যান রাহুল। ৪০ বলে ঝকঝকে ৬২ রান ( ৫টি চার, ৪টি ৬) করে আউট হন তিনি। পিয়েরের বলে পোলার্ডের হাতে ক্যাচ আউট হন তিনি। রাহুল যখন ফেরেন তখন ভারতের স্কোর ১৩.৩ ওভারে ১৩০/২। এরপর কোহলির হাত শক্ত করতে নামেন ঋষভ পন্থ। শুরুটা ভাল করেও পন্থ শেষটা করতে পারলেন না। প্রথা মেনেই বড় শট মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন। শেলডন কটরেলের বলে জেসন হোল্ডারের হাতে জমা পড়ে যান। ২০০-র স্ট্রাইক রেটে ৯ বলে ১৮ করে ডাগআউটে ফেরেন পন্থ। তিনি আউট হওয়ার পর শ্রেয়স আয়ার এসেছিলেন ক্রিজে। কিন্তু ৬ বলে ৪ রান করে ফিরে যান। যদিও ততক্ষণে ভারতকে জয়ের রাস্তায় একাই নিয়ে গেছিলেন বিরাট। শেষ বলে ছয় মেরে ভারতকে ৮ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে জিতিয়ে দেন। আর বিরাট অপরাজিত থাকলেন ৯৪ বলে। ৫০ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ৬টি ছয়তে সাজিয়েছিলেন।
*ভারত:* বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা কেএল রাহুল, শ্রেয়স আয়ার, ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), শিবম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দর, রবীন্দ্র জাদেজা, যুজবেন্দ্র চাহাল, দীপক চাহার, ও ভুবনেশ্বর কুমার
*ওয়েস্ট ইন্ডিজ:* এভিন লুইস, লেন্ডি সিমন্স, ব্র্য়ান্ডন কিং, শিমরন হেটমায়ার, কায়রন পোলার্ড (অধিনায়ক), দীনেশ রামদিন, জেসন হোল্ডার, খারি পিয়ের, কেসরিক উইলিয়ামস, শেলডন কটরেল ও হেডেন ওয়ালস জুনিয়র