সিরিজের শুরুতে ছিল বায়ু দূষণ। ঘন কুয়াশা এবং সূর্যদেবের অনুপস্থিতিতে দিল্লি টি২০ আদৌ হবে কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল তারপরে রাজকোটে ছিল সাইক্লোন মহা-র আশঙ্কা। তবে প্রথম দুই টি২০তে কোনও সমস্যা ছাড়াই নির্বিঘ্নে হয়েছিল খেলা। নাগপুরে অবশ্য প্রথমবার কোনও আশঙ্কা ছাড়াই খেলা হতে চলেছে। দূষণ কিংবা ঘূর্ণিঝড়ে আশঙ্কা-মুক্ত হয়েই রোহিত-মাহমুদুল্লাহ-রা খেলবেন জামথা স্টেডিয়ামে।
আকুওয়েদারের আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, বিদর্ভ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা চলাকালীন এক শতাংশও বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। আবহাওয়া ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে। তবে দৃশ্যমানতা সামান্য কম থাকবে। শীতের শুরুতে দৃশ্য়মানতা কম হওয়ার ঘটনা অবশ্য নতুন নয় মহারাষ্ট্রের এই শহরে।
যাইহোক, দিল্লির হারের বদলা ভারত সুদে আসলে পুষিয়ে নিয়েছে রাজকোটে। এবার নাগপুরে আরও একবার বাংলাদেশকে বিধ্বস্ত করে সিরিজ জেতাই লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়ার। দিল্লির মতোই রাজকোটেই শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ৭ ওভারে স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশ ৫৯ তুলে ফেলেছিল বিনা উইকেটে। সেখান থেকে ভারতীয় স্পিনারদের জালে জড়িয়ে ১৫৩-র বেশি স্কোরবোর্ডে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রোহিতের ঝড়ের কাছে কার্যত উড়ে গিয়েছে বাংলাদেশি বোলারদের যাবতীয় প্রতিরোধ।
রোহিতের ব্যাটেই টিম ইন্ডিয়ার আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। ভারতীয় দলের স্পিনাররা মেলে ধরছেন প্রতি ম্যাচেই। তবে সিমাররা এখনও প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করে দেখাতে পারেননি। খলিল আহমেদকে দিল্লির পরে রাজকোটে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবে খলিল শোচনীয় পারফরম্যান্স অব্যাহত রেখেছেন। ফিরোজ শাহ কোটলায় চার ওভারের কোটায় ৩৭ রান খরচ করার পরে রাজকোটে ৪ ওভারে ৪৪ রান বিলিয়ে চরম সমালোচিত হয়েছেন। নাগপুরে খলিলের জায়গায় শার্দুল ঠাকুরকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
ব্যাটিংয়েও টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তা বাড়াচ্ছেন অনেকে। ওপেনিংয়ে ধাওয়ান ব্যাটে রান পেলেও টি২০ সুলভ মেজাজে মোটেই খেলতে পারছেন না। কোহলির অনুপস্থিতি ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মিডল অর্ডার এখনও সেভাবে পরীক্ষিত নয়।
সবমিলিয়ে তরুণ এই ভারতীয় দল নির্বিঘ্নে মাঠে জয় সম্পন্ন করতে পারে কিনা, সেটাই আপাতত দেখার।
Read the full article in ENGLISH