চলতি বছরেই কি ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ? এমনই জল্পনা উস্কে দিল পাকিস্তানের মিডিয়া। বলা হয়েছে, চলতি বছরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি টি২০ সিরিজ খেলবে ভারত। জিওসুপার টিভি-র তরফে দাবি করা হয়েছে, ঐতিহাসিক টি২০ সিরিজের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। ২০২১-এর শেষের দিকেই তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলবে ভারত-পাকিস্তান।
এর পাল্টা হিসাবে পিসিবি-র তরফে পুরো দাবি প্রথমে অস্বীকার করা হয়। তবে পরে এই দাবির সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের মিডিয়া ডেইলি জং-কে দেওয়া বিবৃতিতে এক পিসিবি আধিকারিক বলে দিয়েছেন, "আমাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।"
আরো পড়ুন: তিন পরিবর্তন ঘটিয়ে সিরিজ জিততে নামছে ভারত! কোহলির দলে একাধিক চমক
এর মধ্যেই পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি বলে দিয়েছেন, বিসিসিআইয়ের তরফে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে আবার এখনই দাবি করা হয়েছে, যদি এই সিরিজ সম্পন্ন হয়, তাহলে ভারতকে পাকিস্তানে যেতে হবে। কারণ দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ফর্মুলা মেনে এর আগের সিরিজে পাকিস্তান ভারত সফরে গিয়েছিল।
২০১২-১৩ সালে শেষবার পাকিস্তান-ভারত দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল। তারপর সীমান্ত উত্তেজনা রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে আর দেখা যায়নি দুই দলকে। একমাত্র আইসিসি টুর্নামেন্টেই মুখোমুখি খেলে দুই দল।
কিছুদিন হল, ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়িয়ে চলার ইঙ্গিত দিয়েছে পাকিস্তান। সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতিও জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে টুইট করে আরোগ্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাক প্রধানমন্ত্রীকে শান্তির বার্তা দিয়ে চিঠিও লিখেছেন মোদি। এইসবই ইঙ্গিতবাহী বলছে ওয়াকিবহাল মহল। দুই রাষ্ট্রনায়কের বার্তালাপকে স্বাগত জানিয়েছেন কেভিন পিটারসেনের মত তারকা ক্রিকেটারও।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে চলতি ইংল্যান্ড সিরিজেই কোহলি সাংবাদিক সম্মেলনে বলে দিয়েছিলেন, বোর্ডের তরফে বার্তা এসেছে বছরের শেষের দিকে আরো কিছু টি২০ সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিতে।
সবমিলিয়ে, মোদির টুইট আর কোহলিদের ক্রিকেট রাজনীতি মিশে যাচ্ছে নতুন সম্ভাবনার জন্য। সত্যি কি হবে ঐতিহাসিক এই সিরিজ? দেখা যাক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন