টার্গেট ছিল মাত্র ১৭২। কোনও উইকেট না হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ভারত। প্রথমে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু দেওয়ার পরে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করে গেলেন যশস্বী জয়সোয়াল। তিনি একাই ১০৩ রানে অপরাজিত থাকলেন। অন্যপ্রান্তে সাক্সেনা ৫৯ নট আউট। ৩৫.২ ওভারে ভারত জয় নিশ্চিত করল। ৮৮ বল ও ১০ উইকেট হাতে নিয়ে পাক বধ ভারতের।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে দুরমুশ করে ভারত ফাইনালে উঠল। অলরাউন্ড ক্রিকেটে ভারত পাকিস্তানকে হারাল এদিন। ম্যাচের সেরা যশস্বীই।
বিশ্বকাপে ভারতের সামনে পড়লেই পাকিস্তানের ভেবলে যাওয়ার ট্র্যাডিশন অক্ষুণ্ণ থাকল মঙ্গলবার। পচেফস্ট্রুমে যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তান ভারতের সামনে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১৭২ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল।
ভারতের বোলারদের সামনে কার্যত মাথা তুলে দাঁড়াতে পারলেন না পাক ব্যাটসম্যানরা। মাত্র তিনজন দু-অঙ্কের রানে পৌঁছেছেন। বাকিদের রান সংখ্যা মোবাইল নম্বরের মতো- ৪, ০, ৯, ৩, ২, ২, ১, ০। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর চার নম্বরে নামা রোহেল নাজিরের। তিনি একাই ৬২ রান করেন। রোহিত শর্মাকে গুরু বলে মান্য করা পাক ওপেনার হায়দার আলি এদিন হাফসেঞ্চুরি করেছেন- ৫৬। তবে বাকিদের রান লজ্জা পাওয়ার মতো।
ভারতের বোলিং লাইন আপে প্রত্যেকেই উইকেট পেয়েছেন। এদের মধ্যে সফলতম পেসার সুশান্ত মিশ্র। ৮ ওভারে মাত্র ২৮ রান খরচ করে তিনটে উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। কার্তিক ত্যাগী ও রবি বিষ্ণোইয়ের শিকার ২টো করে। অথর্ব আঙ্কোলেকর ও যসশ্বী জয়সোয়ালও একজন করে পাক ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন।
টসে জিতেছিল পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাক অধিনায়ক। দ্বিতীয় ওভারেই সুশান্ত মিশ্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মহম্মদ হুরাইরাকে। তারপরে ফাহাদ মুনিরকে ফেরান রবি বিষ্ণোই। ৩৪ রানে ২ উইকেট খুইয়ে ফেলার পরে তৃতীয় উইকেটে ওপেনার হায়দার আলির সঙ্গে ভাল পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন রোহিল নাজির। স্কোরবোর্ডে ৬২ রান যোগ করে ফেলেছিলেন দু-জনে। ধীরে ধীরে ম্যাচের রাশ আলগা হচ্ছিল ভারতের হাত থেকে।
সেই সময়েই ব্রেকথ্রু দেন যশস্বী জয়সোয়াল। তিনি ওপেনার হায়দার আলিকে ফিরিয়ে দেন। তারপরে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাক ব্যাটিং। মাঝে মহম্মদ হ্যারিস একপ্রান্তে টিকে থেকে ২১ না করলে স্কোরবোর্ডে পাকিস্তান দেড়শো পেরোতো কিনা, সন্দেহ। পাকিস্তান শেষ ৬ উইকেট হারায় ২৬ রানে।