IND vs BAN T20 Live Score Updates in Bengali: ভিত গড়ে দিয়েছিল সৌম্য সরকার এবং মহম্মদ নঈমের পার্টনারশিপ, তার ওপর নির্মাণ করলেন মুশফিকুর রহিম, যাঁর পারফরম্যান্স চমকপ্রদ বললেও কম বলা হয়। এই প্রথম শাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালকে বাদ দিয়ে কোনও টি ২০ ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। এবং ম্যাচের পর সৌম্য স্পষ্ট করেই বললেন, সাত উইকেটের এই জয় তাঁরা উৎসর্গ করছেন টিমের দুই অনুপস্থিত সিনিয়র খেলোয়াড়ের উদ্দেশে।
ভারত প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ২০ ওভারে ১৪৮ তোলে। কোটলার পিচ সামান্য মন্থর। এই পিচেই টাইমিংয়ে গণ্ডগোল করে একের পর এক ভারতীয় ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। সর্বোচ্চ স্কোর শিখর ধাওয়ানের (৪১)। ক্রিজে টিকে গেলেও বড় রান করতে ব্যর্থ শ্রেয়স আইয়ার (২৭) এবং ঋষভ পন্থ (২২)। একসময়ে মনে হয়েছিল ভারতের স্কোর বোধহয় ১৩০-এও পৌঁছবে না। শেষবেলায় ব্যাটে ঝড় তোলেন ওয়াশিংটন সুন্দর (৫ বলে ১৪) এবং ক্রুনাল পাণ্ডিয়া (৮ বলে ১৫)।
তবে শুধু ব্যাটিংয়ে নয়, ভারতের খামতি ছিল বোলিং এবং উইকেট কিপিংয়েও। জসপ্রীত বুমরা এবং ভুবনেশ্বর কুমারের অভাব বোঝা গেছে পদে পদে। এবং উইকেটের পেছনে ঋশভ পন্থের আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও আরও একবার বোঝা গেল, মহেন্দ্র সিং ধোনির ওপর ঠিক কতটা ভরসা করতে শিখেছে এই ভারতীয় টিম।
একটা নয়, দুটো নয়, ১৯ নম্বর ওভারে খালিল আহমেদকে চারটি চার হাঁকিয়ে ম্যাচ কার্যত ছিনিয়ে নিলেন মুশফিকুর রহিম, এবং ৪৩ বলে ৬০ রান করে অপরাজিতও থাকলেন তিনি। অভিষেক ম্যাচেই বাংলাদেশের জয় সুনিশ্চিত করতে শেষ ওভার বল করলেন হতভাগ্য শিবম দুবে। জেতার জন্য যেখানে প্রয়োজন এক রান, সেখানে ডিপ মিড-উইকেটের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিলেন মাহমুদুল্লা।
অতি দ্রুত পট পরিবর্তন করছে এই ম্যাচ। সৌম্য আউট হওয়ার পর ভাবা গেছিল যে এবার ব্রেক কষতে বাধ্য হবে বাংলাদেশ। কিন্তু ১৮ নম্বর ওভারে চাহালের বলে ডিপ মিড-উইকেটে সহজতম ক্যাচ ফেললেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। এবং এই ওভারে দুটি চারের দৌলতে এল ১৩ রান, যার ফলে ১৮.২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১২৯-৩, আর ১০ বলে প্রয়োজন মাত্র ২০ রান।
এই দুজনের সমর্থনে প্রচুর টুইট চোখে পড়ছে আজ
ওভারের শুরুটা ছক্কা দিয়ে করেছিলেন খালিল আহমেদ, কিন্তু কড়ায় গন্ডায় পুষিয়ে দিলেন সৌম্য সরকারের উইকেট দিয়ে! স্টাম্পের ওপর লেংথ বল পয়েন্টের পিছনে পাঠাতে গিয়েছিলেন সৌম্য, কিন্তু জায়গা বানিয়ে নেন নি, ফলে বল সোজা উইকেটে। ১৭.১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১১৬-৩
১৬ নম্বর ওভারে স্রেফ ৬ রান দিলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া, কিন্তু ১৭ তম ওভার শুরু করেই বড়সড় ছক্কা বিতরণ করলেন খালিল আহমেদ, ফাইন লেগের ওপর দিয়ে হাঁকালেন মুশফিকুর। আপাতত ধাওয়ানের চোখের কিছু সমস্যা হওয়ায় কিছুক্ষণ বিশ্রামের সুযোগ। ১৬.৫ ওভারে বাংলাদেশ ১১৪-২
১৫.১ ওভারে ১০০ রানে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ। এখনও দুই উইকেটের বেশি নিতে ব্যর্থ ভারতীয় বোলাররা। আত্মপ্রত্যয়ী দেখাচ্ছে সৌম্য সরকার (৩১ বলে ৩৫) এবং মুশফিকুর রহিমকে (৩০ বলে ২৯)। চাই ২৬ বলে ৪৬, হাতে ৮ উইকেট। কিচ্ছু বলা যায় না!
