New Update
ICC World Cup 2019, India vs England Highlights: বার্মিংহ্য়ামে ব্রিটিশ রাজ, অপরাজেয় তকমা হারাল ভারত
ICC World Cup 2019, India vs England Highlights: বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং-এর ইতিহাসে নাম লেখা হল না। ইংল্যান্ডের কাছে ৩১ রানে হেরেই অপ্রতিরোধ্য় তকমা হারাল ভারত।
Advertisment
৩৩৭ রান তাড়া করে বিশ্বকাপে কেউ আজ পর্যন্ত জিততে পারেনি। ভারত পারলে ইতিহাস লিখত। কিন্তু বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং-এর ইতিহাসে নাম লেখা হলো না। ইংল্যান্ডের কাছে ৩১ রানে হেরেই অপ্রতিরোধ্য় তকমাটা উঠে গেল। অন্যদিকে ব্রিটিশরা সেমিফাইনালের দৌড়ে জিইয়ে রাখল নিজেদের।
ভারতের কাজটা ক্রমশই কঠিন হচ্ছে। পাণ্ডিয়াও ফিরে গেলেন এবার।
হিসেবটা খুবই সোজা। ভারতের ৩৬ বলে প্রয়োজন ৭৮ রান। অবশ্য়ই ম্য়াচে ইংল্যান্ডের পাল্লা ভারি। কিন্তু ধোনি-পাণ্ডিয়ার ব্য়াটে স্বপ্ন দেখছেন ভারতের ফ্য়ানেরা। এই দুজন ব্য়াটসম্য়ানই মারকুটে ক্রিকেটে সব হিসেব বদলে দেওয়ার মন্ত্রটা জানেন। এখন দেখার শেষ হাসি কে হাসেন, মর্গ্য়ান না কোহলি!
আউট! যেভাবে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন পন্থ, সেভাবেই ছুঁড়ে দিয়ে আসলেন। অহেতুক ঝুঁকিপূর্ণ শট নেওয়ার অভ্য়াস ত্য়াগ করতে পারলেন না পন্থ। আইপিএল-এর দ্বাদশ সংস্করণেও এই দৃশ্য বারবার দেখা গিয়েছিল। বিশ্বকাপেও তার পুনরাবৃত্তি। দেখতে গেলে চার উইকেট হারিয়ে ভারত বেশ কিছুটা চাপে পড়ে গেল। ভারতের আস্কিং রেট লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ক্রিজে এলেন ধোনি। এরপর ব্য়াটসম্য়ান বলতে রয়েছেন শুধু কেদার যাদব। ৬০ বলে ভারতের দরকার ১০৪ রান। ৪০ ওভারের শেষে ভারত চার উইকেট হারিয়ে তুলল ২৩৩ রান।
রোহিত শর্মা আউট, আশাভঙ্গ এজবাস্টনে, ক্রিজে এলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া
সেঞ্চুরি হাঁকালেন রোহিত শর্মা। কিন্তু তাঁর মুখে কোনও উচ্ছ্বাস নেই। কারণ তিনি জানেন এখনও অর্ধেকটা রাস্তা বাকি আছে। ৩৫ ওভারের খেলা শেষ ভারত ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান তুলল। পন্থও আসতে আসতে সেট হচ্ছেন। ১৫ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ১৫০ রান। ওভার পিছু ১০-এর গড়েই রান লাগবে ভারতের
এজবাস্টনে স্বপ্নভঙ্গ! ৭৬ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়ে গেলেন কোহলি। ভারতীয় ফ্যানেদের মাথায় হাত। লিয়াম প্লাংকেটের বল ভিন্সের হাতে ক্য়াচ আউট হয়ে গেলেন ভারত অধিনয়াক। রোহিতের সঙ্গী ঋষভ পন্থ। বিশ্বকাপে অভিষেক হলো তাঁর। পন্থের ব্য়াটের দিকে তাকিয়ে ভারতের ফ্য়ানেরা।
বিরাটের পর এবার রোহিতও পেয়ে গেলেন প্রত্য়াশিত অর্ধ-শতরান। ভারত পার করে গেল ১০০
