পরপর দু ম্যাচ হেরে ওডিআই সিরিজ হেরে বসল ভারত। ঠিক যেন প্রথম ম্যাচের রিপিট টেলিকাস্ট এদিনও। পৌনে চারশো-র ওপর রান তাড়া করতে নেমে ফের একবার মুখ থুবড়ে পড়ল ভারত। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে দুরন্ত খেলে গিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। এদিন ক্যাপ্টেন কোহলি ও রাহুল অর্ধশতরান করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার ৩৮৯/৪ এর জবাবে ভারত থামল ৩৩৮/৯-এ। ৫৫ রানে ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়াল ভারত।
বিশাল রান তাড়া করতে নেমে ভারতের দুই ওপেনার এদিনও ব্যর্থ। মায়াঙ্ক আগারওয়াল (২৬ বলে ২৮) ও শিখর ধাওয়ান (২৩ বলে ৩০) ফিরে যাওয়ার পর ইনিংসের হাল ধরেন আইয়ার-কোহলি। তবে আইয়ারও দুরন্ত ক্যাচে ফিরিয়ে দেন স্টিভ স্মিথ।
এরপরে , কেএল রাহুল এবং বিরাট কোহলি রানের পার্টনারশিপ ভারতের জয়ের আশা জাগিয়ে তুলেছিলেন। তবে বিরাট কোহলি ৮৭ বলে ৮৯ করে ফিরে যাওয়াতে সেই স্বপ্ন ধাক্কা খায়। এরপরেও একা লড়ছিলেন রাহুল। ৬৬ বলে ৭৬ করে আউট হয়ে যান রাহুল।
হার্দিক পান্ডিয়ার উপরেই এরপর বেঁচে ছিল ভারতের স্বপ্ন। তবে হার্দিক এদিন ৩১ বলে ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি। অজি বোলারদের মধ্যে এদিন সেরা পারফরম্যান্স অন্য এক আইপিএল ফ্লপ প্যাট কামিন্স। ৩ উইকেট নেন তিনি। হ্যাজেলউড এবং জাম্পা নেন দুটো করে উইকেট।
আরো পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে দশ বছর টানা ধর্ষণ, বাবরের মুখোশ খুললেন পাক তরুণী
এদিন যেন ঠিক যেন প্রথম ম্যাচের রিপিট টেলিকাস্ট। টসে জিতে ব্যাট করতে নামা। তারপর ভারতীয় বোলারদের কচুকাটা করে চারশো-র কাছাকাছি তোলা। আইপিএলে ব্যর্থ তারকাদের জ্বলে ওঠা। সিডনিতে মরণ বাঁচন ম্যাচে খেলতে নেমে ফের জঘন্য পারফরম্যান্স মেলে ধরল কোহলির টিম ইন্ডিয়া।
আগের ম্যাচের মতোই সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া ওপেনিং জুটিতেই ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় ভারতকে। প্রথম উইকেটে ফিঞ্চ-ওয়ার্নার জুটি ১৪২ করে যান। অজি অধিনায়ক ফিঞ্চ ৬০ বলে ৬৬ করেন। ওয়ার্নার আবার ৭৭ বলে ৮৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। আর তিনে নামা স্মিথ যেন শুরু করলেন আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকে। এদিনও ৬৪ বলে ১০৪ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন তিনি। হাঁকান ১৪টি বাউন্ডারি, জোড়া ওভার বাউন্ডারি। এই নিয়ে সিরিজের দুটো ম্যাচেই সেঞ্চুরি করলেন তারকা ব্যাটসম্যান। মাঝে লাবুশানে ৬১ বলে ৭০ রানে যোগ করে যান।
গত ম্যাচের চিত্রনাট্য মেনেই স্লগ ওভারে ঝড় তুললেন ম্যাক্সওয়েল। সাইক্লোন বইয়ে ম্যাড ম্যাক্সের ব্যাট থেকে এদিন বেরোল ২৯ বলে ৬৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ২১৭.২৪।
আগের ম্যাচে তবু ৩ উইকেট নিয়ে নজর কেড়েছিলেন শামি। এদিন ভারতের কোনো বোলারই ফণা তুলতে পারেননি। সাত জন বোলারকে ব্যবহার করেছেন কোহলি। বাধ্য হয়ে মায়াঙ্ক আগারওয়াল, হার্দিককেও বোলিংয়ে ডাকতে হয়েছে কোহলিকে। তবে কিছুতেই কাজ হয়নি। সবথেকে ‘কৃপণতম’ বোলিং চাহালের। ৯ ওভারে দিয়েছেন ‘মাত্র’ ৭১ রান। এতেই স্পষ্ট ভারতীয় বোলিংয়ের হাল। বুমরা, শামি ওভার পিছু খরচ করেছেন ৮ রান। সাইনি আবার ৭ ওভারেই বিলিয়েছেন ৭০ রান। তাঁকে পুরো কোটা ব্যবহারের সাহস পাননি কোহলি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন