সিডনিতেও জ্বলে উঠলেন চেতেশ্বর পূজারা। ফের একবার নিজের জাত চেনালেন তিনি। বুঝিয়ে দিলেন কেন রাহুল দ্রাবিড়ের পর তিনিই ভারতের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’। বুধবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চলতি সিরিজের চতুর্থ ও শেষ ম্য়াচে পূজারার ব্যাট থেকে এল আরও একটা ঝকঝকে সেঞ্চুরি। এই নিয়ে চলতি সিরিজের তৃতীয় শতরান করে ফেললেন সৌরাষ্ট্রের ডাণ হাতি ব্যাটসম্যান। টেস্ট ক্রিকেটে নিজের ১৮ নম্বর সেঞ্চুরিটাও চলে আসল তাঁর।
অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্টে ১২৩ রানের ইনিংস খেলা পূজারা মেলবোর্নেও করেছিলেন ১০৬। ১৯৯টি বল খেলে কাঙ্খিত তিন অঙ্কের রানের পৌঁছন পূজারা। ৩০ বছরের ক্রিকেটারের হাত থেকে এসেছে ১৩টি চার। একই সঙ্গে এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে গেলেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে এসে গেল ৪২৮ রান। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এটি পূজারার পঞ্চম সেঞ্চুরি। এবারই প্রথম বিদেশের মাটিতে কোনও টেস্ট সিরিজে একের বেশি সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন পূজারা। পূজারার ছাপিয়ে গেলেন ভিভিএস লক্ষ্মণকে। লক্ষ্মণের ছিল ১৭টি টেস্ট সেঞ্চুরি। পূজারা এখন ১৮-তে।
আরও পড়ুন: পূজারার রেকর্ডে ৪৪৩ রানে থামল ভারতের প্রথম ইনিংস
এদিন সিডনিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি। ময়ঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন লোকেশ রাহুল। মেলবোর্ন টেস্টে বাদ পড়া রাহুল এদিন আবার ব্যর্থ হন। মাত্র ৬ বল খেলে ৯ রানে ফিরে যান তিনি। হ্যাজেলউডের বলে মার্শের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে যান। পূজারার সঙ্গে জুটি বেঁধে এগিয়ে যান ময়ঙ্ক। মেলবোর্নের মতোই সিডনিতেও ময়ঙ্ক নিজের ছাপ রাখলেন। ১১২ বলে ৭৭ রানের মারকাটারি ইনিংস খেললেন তিনি। সাতটি চার ও দু'টি ছয়ে নিজের ইনিংস সাজান ময়ঙ্ক।
ময়ঙ্ক আউট হওয়ার পর ক্যাপ্টেন কোহলি ক্রিজে আসেন। কিন্ত এদিন পূজারার সঙ্গে তাঁর পার্টনারশিপ বেশি দূর এগোতে পারেনি। ২৩ রানে ফিরতে হয় বিরাটকে। হ্যাজেলউডের শিকার হন তিনি। এরপর অজিঙ্ক রাহানে এসেও পূজারার সঙ্গে বেশিক্ষণ ক্রিজে কাটাতে পারেননি। মাত্র ১৮ রানেই ফিরতে হয় তাঁকে। দিনের শেষে ভারত চার উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩০৩ রান তুলেছে। ১৩০ রানে অপরাজিত আছেন পূজারা। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন হনুমা বিহারী। ৩৯ রানে ব্যাট করছেন তিনি।