Advertisment

মধুরেণ সমাপয়েৎ, দেশবাসীকে বড়দিনের উপহার বিরাটদের

জাদেজাকে ফিনিশিং লাইন পার করাতে মাঠে নামেন শার্দূল। ৬ বলে দুরন্ত ১৭ রানের ক্যামিও ইনিংস উপহার দেন তিনি। জাদেজা অপরাজিত থাকেন ৩১ বলে ৩৯ রানে। হাতে এক ওভার দু'বল বাকি রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তৃতীয় ও ফাইনাল ওয়ানডে ম্যাচে ৪ উইকেটে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিল ইন্ডিয়া।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩১৫/৪

ভারত ৩১৬/৬

৮ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয়ী ভারত

ম্যাচের সেরা: বিরাট কোহলি

সিরিজের সেরা: রোহিত শর্মা

Advertisment

বড়দিনের তিন দিন আগেই ফ্যানেদের ক্রিস্টমাস গিফট দিলেন বিরাট কোহলিরা।

রবিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তৃতীয় ও ফাইনাল ওয়ানডে ম্যাচে ৪ উইকেটে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ জিতে নিল ইন্ডিয়া। রবিবার কটকের বারাবটি স্টেডিয়ামে ভারতের সিরিজ জয়ের নেপথ্যে রইল রবি শাস্ত্রীর দলের টপ অর্ডার আর টেলএন্ডারদের দুরন্ত ব্যাটিং। এদিন টস জিতেই কোহলি রান তাড়া করার পথ বেছে নিয়েছিলেন। উইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান তিনি। শুরুর দিকে ভারতীয় বোলাররা উইকেট না-পেলেও তাঁদের বলে একটা আঁটোসাটো ব্যাপার ছিল। কিন্তু ম্যাচ গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই ছন্নছাড়া বোলিং, মিস ফিল্ডিং, ভুলভ্রান্তিতে ভরা উইকেটকিপিং সঙ্গী হলো বিরাটের দলের। ৩২ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের রাশটা ভারতের হাতেই ছিল। ততক্ষণে উইন্ডিজ চার উইকেট হারিয়েও ফেলে স্কোরবোর্ডে ১৪৪ তুলে। এভিন লুইস (২১), শে হোপ (৪২), রস্টন চেজ (৩৮), শিমরন হেটমায়ার (৩৭) ফিরে যান।

এরপর ওয়ানডে ম্যাচটাকে টি-২০-র মোড়কে মুড়ে দিলেন নিকোলাস পুরান ও কায়রন পোলার্ড মিলে। ১৩৫ রান এল তাঁদের ব্যাট থেকে। ৬৪ বলে ৮৯ করে আউট হন পুরান। ১০টি চার ও ৩টি ছয় মারলেন তিনি।

অন্যদিকে ক্যাপ্টেন পোলার্ড ৫১ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকলেন। ৩টি চার ও ৭টি ছয় হাঁকিয়েছেন পোলার্ড। নির্ধারিত ওভারে উইন্ডিজ পাঁচ উইকেট হারিয়ে তুলল ৩১৫ রান।

এদিন ভারতের হয়ে দুই উইকেট পেয়েছেন ওয়ানডে অভিষেককারী নভদীপ সাইনি। একটি করে উইকেট শার্দূল ঠাকুর, মহম্মদ শামি ও রবীন্দ্র জাদেজার। উইন্ডিজের বড় রান তাড়া করতে নেমে ভারতের কিক-স্টার্ট দুরন্ত ভাবে করলেন দুই ওপেনার কেএল রাহুল ও রোহিত শর্মা। তাঁদের যুগলবন্দিতে প্রথম উইকেটেই চলে আসে ১২২ রান। ৬৩ বলে দুরন্ত ৬৩ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন হিটম্যান। এরপর কোহলির সঙ্গে কিছুটা পথ হাঁটেন রাহুল। কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১১ রান আগে থামেন তিনি। ৭৭ বলে ৮৯ রানে আউট হন রাহুল। ভারত ১৬৭ রানে হারায় দলের দ্বিতীয় উইকেট।

এখান থেকে ভারত ২২৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে যায়। দলের মিডল অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল। শ্রেয়স আয়ার (৭), ঋষভ পন্থ (৭) ও কেদার যাদব (৯) এলেন আর উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে গেলেন। তিন ব্যাটসম্যান মিলে যোগ করলেন মাত্র ২৩ রান। কোহলি বুঝে গিয়েছিলেন যে আজও একাই তাঁকে বৈতরণী পার করাতে হবে। কোহলি ফের ধরা দিলেন চেজমাস্টারের ভূমিকায়। পাশে পেলেন স্যার জাদেজাকে। দু'জন মিলেই প্রায় ভারতকে জয়ের দোরগোড়ায় এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু কোহলি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলেন না। ৮১ বলে ৮৫ করে আউট হয়ে যান তিনি। বিরাট যখন ফেরেন তখন ভারতের স্কোর ২৮৬। চলছিল ৪৭ ওভারের খেলা।

জাদেজাকে ফিনিশিং লাইন পার করাতে মাঠে নামেন শার্দূল। ৬ বলে দুরন্ত ১৭ রানের ক্যামিও ইনিংস উপহার দেন তিনি। জাদেজা অপরাজিত থাকেন ৩১ বলে ৩৯ রানে। হাতে এক ওভার দু'বল বাকি রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।

জয় দিয়েই ২০১৯ সালটা শেষ করল টিম ইন্ডিয়া। আপাতত সপ্তাহ তিনেকের ব্রেক কোহলিদের। নতুন বছর শুরু হবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ দিয়ে। লাসিথ মালিঙ্গারা ফিরে যাওয়ার পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ভারতে আসবে অস্ট্রেলিয়া। ২০২০-তে ভারতের প্রথম ম্যাচ ৫ জানুয়ারি। লঙ্কা বাহিনীর বিরুদ্ধে গুয়াহাটিতে প্রথম টি-২০।

Virat Kohli
Advertisment