দিল্লিতে দূষণ নিয়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। চরম সতর্কতা দূষণ নিয়ে। এর মধ্যেই অবশ্য নির্ধারিত সূচি মেনে ভারত, বাংলাদেশ টি২০ ম্যাচ হবে। এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এতেই আপত্তি জানালেন এবার বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। ভয়াবহ দূষণকে অগ্রাহ্য করেই ম্যাচ চালিয়ে যাওয়ায় বোর্ডকে একহাত নিয়েছেন সুন্দরী নায়িকা।
দীপাবলির পরে দিল্লির দূষণ লাগামছাড়া। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, রাজধানী দিল্লির একিউআই বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (বাতাসের গুণমান নির্ধারক সূচক) ৪০০ ছাড়িয়েছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্যের উপরে ভয়ানক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এই দূষণ।
এর মধ্যেই হবে ম্যাচ। এতেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে দিয়া মির্জা বৃহস্পতিবার টুইটারে লেখেন, "বাতাসের গুণমান সূচক ৪০০ পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও বিসিসিআইয়ের তরফে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ আয়োজন করা হবে। এটা রীতিমতো দুর্বোধ্য। এই বিপদ উপেক্ষা করে দূষণের মুখে নিজেদের ঠেলে দেওয়ার ফলে সমাধানের রাস্তা ক্রমশ কঠিন হচ্ছে।"
It is baffling that the @BCCI has decided to go ahead with the T20 match despite the AQI’s severe 412! This complete denial of the hazards of exposing ourselves to pollution is what cripples our ability to seek and implement swift solutions. #MyRightToBreathe #BreatheLife pic.twitter.com/lPZNLfTShq
— Dia Mirza (@deespeak) 31 October 2019
আরও পড়ুন দিল্লি টি২০, সবুজ সঙ্কেত সৌরভের
দিয়া মির্জা শুধু একাই নন। ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদ গৌতম গম্ভীরও এই ম্যাচ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। বলে দিয়েছিলেন, “দিল্লির বাসিন্দাদের আরও বেশি দূষণ নিয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।”
দিওয়ালি পরবর্তী পর্বে সফর (সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ)-এর রিপোর্টে দিল্লির মারাত্মক দূষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দিল্লির বিশেষ কিছু অংশ দূষণের মাত্রা যে লাগামছাড়া, তা-ও জানানো হয়েছে। এই এলাকার মধ্যে রয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (নর্থ ক্যাম্পাস), পুসা, রোহিনী-পাঞ্জাব বাগ, ওয়াজিরপুর, জাহাঙ্গিরিপুরি, ডিটিইউ এবং বাওনা।
আরও পড়ুন দিল্লি দূষণে ক্রিকেট, ভরসা কেজরিওয়ালের
২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ক্রিকেট খেলা আয়োজন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিল বোর্ড। ফিরোজ শাহ কোটলা (বর্তমানে প্রয়াত মন্ত্রী অরুণ জেটলির নামাঙ্কিত) ভেন্যুতে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা শ্বাসকষ্ট হওয়াতে ম্যাচের মাঝেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।
গত সপ্তাহে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ে দেওয়া বিবৃতিতে বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছিলেন, “দিল্লিতে দিওয়ালি পরবর্তী বায়ু দূষণের কথা আগেই ভাবা হয়েছিল। তবে ম্যাচ যেহেতু দিওয়ালি আরও এক সপ্তাহ পরে, ক্রিকেটাররা কোনও সমস্যায় পড়বে না।” যদিও তিনি মেনে নিয়েছিলেন, এই শঙ্কার বাস্তব ভিত্তি রয়েছে। বোর্ডের রোটেশন নীতি মেনে সফরকারী দলের কথা মাথায় রেখে প্রথম ম্যাচ দিল্লিতেই রাখা হয়েছিল। এখন বোর্ড কর্তাদের আশা দিন-রাতের ম্যাচে এই বায়ুদূষণ ফ্যাক্টর অতটা প্রভাব ফেলবে না।
বায়ু দূষণ ফ্যাক্টর পেরিয়ে দিল্লিতে সফলভাবে ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব হয় কিনা, সেটাই আপাতত দেখার।