ভারত ১৪৮/৫ (২০ ওভার)
ইংল্যান্ড ১৪৯/৫ (১৯.৪ ওভার)
ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী
ইংল্যান্ড ইনিংসের ১৭ তম ওভারটাই সবচেয়ে জরুরি হয়ে গেল, যখন আগের দিনের চমৎকার করা চায়নাম্যান দু দুটো ওভারবাউন্ডারি খেয়ে গেলেন। ডিপ মিড উইকেটে বিরাটের মুখব্যাদান বুঝিয়ে দিচ্ছিল ম্যাচ হাতের বাইরে বেরিয়ে গেছে। প্রথম ছয়ের আগেই কমেন্ট্রি বক্সে সঞ্জয় মঞ্জরেকর বলছিলেন, এ ওভারেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে ইংল্যান্ডকে। তাঁর কথা যেন শুনতে পেয়েছিলেনক্রিজে থাকা ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা। তবে ১৮তম ওভারে ভুবনেশ্বরের বলে বেয়ারস্টো আউট হতে কিছুটা আশা তৈরি হয়েছিল। তবে তা ধুলোয় লুটোতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। শেষ ওভারের প্রথম চার বলে ১৫ রান দিয়ে খেলা শেষ করে দেন ভুবি।
এদিন কার্ডিফে টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। এবং তাদের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, তা শুরুতে ভারতের পরপর উইকেট হারানো থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়। শিখর ধাওয়ান এদিন ফের ব্যর্থ (১০)। তিনি তবু দু অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছেন। আগের দিনের সেঞ্চুরিকারী লোকেশ রাহুলের এদিনের সংগ্রহ ৬ রান। রান পেলেন না রোহিত শর্মাও। তাঁর সংগ্রহে সাকুল্যে ৫ রান। ভারতের স্কোর ভদ্রস্থ জায়গায় দাঁড় করাতে বিরাট আর ধোনিই যেটুকু টানলেন। ক্য়াপ্টেন ৩৮ বলে ৪৭ রান, ও প্রাক্তন ক্যাপ্টেন ২৪ বলে ৩২ রান না করলে ভারতের অবস্থা বেগতিক হত। কিছুটা রান পেলেন রায়নাও (২০ বলে ২৭)। কিন্তু এ কজনের সমবেত প্রয়াসও ভারতকে দেড়শোর গণ্ডি পার করাতে পারল না। ২০ ওভারে উঠল ৫ উইকেটে ১৪৮।
ইংল্যান্ডকে তা সত্ত্বেও বেশ কিছুটা আটকে রাখতে পেরেছিল ভারতের বোলিং। উমেশ যাদব তাঁর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ড শিবির অবধি লড়াইটা পৌঁছে দিতে শুরু করেন। পরে দুই স্পিনার কুলদীপ ও চাহালও সাধ্যমতো লড়েছিলেন। কিন্তু ১৫০-র কম স্কোরকে ডিফেন্ড করার মত তির তাঁদের তূণীরে ছিল না আজ। ইংল্যান্ডের হয়ে হেলস ৪১ বলে ৫৮ রান করেছেন। বেয়ারস্টো করেছেন ১৮ বলে ২৮ রান।