IND vs BAN T20 Score Updates in Bengali: দীপক চাহারের ছয় উইকেট নিয়ে হৈহৈ পড়ে গেছে ইতিমধ্যেই, পড়ারও কথা, তবে মারাত্মক হয়ে ওঠা নঈমকে ফেরানো, এবং ব্যাটিং স্তম্ভ মুশফিকুরকে শূন্য রানে আউট করার কৃতিত্ব কিন্তু শিবম দুবের। এই দুজন সময়মত আউট না হলে কী হতো বলা মুশকিল। দিনের শেষে রাহুল এবং শ্রেয়সের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিও কিন্তু কথা বলেছে। জয়ের জন্য ১৭৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা শেষমেশ দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের সামনে। এবং বড় স্কোর আত্মবিশ্বাস যোগায় ভারতের বোলারদেরও।
শুরুতেই দুই ওপেনার তড়িঘড়ি সাজঘরে ফিরে যাওয়ায় কিঞ্চিৎ টলমলে ভাবেই শুরু হয় বাংলাদেশের ইনিংস। আজকের নির্ণায়ক টি-২০ ম্যাচে জেতার প্রবল চাপ ছিল তাদের ওপর, কিন্তু তা মাথায় নিয়েই দুই ওপেনারের খামতি ঢাকতে ভয়ঙ্কর ঝড় তোলেন মহম্মদ নঈম। বিশেষ করে ১১ থেকে ১৩ ওভারের মাঝের সময়টায় মনে হচ্ছিল, ম্যাচই বের করে নেবেন তিনি। কিন্তু পরপর মিঠুন এবং মুশফিকুর আউট হয়ে যাওয়ায় গোঁত্তা খায় বাংলাদেশের ইনিংস। এবং কিছুক্ষণ পরেই নামে উইকেটের ধ্বস।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সফলতম সৌম্য সরকার। তাঁর মিডিয়াম পেস মন্থর পিচে উপযোগী। তিনিই এক ওভারে পরপর পন্থ ও শ্রেয়স আইয়ারকে ফেরত পাঠান। পাশাপাশি ২ উইকেট নেন সফিউল ইসলামও। সবচেয়ে দরাজ বোলিং করেন মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের ৪ ওভারে ৪২ রান বিলিয়ে কোনও উইকেট নিতে পারেন নি তিনি।
প্রথম ম্যাচে হারের পরে ভারত দ্বিতীয় ম্যাচে রাজকোটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ক্যাপ্টেন রোহিতের বিধ্বংসী ব্যাটে ভর করে চূর্ণ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে।
ম্যাচের শেষ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানকে আউট করে পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করলেন চাহার! পরের বলে তুলে নিলেন আমিনুল ইসলামকেও! বাংলাদেশ অল আউট, দুই ওভার মিলিয়ে হ্যাট-ট্রিক চাহারের! সাত রান দিয়ে ছয় উইকেট, অভাবনীয়! যাই হোক, খেলা শেষ, ৩০ রানে জিতল ভারত, সিরিজ ২-১।
দীপক চাহারের অনবদ্য বোলিং আজ, টি ২০ ক্রিকেটে তাঁর সেরা পারফরম্যান্স। এইমাত্র শফিউল ইসলামকে আউট করে আজকের ম্যাচে তাঁর চতুর্থ উইকেট তুলে নিলেন তিনি। তাঁর তিন ওভারে উঠেছে স্রেফ সাত রান, সঙ্গে চার উইকেট। প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের একজন দাবিদার, বলাই বাহুল্য।
শিবমের পারফরম্যান্সে অনুপ্রাণিত হয়ে এবার মাহমুদুল্লাকে ফিরিয়ে দিলেন চাহাল। দশ বলে আট রান করে হাঁকড়ে চালাতে গিয়ে বোল্ড। ১৭ ওভার শেষ, বাংলাদেশের স্কোর ১৩১-৭, বড় কোনও অঘটন না ঘটলে ভারতের জয় এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। এবং এই উইকেটের কল্যাণে যুজবেন্দ্র চাহাল হয়ে গেলেন ভারতের হয়ে টি ২০ ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুত ৫০ উইকেট নেওয়া বোলার।