সোশ্যাল মিডিয়া দেখলে বুঝবেন, যতটা উৎসাহ দেখা যাচ্ছে এই ম্যাচ ঘিরে, ততটাই সমালোচনা চলছে এই ম্যাচ হওয়ার অনুমতি দেওয়া নিয়ে। দিল্লির ভয়াবহ দূষণ, এবং খুব অল্প সময়ের জন্যও ঘরের বাইরে সেই দূষিত বাতাসে শ্বাস নেওয়া, খেলাধুলো তো দূরের কথা, যে কতটা ক্ষতিকারক, তা নিয়ে মন্তব্যের ঝড় তুলেছেন অনেকেই। মহেন্দ্র সিং ধোনির অনুপস্থিতি নিয়েও সরব টুইটেরাটি।
১১ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৬৯। ক্রুনাল পাণ্ডিয়া নিজের প্রথম ওভারে খরচ করলেন ৭ রান। জয়ের জন্য শেষ ৯ ওভারে বাংলাদেশকে তুলতে হবে ৮০ রান। হাতে রয়েছে ৮ উইকেট। চাহাল টাইট লেংথে বোলিং করছেন। বাকিদের টার্গেট করার স্ট্র্যাটেজি করছেন মুশফিকুর-সৌম্য।
প্রথম ওভারে খরচ করেছিলেন মাত্র ১ রান। দ্বিতীয় ওভারেও চাহালের দিলেন মাত্র ১ রান। ২ ওভারে ২ রান দিয়ে চাহাল রীতিমতো চাপে রেখেছেন বাংলাদেশি ব্য়াটসম্যানদের। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে ৬২ তুলেছে। শেষ ১০ ওভারে এখনও ৮৭ রান তুলতে হবে বাংলাদেশকে। হাতে রয়েছে ৮ উইকেট। চাহারের বাকি দু-ওভার ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
ভারতকে কাঙ্খিত ব্রেক থ্রু এনে দিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। প্রথম ওভারে বল করতে এসেই চাহাল আউট করলেন ক্রিজে জমে যাওয়া মহম্মদ নঈমকে। প্রথম বলে ১ রান খরচ করার পরে চারটে ডট বল করেছিলেন। চাপ বাড়ছিল ক্রিজের অন্যপ্রান্তে থাকা নঈমের উপরে। পঞ্চম বলে স্লগ স্যুইপ করতে গিয়েই ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তিনি। অভিষেক ম্যাচেই নঈম ২৮ বলে ২৬ করে গেলেন। ৮ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৫৪।
ম্যাচ ক্রমশ হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে ভারতের। সৌম্য সরকার এবং মহম্মদ নঈমের পার্টনারশিপে নির্দ্বিধায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশি ইনিংস। শেষ তিন ওভারে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে যোগ করেছে ৩৩ রান। ২৪ বলে ২৬ রানে ব্য়াটিং করছেন মহম্মদ নঈম। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করছেন সৌম্য (১৪ বলে ১৮)। ৭ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৫৩/১। বাংলাদেশের টার্গেট ৭৮ বলে ৯৬ রান।
দীপক চাহারের তৃতীয় ওভারে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ১২ রান যোগ করল। একটি বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি সমেত। ৫ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৩২। খলিল আহমেদকে পরের ওভারে সম্ভবত চেঞ্জ বোলার হিসেবে আনবেন চাহারের জায়গায়। ২০ বলে ২০ রান করে বাংলাদেশি ইনিংসকে ভরসা জোগাচ্ছেন মহম্মদ নঈম।
