টি২০ সিরিজের হারের হ্যাংওভার এখনও কাটিয়ে উঠতে পারল না বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শুরুটা যথাসম্ভব ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন বাংলাদেশিরা। ভারতীয় বোলারদের সামনে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের প্রতিরোধ কার্যত প্রথম দুই সেশনে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল। স্কোরবোর্ডে দেড়শো রান ওঠার আগেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছে সাত ব্যাটসম্যানকে। চা বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ১৪০/৭।
বল হাতে আগুন ঝড়াচ্ছেন শামি। তিনি হ্যাটট্রিকের সামনে। চা বিরতির আগের ওভারেই শামি পরপর ফিরিয়ে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও মেহদি হাসান মিরাজকে। ইনিংস গড়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম। তবে ৪৩ রানে মহম্মদ শামির বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হল মুশফিকুর রহিমকেও। তারপরের বলেই আউট মেহদি হাসান মিরাজ। দুরন্ত বোলিংয়ের দৃষ্টান্ত রাখছেন শামি। ইতিমধ্যেই ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। অশ্বিনের পকেটে জোড়া উইকেট। বাকি দুই পেসার ইশান্ত, উমেশ একটি করে উইকেট দখল করেছেন।
ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে দুঃস্বপ্নের শুরু প্রথম থেকেই। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারেই উমেশ যাদবের বলে ইমরুল কায়েসের ফিরে যাওয়া। সেই শুরু। তারপরে ক্রিজে কোনও ব্যাটসম্যানই থিতু হতে পারেননি।
বিরাট কোহলি ম্যাচের আগের দিনেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিন পেসারেই দল সাজাতে পারেন। সেই ফর্মুলা মেনেই পাঁচ বোলারে খেলছে ভারত। দুই স্পিনার ও তিন পেসার। উমেশ, ইশান্তের সঙ্গে পেস বিভাগে সামি এবং জাদেজা-অশ্বিনের জোড়া ঘূর্ণির ফলা। সেই পাঁচ বোলারই প্রথম থেকে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের উপরে চড়াও হলেন।
লাঞ্চের আগেই বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ৬৩ তুলতে না তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। ফিরে গিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস (৬), সাদমান ইসলাম (৬) এবং মহম্মদ মিঠুন (১৩)। দ্বিতীয় সেশনে এখনও পর্যন্ত প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আরও দু-উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ক্রিজে টিকে যাওয়া অধিনায়ক মোমিনুল হককে ফেরান অশ্বিন। অশ্বিনের স্পিন বুঝতে না পেরে সরাসরি বোল্ড হয়ে গিয়েছিলেন। তারপরে মাহমুদ্দুল্লা নামলেও ১০-এর বেশি করতে পারেননি।
লিটন দাসের সঙ্গে বাংলাদেশি ইনিংসের উদ্ধার কার্য চালাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। হাফসেঞ্চুরির দোড়গোড়ায় তিনি আউট হয়ে যান শামির বলে। সঙ্গে রয়েছেন লিটন দাস। তিনি এখনও পর্যন্ত ২১ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
Read live updates of the match in ENGLISH