ভারত: ১৭০/৮
ইংল্যান্ড: ১২১/১০
কয়েকদিন আগেই এজবাস্টনে হেরে টেস্ট সিরিজ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার। এবার সেই এজবাস্টনেই টেস্ট হারের বদলা নিয়ে টি২০ সিরিজ দখল করে ফেলল টিম ইন্ডিয়া। প্ৰথম ম্যাচে ভারত ৫০ রানে হারিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। দ্বিতীয় ম্যাচে হারের ব্যবধান ৪৯ রানের। ভারতের ১৭১ রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড গুটিয়ে গেল মাত্র ১২১-এ।
টিম ইন্ডিয়ার একাদশে চারটে বদল ঘটেছিল। আর্শদীপ সিং এবং অক্ষর প্যাটেলকে বসিয়ে প্ৰথম এগারোয় ঢোকানো হয় বুমরা এবং জাদেজাকে। কোহলি এবং পন্থের জন্য জায়গা ছাড়তে হয় ঈশান কিষান এবং দীপক হুডাকে।
ফর্মে থাকা দীপক হুডার বদলে খেলতে নেমে কোহলি এদিনও রানের দেখা পেলেন না। কোহলির সময় যে দ্রুত ফুরিয়ে আসছে, তা বলাই বাহুল্য। টি২০ বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড সিরিজ থেকেই নীল নকশা তৈরি করে ফেলছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আর কয়েকটা ইনিংসের ব্যর্থতা যে কোহলিকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেবে, তা তিনিও বুঝতে পারছেন।
আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়া থেকে খুব শীঘ্রই বাদ কোহলি! বিরাট ঘোষণার পথে সৌরভের BCCI
কোহলি শনিবার টিকলেন মাত্র ৩ বল। গ্লিসনের বলে মালানের হাতে ক্যাচ তুলে আউট হওয়ার আগে কোহলি করলেন মাত্র ১ রান।
বার্মিংহ্যামে ভারতকে টানল ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা এবং রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাট। পন্থকে ওপেন করিয়ে দেখে নেওয়ার ভাবনা ছিল ম্যানেজমেন্টের। পন্থ ১৫ বলে ২৬ কর মোটামুটি খেললেন। রোহিত (২০ বলে ৩১)-পন্থ মিলে ওপেনিংয়ে ৪৯ তুলে দিয়েছিলেন। তবে দ্রুত পরপর উইকেট হারিয়ে ভারত একসময় ৮৯/৫ হয়ে যায়। সেখান থেকে জাদেজা (২৯ বলে ৪৬) করে দলকে দেড়শোর ওপর টেনে দেন। শেষদিকে হর্ষল প্যাটেলও ৬ বলে ১৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে যান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড কখনই সুবিধা জনক স্থানে ছিল না। বুমরা-ভুবনেশ্বর কুমারদের সামনে পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ২৭/৩ এবং সেখান থেকে দ্রুত ৬০/৬ হয়ে যায় ইংরেজরা। শেষদিকে ডেভিড উইলি ২২ বলে ৩৩ না করলে ইংল্যান্ড ১০০ পেরোত কিনা, সন্দেহ। ভুবনেশ্বর কুমার এবং জসপ্রীত বুমরা দুজন যথাক্রমে ৩ এবং ২ উইকেট শিকার করেন। চাহাল মাত্র ২ ওভার বল করেই তুলে নেন জোড়া উইকেট।