পিচের গতি মন্থরতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যায় পড়ছেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। ৩ ওভার শেষে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ১৬ রান তুলতেই হারিয়েছে লিটন দাসের উইকেট। ক্রিজে মহম্মদ নঈমের সঙ্গে ব্যাটিং করছেন সৌম্য সরকার।
প্রথম ওভারেই আউট লিটন। দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি হাকিয়েছিলেন বাংলাদেশি ওপেনার। দীপক চাহারের চতুর্থ বলে অবশ্য প্যাভিলিয়নে ফিরতে হল ৭ রানের মাথায়। ব্যাক অফ দ্য লেংথের বল পয়েন্টে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ তুলে আউট হয়ে গেলেন তিনি। প্রথম ওভার শেষে বাংলাদেশ ৯ রান।
নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৪৮ তুলল ভারত। ওয়াশিংটন সুন্দর এবং ক্রুনাল পাণ্ডিয়া ঝড় তুললেন শেষ দু-ওভারে। শেষ দু-ওভারে দুজনে স্কোরবোর্ডে যোগ করলেন ৩০ রান। ক্রুনাল ৮ বলে ১৫ করলেন। ওয়াশিংটন সুন্দর ৫ বলে ১৪ করে গেলেন। জিততে হলে বাংলাদেশকে ২০ ওভারে ১৪৯ তুলতে হবে। এখন দেখার। এই রান তাড়া করতে বাংলাদেশ পারে কিনা!
রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আউট ঋষভ পন্থ। শফিউল ইসলামের শর্ট বল পুল করেছিলেন। লং অনে ক্যাচ উঠে যায়। ক্যাচ তালুবন্দি করেন মহম্মদ নঈম। ১৮.২ বলে ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে ১২১।
অভিষেকে সফল হতে পারলেন না শিবম দুবে। ধাওয়ান রান আউট হওয়ার পরে ক্রিজে নেমেছিলেন শিবম দুবে। তবে টাইট লেংথে ক্রমাগত বোলিং করে চলেছিলেন আফিফ। লেংথ বল খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ের হেরফের করে বসেছিলেন শিবম। একহাতে দারুণ ক্যাচ নিলেন আফিফ। ৩ ওভার বোলিং করে ১১ রান খরচ করে ১ উইকেট তুলে নিলেন আফিফ। ভারত রীতিমতো সমস্যায়। ভারত ১৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪০।
পন্থের বাউন্ডারিতে ভারত স্কোরবোর্ডে ১০০ পেরোল। ১৫.১ ওভারে দলগত তিন অঙ্কের রানে পৌঁছল ভারত। ক্রিজে ব্যাটিং করছেন শিবম দুবে এবং ঋষভ পন্থ
ভুল বোঝাবুঝিতে আউট ধাওয়ান। ৪১ রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন ধাওয়ান। শর্ট মিড উইকেটে বল ঠেলে দৌঁড়েছিলেন পন্থ। দ্বিতীয় রানের জন্য কল করেছিলেন পন্থই। তবে হাফ ক্রিজে পৌঁছে ভুল বুঝতে পারেন ধাওয়ান। ক্রিজে ফিরতে গিয়েই আউট তিনি। স্কোরবোর্ডে এখনও ১০০ ওঠেনি। তার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন চার ভারতীয় ব্যাটসম্যান।
১৪ ওভার শেষে ভারত স্কোরবোর্ডে তুলেছে মাত্র ৮৫ রান। হারিয়েছে ৩ উইকেট। পরপর আউট হয়ে যাওয়ায় ঋষভ ও ধাওয়ান অনেকটাই সতর্ক। রান তোলার গতি যে বাড়াতে হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শেষ ৬ ওভারে ভারত স্কোরবোর্ডে কত তুলতে পারে, সেটাই দেখার।
ঝোড়ো ব্য়াটিং করছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারিতে ফিরোজ শাহ কোটলা একাই মাতিয়ে রাখছিলেন। তবে বেশিক্ষণ পারলেন না। নবাগত আমিনুলের ফ্লাইট ঠিকঠাক সংযোগ না করতে পেরে লং অফে ছক্কা হাকাতে গিয়ে আউট। ১৩ বলে ২২ রান করে আউট তিনি। ১০.২ ওভারে ৭০ রান স্কোরবোর্ডে তুলতেই ভারত হারিয়ে ফেলল ৩ উইকেট। ক্রিজে এলেন ঋষভ পন্থ।
৮ ওভারের মাথায় ভারত স্কোরবোর্ডে ফিফটি পেরোল। ক্রিজে ব্য়াটিং করছেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং শ্রেয়স আইয়ার। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করছেন স্থানীয় তারকা শ্রেয়স আইয়ার।
ভারত বনাম বাংলাদেশের প্রথম টি২০ এই ফর্ম্যাটে ১০০০তম ম্যাচ। শেষ হাসি কে হাসে, সেটাই দেখার
সপ্তম ওভারে দ্বিতীয় ঝটকা ভারতীয় দলে। স্পিনার আমিনুল ইসলামের প্রথম ওভারেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন লোকেশ। রোহিত আউট হয়ে যাওয়ার পরে বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই ব্যাট করছিলেন দক্ষিণী ব্য়াটসম্যান। তবে ওভারের তৃতীয় বলেই যেভাবে আউট হলেন, তাকে ক্রিকেটীয় পরিভাষায় সফট ডিসমিসালস বলে। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে লেংথ বল করেছিলেন আমিনুল। শট নিতে হেরফের করেছিলেন তিনি। সোজা কভারে ক্যাচ উঠে যায় অধিনায়ক মাহমুদ্দুল্লার কাছে। ৭ ওভার শেষে ভারত ২ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৪৪ রান।
রোহিত শর্মা আউট হয়ে যাওয়ার পরে খেলতে নেমেছেন লোকেশ রাহুল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষবার লোকেশ রাহুলের খেলা আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কিছুক্ষণ খেললেও তিনি আত্মবিশ্বাসী, বোঝা যাচ্ছে। বিজয় হাজারেতে রান করে নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন কর্ণাটকী ব্য়াটসম্যান। ভারত ৪ ওভার শেষ ১ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২২ তুলেছে।
প্রথম ওভারেই জোড়়া নাটক। জোড়া বাউন্ডারি এবং আউট। প্রথম ও পঞ্চম বলে সফিউলের বলে বাউন্ডারিতে খেলার রিংটোন সেট করে দিয়েছিলেন রোহিত। তবে ষষ্ঠ বলেই আউট রোহিত। কোটলার পিচে একস্ট্রা বাউন্স রয়েছে। সেই অতিরিক্ত বাউন্সই কাল হল। ভিতরের প্যাডে লেগে বল উইকেটকিপার মুশফিকুরের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। বাংলাদেশিরা ক্যাচ আউটের আবেদন করলেও ডিআরএস নেন রোহিত। রিপ্লেতে দেখা যায় বল ব্য়াটে না লাগলেও প্যাডে লেগেছে। লেগ বিফোর আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় হিটম্যানকে। ৫ বলে ৯ রান করলেও বিরাট কোহলিকে টপকে এদিনই রোহিত টি২০তে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে যান।
ভারতের হয়ে ওপেন করতে নেমেছেন রোহিত শর্মা-শিখর ধাওয়ান জুটি। প্রথম বলেই শইফুল ইসলামকে বাউন্ডারি হাকিয়ে ইনিংসের সূচনা করলেন রোহিত শর্মা।
রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়স আইয়ার, ঋষভ পন্থ, শিবম দুবে, ক্রুনাল পাণ্ডিয়া, ওয়াশিংটন সুন্দর, যুজবেন্দ্র চাহাল, দীপক চাহার, খলিল আহমেদ
ইঙ্গিত আগেই ছিল বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক ঘটাতে চলেছে মহম্মদ নঈম। বাঁ হাতি এই ব্যাটসম্যান চলতি বছরের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ রান স্কোরার ছিলেন। পাশাপাশি, গত মাসেই শ্রীলঙ্কা-এ দলের বিপক্ষে জোড়া হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশি অধিনায়ক মাহমুদ্দুল্লা। তিনি জানিয়ে দিলেন শাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে জুনিয়র ক্রিকেটারদের সামনে নিজেদের প্রমাণ করার ভাল সুযোগ রয়েছে।
টি২০তে ৮২তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ঘটতে চলেছে শিবম দুবের। কোচ রবি শাস্ত্রীর কাছ থেকে টি২০ ক্যাপ নিলেন তারকা অলরাউন্ডার। হার্দিক পাণ্ডিয়ার বদলি অলরাউন্ডার হিসেবে খেলছেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে শুরুটাই তিনি স্মরণীয় করে রাখতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার।
লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মহম্মদ নঈম/মহম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদ্দুল্লা, মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, আরাফাত সানি, মুস্তাফিজুর রহমান, আল আমিন হোসেন, আবু হায়দার/তাইজুল ইসলাম
রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, সঞ্জু স্যামসন/লোকেশ রাহুল, শ্রেয়স আইয়ার, ঋষভ পন্থ, শিবম দুবে, ক্রুনাল পাণ্ডিয়া, ওয়াশিংটন সুন্দর, যুজবেন্দ্র চাহাল/রাহুল চাহার, দীপক চাহার, শার্দুল ঠাকুর/খলিল আহমেদ
বাংলাদেশের প্রথম একাদশ ভবিষ্যৎবাণী করা খুব মুশকিল। কেবলমাত্র মিডল অর্ডার অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গত মাসে শ্রীলঙ্কা এ দলের বিপক্ষে মহম্মদ নঈম পরপর অর্ধশতরান হাকিয়েছিলেন। তার পুরস্কার হিসেবে নঈমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটতে পারে। পাশাপাশি আল আমি এবং আরাফাত সানি প্রথম একাদশে ফিরতে পারেন।
দিল্লি ম্যাচ হওয়া নিয়ে শঙ্কা অনেকদিন থেকেই। তবে নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটতে পারে প্রতিভাবান অলরাউন্ডার শিবম দুবের। যুবরাজ সিংয়ের ছায়া অনেকে বলছেন শিবমকে। প্রথম একাদশে ঋষভ পন্থের সঙ্গেই দেখা যেতে পারে সঞ্জু স্যামসনকে। সম্প্রতি ব্যাট হাতে ভাল ফর্মে রয়েছেন তিনি। রাহুল চাহারের পরিবর্তে চাহালকে রোহিত প্রথম একাদশে রাখবেন মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি টিম ম্যানেজমেন্টকে ঠিক করতে হবে পেসার হিসেবে খলিল আহমেদ নাকি শার্দুল ঠাকুরকে খেলানো হবে।