৪৮২ রানের পাহাড়প্রমাণ টার্গেট। চতুর্থ ইনিংসে সেই রানের চাপ নিয়ে খেলতে নেমে স্কোরবোর্ডে ৫৩ তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ইংল্যান্ড। জয় কার্যত হাতের মুঠোয় ভারতের।
চতুর্থ দিন ভারতের দরকার বাকি ৭ উইকেট। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডকে জিততে হলে শেষ দুদিনে তুলতে হবে ৪২৯ রান। ব্যাট হাতে অশ্বিনের সেঞ্চুরি ম্যাজিকের পর বল হাতে শুরুতেই তিনি তুলে নিয়েছেন ওপেনার রোরি বার্নসকে (২৫)। অন্যপ্রান্তে অক্ষর প্যাটেল অন্য ওপেনার ডম সিবলে (৩) এবং নাইটওয়াচম্যান হিসাবে ব্যাট করতে আসা জ্যাক লিচকে (০) প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছেন। ক্রিজে অধিনায়ক জো রুটের (২) সঙ্গে ব্যাটিং করছেন ড্যান লরেন্স (১৯)।
তার আগে এদিন পুরোটাই অশ্বিন-কোহলির নামে।বলা হচ্ছিল আনপ্লেয়েবল পিচ, ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমি। আর সেই পিচেই নিজের কেরিয়ারের পঞ্চম টেস্ট শতরান করে গেলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। নিজের ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে।
যখন খেলতে নেমেছিলেন তখন ভারত ১০৬/৬। তারপর কোহলির সঙ্গে ৯৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে একদম নিরাপদ স্থানে পৌঁছে নিয়ে গিয়েছেন।
ক্যাপ্টেন কোহলি ৬২ রানে আউট হয়ে ফিরে গেলেও বাকি সতীর্থ বোলারদের নিয়ে নিয়ে শতরানও পূর্ণ করে ফেলেন মাত্র ১৩১ বলে। বেশ কয়েকবার অশ্বিনকে আউট করার সুযোগ হাতছাড়া করেছেন ইংরেজরা। শতরান করার এমন সুযোগ অবশ্য ছাড়েননি তারকা। শেষ পর্যন্ত অশ্বিন ১০৬ রানে আউট হতেই ভারতের ইনিংস সমাপ্ত হল ২৮৬ রানে।
তার আগে এদিন সকালে ঘূর্ণি পিচে ভারত একসময় ১০৬/৬ হয়ে গিয়েছিল। পরপর ফিরে গিয়েছিলেন চেতেশ্বর পূজারা, রোহিত শর্মা, অজিঙ্কা রাহানে, ঋষভ পন্থ, অক্ষর প্যাটেলরা। তারপরেই খেলা ধরে নেন কোহলি-অশ্বিন। দুজনেই পার্টনারশিপে মূল্যবান ৯৬ রান যোগ করে যান। এদিন ইংরেজ বোলারদের মধ্যে সেরা পারফরম্যান্স করেছেন জ্যাক লিচ এবং মঈন আলি। দুই স্পিনারই ৪টে করে উইকেট নিয়েছেন।
ইংল্যান্ডের বাকি সাত ব্যাটসম্যান কত সেশন এই পিচে কাটাতে পারেন, সেটাই এখন দেখার।
ভারতের প্রথম একাদশ:
রোহিত শর্মা, শুভমান গিল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, ঋষভ পন্থ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ সিরাজ
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন