Rohit Sharma vs Mohammed Nabi: ভারতের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মহম্মদ নবির মধ্যে উত্তপ্ত অন-ফিল্ড তর্ককে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। বেঙ্গালুরুতে তৃতীয় এবং শেষ টি২০ ম্যাচে এই তর্কাতর্কি একটা আবেগের পর্যায়কে তুলে ধরেছে। যা সুপার ওভারের মেজাজকে তুঙ্গে তুলেছিল।
ম্যাচে আফগানিস্তান একটি বিশাল রান তাড়া করছিল। কিন্তু, ৪০ ওভার শেষে স্কোর ২১২-য় গিয়ে শেষ হয়। সুপার ওভারে আফগানিস্তান প্রথমে ব্যাট করে এবং ১৬ রান করে। তবে, তার মধ্যে দুটি রান আসে যখন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার সঞ্জু স্যামসনের একটি থ্রো আফগান ব্যাটার মহম্মদ নবির গায়ে গিয়ে আঘাত করে। নবি দ্রুত সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টা চালান। লং-অনে বিরাট কোহলির দিকে ছুটে আসা ডিফ্লেক্টেড বলের সুবিধা নিতে নবি দ্বিধা করেননি।
আফগানিস্তান ডিফ্লেক্টেড ওভারথ্রো থেকে অতিরিক্ত দুটি রান নেওয়ার পর রোহিত শর্মা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার তাঁর যুক্তিতে অনড় ছিলেন। তিনি যুক্তি দেন, যা করেছেন নিয়মের মধ্যেই। সুপার ওভারে ইনিংস পরিবর্তনের জন্য ডাগআউটে ফিরে যাওয়ার সময় রোহিত আম্পায়ারের সঙ্গেও এনিয়ে তর্ক করতে থাকেন। এমনটাই দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- এত ভালো খেলেও কপাল পুড়ছে রিঙ্কুর! বিশ্বকাপে হয়ত টিম ইন্ডিয়ায় জায়গাই হবে না KKR সুপারস্টারের
রোহিত শর্মা দাবি করেছেন যে মাঠের তর্ক তাঁকে মোটেও প্রভাবিত করেনি। কারণ, সুপার ওভারে ভারতের হয়ে ব্যাট হাতে তিনিই ছিলেন নায়ক। টাই হওয়ার পর তৃতীয় টি২০ ম্যাচ দুটি সুপার ওভারের সাক্ষী হয়। দুই সুপার ওভারের প্রতিটিতে একটি ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি মেরেছেন রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় সুপার ওভারে ভারত সফলভাবে ১১ রান বাঁচিয়েছে। রবি বিষ্ণোই বেঙ্গালুরুতে এই নাটকীয় সন্ধ্যায় দ্বিতীয় সুপার ওভারে বল হাতে দুটি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন- রিঙ্কুর বিধ্বংসী ইনিংসেও রইল কালো দাগ! আউট হওয়া রিঙ্কুকে বাঁচাল বড়সড় গন্ডগোল, দেখুন পুরোটা
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলতে গিয়ে দ্রাবিড় জানান, শুভমন গিলও প্রথম টি২০-তে এভাবে ওভারথ্রো থেকে অতিরিক্ত রান নিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই সময় ভারত এবং আফগানিস্তানের মধ্যে কোনও দলই এনিয়ে আপত্তি তোলেনি। এই প্রসঙ্গে দ্রাবিড় বলেন, 'সত্যি বলতে কী, প্রথম টি২০-তে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। বল আমাদের ব্যাটসম্যানের ব্যাটে আঘাত করেছিল। আর আমরাও একটি রান করেছি। আমি মনে করি, এতে সমস্যার কিছু নেই। এমন কোনও নিয়ম নেই যে, এভাবে রান নেওয়া যাবে না। হতাশা থাকতেই পারে। কিন্তু, এটা খেলারই অংশ।'
আরও পড়ুন- সবাইকে খুশি করতে পারব না! থ্রিলার জিতেই বিস্ফোরণ রোহিতের, মন ভাঙলেন সতীর্থদের
রাহুল আরও বলেন, 'দেশের হয়ে খেলার সময় একটা আবেগ থাকে। প্রতিযোগিতা শেষে আবেগ চলে যায়। এটা মাত্রাছাড়া হয়ে গেলে ম্যাচ রেফারি এবং অন্যান্যরা সেসব দেখার জন্য আছেন। আমি মনে করি, মাঝে মাঝে এই আবেগ সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। এটা বোঝায় যে একজন খেলার প্রতি কতটা যত্নবান। যতক্ষণ না এটা মাত্রাছাড়া হয়ে যায়, ততক্ষণ কোনও অসুবিধা নেই।'