সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে মান বাঁচাল ভারত। প্রথম ২ ম্যাচ হেরে বসার পর ভারত অস্ট্রেলিয়াকে তৃতীয় ওয়ানডেতে হারাল ১৩ রানের ব্যবধানে। ম্যাক্সওয়েলের দুরন্ত লড়াইয়েও হোয়াইটওয়াশ করতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩০২/৪ তুলেছিল স্কোরবোর্ডে। কোহলি, জাদেজা এবং হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটে ভর করে প্রাথমিক ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দেয় ভারত। জবাবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস খতম হয় ২৮৯ রানে। অলআউট হয়ে যায় অজিরা। ভারতের জয় ১৩ রানে।
জয়ের জন্য ৩০৩ রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া একসময় ১২৩/৪, ১৫৮/৫ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে অজিদের ম্যাচে ফেরান দুরন্ত ম্যাক্সওয়েল। প্রথমে ক্যারি এবং পরে আগারের সঙ্গে ছোট ছোট জুটিতে তিনি দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আস্কিং রান রেটও আয়ত্তের মধ্যেই ছিল।
ভারতের জয়ের মাঝে কেবল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ম্যাড ম্যাক্স। তবে ভারতকে সেখান থেকে ম্যাচে ফেরান বুমরা। নিখুঁত গতিতে স্ট্যাম্প ছিটকে দেন তিনি ম্যাক্সওয়েলের। ৩৮ বলে ৫৯ করে যান তিনি। তারপরে অজিদের জয়ের সম্ভবনা ছিল না। তা হয়-ও নি। এদিন শামি, চাহাল, নভদীপ সাইনিকে বাইরে রেখে প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন কোহলি। সেই স্ট্র্যাটেজি পুরোপুরি সফল। পরিবর্তে নামা শার্দুল ঠাকুর, অভিষেককারী নটরাজন, কুলদীপ প্রত্যেকেই এদিন বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যান।
বুমরা এদিনই প্রথমবার চলতি সিরিজে জ্বলে উঠেছিলেন। ৪৩ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট দখল করেন বুম বুম বুমরা। নটরাজন ১০ ওভারে ৭০ রান খরচ করলেও লাবুশানে, আগারকে আউট করেন। শার্দুল নিজের কোটায় ৫১ রান খরচ করে ৩ উইকেট তুলে নেন। কুলদীপও এদিন যথাযথ।
তার আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে বাইরে রেখে শুভমান গিলকে ওপেন করতে পাঠানো হয়েছিল ধাওয়ানের সঙ্গে। তবে সেই দুর্বল শুরুয়াত হওয়া ঠেকানো গেল না। গিল কোনওরকমে ৩৩ করলেও ধাওয়ান ফের ব্যর্থ। স্কোরবোর্ডে ১২৩ রান ওঠার আগেই ভারতের টপ অর্ডার শেষ হয়ে গিয়েছিল। একে একে ফিরে গিয়েছিলেন ধাওয়ান (১৬), গিল (৩৩), কেএল রাহুল (১৯), শ্রেয়স আইয়াররা (৫)।
বিরাট কোহলি একা টানছিলেন। তবে তিনিও ৬৩ করার পরে পিছনে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। এর মধ্যেই একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম ১২০০০ রানের মালিক হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে ফেলেন তিনি। পিছনে ফেলেন স্বয়ং শচীনকে। দেড়শো রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট খুইয়ে ফের একবার যখন লজ্জাজনক বিপর্যয়ের আশঙ্কা টিম ইন্ডিয়াকে ঘিরে, সেই সময়েই আবার ত্রাতা হয়ে ওঠেন হার্দিক। জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৫০ রানের পার্টনারশিপ খেলে যান তিনি। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে হার্দিক করে যান ৭৬ বলে ৯২। অন্যদিকে, জাদেজার অবদান ৫০ বলে ৬৬ রান।
এদিন স্টার্ক, প্যাট কামিন্সকে বিশ্রাম দিয়ে অজিরা প্রথম একাদশে সুযোগ দিয়েছিল শন অ্যাবটকে।
আরো পড়ুন: ওয়ার্নারের কুঁচকির চোটে দায়ী ম্যারাথন সঙ্গম! লজ্জার মাথা খেয়ে ফাঁস স্ত্রী ক্যান্ডিসের
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন