Dodda Ganesh as Kenya cricket coach: কেনিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ হিসেবে নিযুক্ত হলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডোড্ডা গণেশ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একমাত্র মাত্র ওয়ানডে খেলেছিলেন গণেশ। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৯৯৬-৯৭ সালের অভিষেক হওয়া ম্যাচটি ছিল তাঁর শেষ। সেই ম্যাচে ৫ ওভারে ২০ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন। তবে সাউথ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪টে টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন। ৫৭.৪০ গড়ে ৫ উইকেট নেন।
কেরিয়ার শুরুর পর নিজের বোলিং একশনের জন্য বারবার শিরোনামে উঠে এসেছেন। কপিল দেবের মত ছিল অবিকল বোলিং একশন। খারাপ পারফরম্যান্সের পর বাদ পড়েন। পরবর্তীতে বোলিং একশনে রদবদল ঘটিয়ে ফেরার চেষ্টা করেও সফল হননি। ১৯৯৮/৯৯ সিজনে কর্ণাটকের হয়ে রঞ্জিতে সফলতম বোলার ছিলেন ডোড্ডা গণেশ। সেই সময় কর্ণাটক রঞ্জি দলে জাভাগল শ্রীনাথ, অনিল কুম্বলে, সুনীল জোশি, ভেঙ্কটেশ প্রসাদদের মত তারকারা খেলতেন।
সবমিলিয়ে কেরিয়ারে ১০৪টি প্ৰথম শ্রেণির এবং ৮৯টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছেন। দুই ধরণের ফরম্যাটে উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে ৩৬৫ এবং ১২৮টি। প্ৰথম শ্রেণির ক্রিকেটে শতরানেরও নজির রয়েছে তাঁর। দুই ধরণের ক্রিকেটে তাঁর রান সংখ্যা যথাক্রমে ২০২৩ এবং ৫২৫।
টেস্টে তাঁর প্ৰথম উইকেটই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকান গ্যারি কার্স্টেন। ২ জানুয়ারি, ১৯৯৭-এ কেপটাউনে টেস্টে অভিষেক ঘটেছিল। প্ৰথম ইনিংসে উইকেটশূন্য থাকার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর শিকার গ্যারি কার্স্টেন, লেগ বিফোর করে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘গণহত্যার দায় এড়াতে পারে না ও…’ বিতাড়িত সাংসদকে পাকিস্তানে খেলার অনুমতি দিল স্বাধীন বাংলাদেশ
২০০২-এর সেমিফাইনালিস্ট দল কেনিয়ার সঙ্গে গণেশের চুক্তি হল এক বছরের। দায়িত্ব নিয়েই নিজের লক্ষ্য চূড়ান্ত করে দিয়েছেন ভারতীয় কোচ। বলেছেন, বিশ্বকাপে দলকে যোগ্যতা অর্জন করাতে চাই। এখনও পর্যন্ত কেনিয়া চারটে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে। তিনটে ওয়ানডে এবং একবার টি২০ বিশ্বকাপে দেখা গিয়েছিল একসময় বেশ সাড়া জাগানো দলটিকে।
ঘরের মাঠে কেনিয়া গণেশের কোচিংয়ে নামবে আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপ চ্যালেঞ্জ লিগে। কেনিয়া ছাড়াও এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে পাপুয়া নিউগিনি, ডেনমার্ক, কাতার, কুয়েত এবং জার্সি।
ডোড্ডা গণেশ বলেছেন, "দায়িত্ব নেওয়ার আগে ইউটিউবে ওঁদের খেলা দেখেছি। এটুকু বলতে চাই, ওঁরা ভালো শ্যেপে রয়েছে। আমার প্ৰথম লক্ষ্য বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করা। ওঁরা একাধিকবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে। ওঁদের কঠোর পরিশ্রম সম্পর্কে বেশ অবহিত আমি। গত ১০ বছরে ওঁদের কী হয়েছে জানি না। তবে অতীত নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না। আমি কেনিয়ানদের চ্যাম্পিয়ন হিসাবে ভাবতে চাই।"