অ্যাডিলেড, পার্থ, মেলবোর্ন ও সিডনি। এই চার ভেন্যুতেই ২০১৮-১৯ ইন্দো-অজি টেস্ট সিরিজ। অ্যাডিলেডের পালা শেষ। এবার আগামিকাল থেকে পার্থে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। বাইশ গজের মানচিত্রে বরাবরই পার্থের একটা আলাদা জায়গা। বিশ্বের দ্রুততম পিচগুলোর মধ্যে অন্যতম পার্থ। ব্যাটসম্যানদের কাছে পার্থ নিছকই একটা পিচ নয়, অগ্নিপরীক্ষার মঞ্চ। অন্যদিকে বোলাররা পেস আর বাউন্সের স্বর্গরাজ্যে আগুন ঝলসানোর জন্য মুখিয়ে থাকেন। কিন্তু এবারের ম্যাচ চেনা পার্থ বা ওয়াকা-তে নয়, খেলা হবে অপটাস স্টেডিয়ামে। যেটি পার্থ স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত।
আর কয়েক ঘণ্টা পরে কোহলি অ্যান্ড কোং নামবেন এখানে। কেমন হয়েছে নতুন পার্থের পিচ? এই প্রশ্নই অনেকের মনে। অবশেষে পার্থের রহস্য উন্মোচন করলেন খোদ এখানকার প্রধান কিউরেটর ব্রেট সিপথর্প। পার্থের এই নয়া স্টেডিয়ামে এখনও পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েক’টা আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেঅর্থে আগামিকাল প্রথম ব্লকবাস্টার। সিপথর্প সাফ জানিয়ে দিলেন ফাস্ট এবং অত্যন্ত বাউন্সি পিচেই হবে খেলা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে তিনি জানিয়েছেন, “ফাস্ট ও বাউন্সি পিচ বানানোর জন্যই আমাদের বলা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি পিচটাকে যতটা সম্ভব বাউন্সি করা যায়। শিল্ড ম্যাচেও ঠিক এরকমই পিচ হয়েছিল এখানে। খেলোয়াড়দের থেকে দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলাম। কোনওরকম নেতিবাচক ফিডব্যাক পাইনি আমরা। পিচের আদ্রতা, পেস আর বাউন্স একদম এক রাখার চেষ্টা করেছি।’’
আরও পড়ুন: পার্থে নামার আগেই বড় ধাক্কা, ছিটকে গেলেন রোহিত-অশ্বিন
অ্যাডিলেড টেস্টের পর ভারতীয় দলের বোলিং কোচ ভরত অরুণ বলেছিলেন, ভারতীয় বোলাররা পার্থের পেস সহায়ক বাউন্সি পিচে বল করতে মুখিয়ে রয়েছে। গত ম্যাচে ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ শামি ও যসপ্রীত বুমরার সৌজন্যে ১৪টি উইকেট এসেছিল। পার্থেও সেরাটা দিতে মরিয়া তাঁরা। এখন শুধু মাঠে বল গড়ানোর অপেক্ষা।