ইংল্যান্ড- ১৫৯/৮ (২০ ওভার)
ভারত- ১৬৩/২ (১৮.২ ওভার)
ভারত ৮ উইকেটে জয়ী
রণাঙ্গণে তিনি অবতীর্ণ হওয়ার আগে পর্যন্ত ইংল্যান্ডের স্কোর ঠিক কোথায় গিয়ে থামবে, তা ভাবতেও বুক কাঁপছিল অতি বড় বিরাটবাহিনী সমর্থকদের। একটা সময়ে ৯+ রান রেট নিয়ে এগোচ্ছিল ইংরেজরা। সে দৌড় থামিয়ে দিলেন ভারতের চায়নাম্যান। এদিন কেরিয়ারে প্রথমবার পাঁচ উইকেট তুলে নিলেন কুলদীপ। তাঁর বোলিংয়ের শিকার হয়েছেন, জো রুট, মর্গান, বেয়ারস্টো, হেলস এবং অবশ্যই বাটলার। বাটলার এদিন ৪৬ বলে ৬৯ রান করেন। তিনি ছাড়া ইংল্যান্ডের হয়ে দু অঙ্কের রানে পৌঁছেছিলেন জেসন রয় (৩০) এবং উইলি (২৯)।
কুলদীপের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের সামনে দুর্গ গড়ে তুলেছিলেন বাটলার।
ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের সামনে রং আন ও গুগলির যে চ্যালেঞ্জ এদিন কুলদীপ রেখেছিলেন তার মোকাবিলা করা দুঃসহ হয়ে পড়েছিল মর্গ্যানবাহিনীর পক্ষে।
পরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধাওয়ানের উইকেট হারায় ভারত। তিন নম্বরে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ১০১ রান করেন কে এল রাহুল। তাও মাত্র ৫৪ বল খেলে।
রোহিত শর্মা এদিন খুব বেশি সুবিধে করতে পারেননি বটে তবে একটা সময় পর্যন্ত লোকেশ রাহুলকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে গেছেন। ৩০ বলে ৩২ রান করেছেন রোহিত। রোহিত আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন বিরাট। নিজেকে এদিন সংযত রেখেছিলেন ভারতের অধিনায়ক। তাঁর খেলা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, তিনি রাহুলের শতরান চাইছেন। ক্যাপ্টেন নিজে এদিন ২২ বলে ২০ রান করেছেন। যার মধ্যে একটি ছক্কা, এছাড়া আর কোনও বাউন্ডারি নেই। সে ছক্কা তিনি হাঁকালেন রাহুলের সেঞ্চুরি হয়ে যাওয়ার পরে, উইনিং স্ট্রোক হিসেবে।
এদিন ইনিংসের গোড়ায় অবশ্য জীবন পেয়েছিলেন কে এল রাহুল। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তাঁর সহজ ক্যাচ ফেলেন জেসন রয়।
প্রথমবার পাঁচ উইকেট নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এদিন ম্যান অফ দ্য ম্যাচের খেতাবও জিতে নিলেন কুলদীপ যাদব। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে রইল বিরাটবাহিনী।