মুশফিকুরের উইকেট ঝুলিতে পুরে স্পষ্টতই উজ্জীবিত শিবম দুবে এবার তুলে নিলেন মহম্মদ নঈমকে! কী অনবদ্য ইয়র্কার! এবং তার পরের বলেই আউট আফিফ হুসেন! কট অ্যান্ড বোল্ড! ১৫.৪ ওভারে ১২৬-৬ বাংলাদেশ! তবে উল্লাসের ঢেউয়ে ভেসে গিয়ে নঈমের ইনিংসকে সম্মান জানাতে ভুলবেন না। ৪৮ বলে ৮১ রান, দশটা চার, দুটো ছয়। তাঁর সৌজন্যেই জয়ের কথা ভাবতে পেরেছিল বাংলাদেশ।
পরপর দুই উইকেট পড়লে যা হয় তাই হয়েছে, আচমকাই শান্ত হয়ে গেছেন নঈম। বিশেষ করে মুশফিকুরের উইকেট খুইয়ে ফের একবার কিঞ্চিৎ দিশেহারা বাংলাদেশ। জিততে এখনও চাই ৫৭ রান, হাতে রয়েছে ৩৪ টি বল।
অবশেষে ভাঙল নঈম-মিঠুন জুটি। দীপক চাহারের বলে লং-অফে রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন মহম্মদ মিঠুন। এতক্ষণ ধরে নঈম ঝড়ের সঙ্গে দিব্য তাল ঠুকে চলছিলেন, হয়তো নিজেও কিছু বড় শট মেরে জয় ত্বরান্বিত করার আশাতেই ২৯ বলে ২৭ রান করে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন তিনি। এবং তাঁর পরিবর্তে নেমেই শিবম দুবের বলে শূন্য রানে আউট মুশফিকুর! কোথাও কিছু না, ১৩ ওভারের শুরুতে ১১০-৪ এ হোঁচট খাচ্ছে বাংলাদেশ। তরতর করে চলতে থাকা নৌকো হঠাৎ চড়ায় আটকে গেল যেন।
বাংলাদেশের স্কোর ১২ ওভারের শেষে ১০৮-২, কিন্তু সেটা বড় কথা নয়, কথাটা হলো প্রয়োজনীয় রান রেট এবং বাংলাদেশের বর্তমান রান রেটের মধ্যে দ্রুত হ্রাস পেতে থাকা ব্যবধান। দুই রান রেটের মধ্যে গ্যাপ কমেই চলেছে, এবং বিধ্বংসী নঈম আজ ম্যাচ বের করে নিয়ে যেতেই পারেন, এমন গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই
সুন্দরের চতুর্থ, এবং ইনিংসের ১১ নম্বর ওভারে ১৭ রান তুলল বাংলাদেশ, সৌজন্যে দুটি চার (যার মধ্যে একটি এল খালিলের মিসফিল্ডিংয়ের দৌলতে), এবং একটি ছয়। ম্যাচের মোড় ঘোরানো ওভার দেখলাম কি আমরা? ১১ ওভারের শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৯১-২, ৫৩ বলে চাই ৮৩ রান, হাতে আট উইকেট। সুতরাং পিকচার অভি বাকি হ্যায়! কোথাও যাবেন না। এবং হ্যাঁ, নঈমের অসাধারণ হাফ সেঞ্চুরি ভুললে চলবে না। এই মুহূর্তে ৩৬ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত তিনি।
যেমন ভাবা গিয়েছিল, চাহালের বদলে বোলিংয়ে এলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। উল্টোদিকে শিবম দুবে তাঁর দুই ওভারে বিলিয়ে দিয়েছেন ২৩ রান, অতএব সেদিক থেকেও বোলিংয়ে বদল আসে কিনা, তা দেখার অপেক্ষায় সকলেই। তবে লিখতে লিখতেই সুন্দরকে লং-অফের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কা হাঁকালেন মিঠুন! বাংলাদেশ হাল ছেড়ে দিয়েছে, এমনটা একেবারেই ধরে নেবেন না!
