আর কয়েক ঘণ্টা পরেই বিরাট কোহলিরা নামবেন পার্থে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে ভারত। এবার খেলাটা পার্থে অনুষ্ঠিত হলেও এটি কিন্তু সেই চেনা ভয়ঙ্কর পার্থ নয়। বাইশ গজের ইতিহাসে পার্থ মানে ওয়াকা স্টেডিয়ামকেই বোঝায়। এবারের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে পার্থ শহরেরই নতুন ভেন্যু ওপটাস স্টেডিয়ামে। যা পার্থ স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত। ফলে খেলা কিন্তু ওয়াকায় নয়।অস্ট্রেলিয়ার চাহিদা মতোই পার্থের এই পিচ অত্যন্ত ফাস্ট ও বাউন্সি রাখা হয়েছে।
পিচ দেখে রীতিমতো খুশি ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ম্যাচে নামার আগে সাংবাদিক বৈঠকে কোহলি বললেন, “এত প্রাণবন্ত পিচ দেখে আমরা খেলার জন্য মুখিয়ে আছি, নার্ভাসনেস নেই কোনও। আমরা জানি, যেরকম বোলিং অ্যাটাক আছে আমাদের, তারা যে কোনও প্রতিপক্ষকেই আউট করতে পারে। দলের চার-পাঁচ জন বোলার তাদের ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করছে। এটা একটা দারুণ অনুভূতি। ওদের পেয়ে অধিনায়ক হিসেবে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। শেষ তিনটে সফরেই ওরা দুর্দান্ত বল করেছে। এটা ভাল লাগছে যে, উইকেটের একটা খিদে রয়েছে বোলারদের। চট করে কেউ কোনও রান দিচ্ছে না।”
আরও পড়ুন: পার্থের রহস্য উন্মোচন করলেন প্রধান কিউরেটর, কেমন হয়েছে পিচ!
পিচের প্রসঙ্গে কোহলির সংযোজন, “পিচ দেখে খুব ভাল লাগছে। আশা করি আর ঘাস ছাঁটা হবে না। এরকম থাকলে প্রথম তিনদিন পিচ অত্যন্ত প্রাণবন্ত থাকবে। আমাদের ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে নিজেদেরকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হবে পার্থে। তবেই বোলারদের সমর্থন করতে পারব। অ্যাডিলেডে বোলাররা দারুণ করেছিল।’’ কোহলির কাছে পার্থের এই পিচ জোহানেসবার্গের পিচের ধারেকাছেও আসবে না। একথা সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, “১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় খেলছি। সত্যি বলতে জোহানেসবার্গের মতো উইকেটে কখনও খেলিনি। ২০১২ সালে পার্থেও খেলেছি। জোহানেসবার্গের ধারে কাছে আসবে না।”
পিচ নিয়ে ভারত খুব বেশি ভাবছে না বলেও কোহলির বক্তব্যে ফুটে উঠেছে। বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটসম্যান জানালেন, “দেখুন এই পিচ আমাদের কাছে ভিন গ্রহের নয়। অতীতেও এরকম পিচে খেলেছি। কোনও নতুনত্ব নেই এখানে। আমরা জানি এই পিচের থেকে কী প্রত্যাশা করা যায়। উইকেটে ঘাস রয়েছে। জমিও অত্যন্ত শক্ত। দু’দলই একই রকম ভাবে ম্যাচের মধ্যে থাকবে। এরকম কঠিন উইকেটে যে দল ভাল সামলাতে পারবে সেই জিতবে।”