পরপর ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ওপেনার নঈমের সঙ্গে বাংলাদেশি ইনিংস গড়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন মহম্মদ মিঠুন। ৭.৩ ওভার স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশ ৫০ তুলে ফেলল। চাহাল মোটেই ছন্দে নেই। শিবম দুবের ওভারেও রান খরচ হচ্ছে। বিকল্প পরিকল্পনা ভাবতেই হবে অধিনায়ক রোহিতকে। দুই ব্যাটসম্যান রীতিমতো রান তুলে যাচ্ছেন ইচ্ছেমতো। হাফ সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে নঈম। আস্কিং রেটও কমছে। ৯ ওভারের শেষে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে ৬২। পার্টনারশিপেও হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেন নঈম-মিঠুন। জয়ের জন্য ৬৬ বলে বাংলাদেশকে এখনও তুলতে হবে ১১৩ রান।
প্রথম ওভারে বল করতে এসেই ১৪ রান খরচ করলেন চাহাল। প্রথম তিন বলেই বাউন্ডারি হাকালেন মহম্মদ নঈম। ৫ ওভারে শেষে বাংলাদেশ ছিল ১৮। ৬ ওভার শেষে স্কোর গিয়ে দাঁড়াল ৩২। জয়ের জন্য বাংলাদেশের টার্গেট ৮৪ বলে ১৪২ রান। ওভার পিছু ১০-এর বেশি রান তুলতে হবে বাংলাদেশকে।
স্কোরবোর্ডে বিশাল রান। তবে বাংলাদেশি ব্য়াটসম্যানরা সতর্কভাবে খেলছেন। কোনও তাড়াহুড়ো নয়। এতেই আস্কিং রেট চড়চড় করে বাড়ছে। ৫ ওভার শেষে ৪-এরও কম গড়ে স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশ তুলেছে মাত্র ১৮ রান। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছেন ওয়াশিংটন সুন্দর, দীপক চাহাররা। ১৫ ওভারে এখনও বাংলাদেশকে জয়ের জন্য তুলতে হবে ১৫৭ রান। ওভার পিছু ১০-এরও বেশি স্কোরবোর্ডে তুলতে হবে মিঠুন, নঈমদের।
পরপর একই ওভারে দুই বাংলাদেশি ব্য়াটসম্যানকে আউট করলেন দীপক চাহার। ডেঞ্জারাস লিটন দাসকে প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ফেরত পাঠিয়েছিলেন দীপক চাহার। ওভার বাউন্ডারি হাকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের ধারে ক্যাচ তুললেন লিটন। সামান্য হড়কে গেলেও ওয়াশিংটন সুন্দর বল তালুবন্দি করতে ভুল করেননি। ৮ বলে ৯ রান করে ফিরলেন লিটন। ক্রিজে এসে প্রথম বলেই আউট সৌম্য সরকার। সৌম্যর ক্যাচ ধরেন শিবম দুবে। হ্যাটট্রিক অবশ্য হল না। ৩ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে ১২।
সতর্ক ভঙ্গিতে ব্য়াটিংয়ের সূচনা করেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও মহম্মদ নঈম। ২ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ১১। প্রথম ওভারেই খলিল আহমেদ ৮ রান খরচ করেছিলেন। দ্বিতীয় ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরের ওভারে উঠল মাত্র ৩ রান।
জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে টার্গেট ১৭৫। মুস্তাফিজুরের শেষ ওভারে দুবে-পাণ্ডে জুটি মিলে ১১ রান তুলল। এই পিচে যথেষ্ট ভাল স্কোর ১৭৫। তবে ভারতী টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তা শিশির। দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করার সময় বল গ্রিপ করার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। স্পিনাররা অসুবিধায় পড়বেন।
শিবম দুবের ক্যাচ ফেললেন আমিনুল ইসলাম। ১৯তম ওভারে বেশ ভাল বোলিং করলেন আল আমিন। মাত্র ৬ রান দিলেন তিনি। তাঁর ওভারেই দুটো ক্যাচিং ফস্কালেন বাংলাদেশি ফিল্ডাররা। লিটন দাসের ক্য়াচ অবশ্য অনেক কঠিন ছিল। তবে আমিনুল সহজ ক্যাচ ফস্কালেন। ১৯ ওভারে ভারত ৫ উইকেট হাকিয়ে ১৬৩।
একই ওভারে জোড়া উইকেট নিলেন সৌম্য সরকার। প্রথমে পন্থ, তারপরে শ্রেয়স আইয়ার। স্লো বল কানেক্ট করতে পারেননি। জোরালো শট হাকাতে গিয়ে বোল্ডই হয়ে গেলেন ঋষভ পন্থ। সৌম্য সরকার মন্থর পিচে কার্যকরী বোলিং করছেন। পঞ্চম বলে শ্রেয়স আইয়ার লং অফে সোজা হাকিয়ে ক্যাচ তুলে আউট হয়ে গেলেন তিনি। ৩৩ বলে ৬২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। ১৭ ওভার শেষে ভারত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৪।
ছক্কার পরে ছক্কা। আফিফ হোসেনের ওভারে পরপর তিন ছক্কা হাকালেন শ্রেয়স। তিন ছক্কার সৌজন্যে মাত্র ২৭ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেললেন তারকা ক্রিকেটার। লোকেশ রাহুল ফিরে যাওয়ার পরে বোলারদের স্ট্রাইক করার দায়িত্ব নিয়েছেন শ্রেয়স। সহযোগিতার ভূমিকায় রয়েছেন পন্থ। ১৫ ওভার শেষে ভারত ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৯ তুলে ফেলেছে স্কোরবোর্ডে।
ফিফটি করেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হল লোকেশ রাহুলকে। আল আমিনকে দ্বিতীয় স্পেলে ডেকেছিলেন অধিনায়ক মাহমুদ্দুল্লা। এসেই ব্রেক থ্রু দিলেন বাংলাদেশকে। খরচ করলেন মাত্র ৩ রান। লেগ কাটারে ঠকে গিয়ে ক্যাচ তুলে আউট হলেন লোকেশ রাহুল। ৩৫ বলে ৫২ রানে ফিরলেন তিনি। ক্রিজে এলেন ঋষভ পন্থ। ১৩ ওভার শেষে ভারত ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৭।
সৌম্য সরকারের বল স্কোয়ার কাটে মিড অফে পাঠিয়ে এক রান নিয়ে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করে ফেললেন লোকেশ রাহুল। মাত্র ৩৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করলেন কর্ণাটকী ব্যাটসম্যান। তাঁর ইনিংস সাজানো সাতটা বাউন্ডারিতে। ১৫২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছেন তিনি। ১৬ বলে ২০ রানে ব্য়াটিং করছেন শ্রেয়স আইয়ার। ১২ ওভার শেষে ভারত ২ উইকেট হারিয়ে ৯৪।
খেলা ধরে নিয়েছেন রাহুল ও শ্রেয়স আইয়ার। লোকেশ রাহুল হাফসেঞ্চুরির দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে শ্রেয়স আইয়ারও নির্ভরতা দিচ্ছেন। মুস্তাফিজুর পিচের ফায়দা নিতে ব্যর্থ। শর্ট লেংথে বোলিং করে যাচ্ছেন ক্রমাগত। আর সুবিধামতো মুস্তাফিজুরকে মাঠের বাইরে পাঠাচ্ছেন লোকেশ। ২ ওভারে ২১ রান খরচ করে ফেলেছেন তিনি। ১১ ওভার শেষে ভারত ২ উইকেট হারিয়ে ৮৭ রান তুলেছে।
মন্থর পিচে সমস্যায় ব্যাটিং করতে রীতিমতো সমস্যায় পড়ছেন ব্যাটসম্যানরা। ব্যাটে বলের সংযোগ ঘটানোই আসল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোকেশ রাহুল হোক বা শ্রেয়স আইয়ার রীতিমতো স্ট্রাগল করছেন। বাংলাদেশ এর মধ্য়ে অনিয়মত বোলার সৌম্য সরকারের মিডিয়াম পেসারকে আক্রমণে নিয়ে এল। অন্যপ্রান্ত থেকে বোলিং করছেন স্পিনার আমিনুল। ৯ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ভারত ৫৯।
যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন ধাওয়ান। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না ধাওয়ানের ইনিংসের। সফিউল রোহিতের পরে এবার ধাওয়ানকেও তুলে নিলেন। শর্ট বলে ডিপ মিড উইকেটে হাকিয়েছিলেন। তবে তা জমা হল ক্যাপ্টেন মাহমুদ্দুল্লার হাতে। ১৬ বলে ১৯ রান করে আউট হলেন ধাওয়ান। ক্রিজে এসে শ্রেয়স আইয়ার ক্যাচ তুলেছিলেন পয়েন্টে। তবে সহজ ক্যাচ ফস্কালেন ফিল্ডার। ৬ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ভারত ৪১।
খেলা ধরছেন ধাওয়ান-লোকেশ রাহুল। রোহিত শর্মা চলে যাওয়ার পরে নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন দেখা যাচ্ছে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের। লোকেশ রাহুল যেমন চতুর্থ ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হাকিয়েছিলেন, তারপরের ওভারেই মুস্তাফিজুরের ওভারে একইভাবে জোড়া বাউন্ডারি মারলেন। ধাওয়ানের ব্যাটিংয়ে আত্মবিশ্বাসের ছাপ স্পষ্ট। ৫ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ভারত ৩৪।
প্রথম ২ ওভারে মাত্র ৩ তোলার পরে ধাওয়ানের ধামাকা শুরু। আল আমিনের ওভার থেকে জোড়া বাউন্ডারি সহ গব্বর তুললেন ১০ রান। ৩ ওভার শেষে ভারত ১৩/১।
মন্থর পিচ। বল পিচে পড়ে ব্যাটে আসতে সময় লাগছে। এমন পিচে শুরুতেই আউট রোহিত। আগের ম্যাচের নায়ক রোহিত ঠকলেন সফিউলের অফকাটারে। ব্যাটের কানায় লেগে স্ট্যাম্পি নড়িয়ে দিল হিটম্যানের। ক্রিজে ব্য়াট করতে নামলেন লোকেশ রাহুল। প্রথম ওভারে ৩ রান তোলার পরে দ্বিতীয় ওভারে কোনও রানই উঠল না। প্রথম ওভারেই মেডেন ওভার নিলেন সফিউল।
ভারতের হয়ে যথারীতি ওপেন করতে নামলেন রোহিত শর্মা, শিখর শর্মা জুটি। বাংলাদেশের হয়ে নতুন বলে প্রথম ওভার শুরু করছেন আল আমিন হোসেন। প্রথম ওভার শেষে ভারত বিনা উইকেটে ৩।
বাংলাদেশ: ভারতের মতো বাংলাদেশের প্রথম একাদশেও একটি পরিবর্তন। মোসাদ্দেক হোসেনকে বসিয়ে খেলানো হচ্ছে মহম্মদ মিঠুনকে।
লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নঈম, মুশফিকুর, মাহমুদ্দুল্লা, আফিফ, মিঠুন, শফিউল, আল আমিন, মুস্তাফিজুর
ভারত: একটি পরিবর্তন ঘটিয়ে খেলতে নামছে ভারত। আগের ম্যাচের একাদশ থেকে ক্রুনাল পাণ্ডিয়াকে বসিয়ে নিয়ে আসা হল মণীশ পাণ্ডে। ভাবা হচ্ছিল খলিল আহমেদকে বাদ দিয়ে শার্দুল ঠাকুরকে খেলাবে ভারত। তবে ভারত খলিলকেই রেখে দিল প্রথম একাদশে।
রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, কেএল রাহুল, শ্রেয়স আইয়ার, মণীশ পাণ্ডে, ঋষভ পন্থ, শিবম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দর। রাহুল চাহার, খলিল আহমেদ, যুজবেন্দ্র চাহাল
টসে জিতল বাংলাদেশ। প্রত্যাশিত রান তাড়া করার ফর্মুলা মেনেই শুরুতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশি অধিনায়ক মাহমুদ্দুল্লা। এক অর্থ, প্রথম ম্যাচের ভুল ভারতকে আর করলে চলবে না। ব্যাটিং করে নাগপুরের পিচে পর্যাপ্ত রান জমা করতে হবে ব্যাটসম্যানদের। রোহিতরা তা পারেন কিনা, সেটাই দেখার।