ফিফটি-ফিফটি! বিরাট-রোহিতের পঞ্চাশ রানের পার্টনারশিপের পাশাপাশি কোহলিও হাঁকিয়ে ফেললেন আরও একটি অর্ধ-শতরান। এই নিয়ে টানা পাঁচ ম্য়াচে ফিফটি করলেন বাইশ গজের কিং। আজ দুজনেই ব্য়াট করছেন দুরন্ত ছন্দে। ২৯ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ২৮৩ রান। আশার আলো বিরাটদের ব্য়াটে। ২১ ওভারের খেলা শেষ। ভারত তুলল ৯৩ রান।
১০ ওভারে ছিল ২৮ রান। ১৭ ওভারে গিয়ে রানটা দাঁড়াল ৬৭-তে। বেঝাই যাচ্ছে রোহিত-কোহলি খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। পাল্টে নিয়েছেন গিয়ার। সুযোগ পেলেই চার মারছেন দুজনে। ইংরেজ বোলারদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন, কেন তাঁরা বিশ্বের অন্যতম সেরাদের মধ্যেই পড়েন। ভারতীয় সমর্থকদের হাততালিতে ফেটে পড়ছে এজবাস্টন।
না কোনও বড় শট, না কোনও ঝুঁকিপূর্ণ ব্য়াট চালানো। কোহলি-রোহিত দুজনেই জানেন আজ তাঁদের ক্রিজে থাকাটা কতটা দরকার দলের জন্য়। তাঁদের যে কোনও একজন ফিরলেই চাপে পড়ে যাবে ভারত। ফলে দুই ব্য়াটসম্য়ান ধীরে ধীরে দেখে খেলছেন। শর্ট রানের ওপরেই খেলাটা চালিয়ে যাচ্ছেন। ১০ ওভারে ২৮ রান তুলল ভারত।
(দেখে নিন কোহলির এই মাঠে কী রেকর্ড!)
রাহুল আউট! মাত্র তিন নম্বর ওভারেই উইকেট পেয়ে গেল ইংল্যান্ড। ক্রিস ওকসের কোমরের ওপর উঠে আসা বলে ফ্রিজ হয়ে গেলেন রাহুল। কিছু বুঝতে না পেরে ব্য়াটের ডগায় লাগিয়ে ক্য়াচ তুলে দিলেন ওকসের হাতেই। তিন ওভারে ভারত এক উইকেট হারিয়ে ৬ রান তুলল। ক্রিজে এলেন কোহলি।
(শুনে নিন দর্শকদের মতে ম্যাচের সম্ভাব্য বিজয়ী কে!)
বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই যে, ভারতকে একটা বিশাল টার্গেট দিয়েছে ইংল্যান্ড। কেএল রাহুল আর রোহিত শর্মার ব্য়াটে ভারত রান তাড়া করতে নামল। ক্রিস ওকসের প্রথম ওভারে একটাও রান আসেনি। এদিন এই দুই ব্য়াটসম্যানের কাঁধে গুরুদায়িত্ব। ফ্যানেরা মনে করছেন এজবাস্টনে ইতিহাস লিখে ভারত আজ।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৩৭ তুলল ইংল্যান্ড। ডেথ ওভারে বরাবরের মতো দুরন্ত বুমরা। শেষ ওভারেই তিনি ফেরালেন ৫৪ বলে ৭৯ করে ফেলা স্টোকসকে। ক্রিজে খেলছিলেন লিয়াম প্লাঙ্কেট এবং জোফ্রা আর্চার।
ইংল্যান্ডের আউট হয়েছেন। এর মধ্যে শামিরই শিকার পাঁচজন। শামির সাম্প্রতিক শিকার ক্রিস ওকস। শর্ট বল পুল করতে গিয়েছিলেন শামি। আগের ওভারের শেষ বলে এবং ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে আউট করায় শামির সামনে হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল। যদিও বেন স্টোকস রুখে দেন সেই সুযোগ।
বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন বাটলার। ৮ বলে ২৫০ স্ট্রাইক রেটে ২০ করে ফেলেছিলেন। তবে বেশিক্ষণ টিকল না ঝড়। শামি ফেরালেন তাঁকে। ৪৭ ওভারে ইংল্যান্ড ৩১০। ক্রিজে এলেন ক্রিস ওকস।
ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল রুট-স্টোকসের পার্টনারশিপ। দু-জনের পার্টনারশিপে ৭০ রান উঠে গিয়েছে। এমন সময়েই ফের একবার সেই পার্টনারশিপে ভাঙন ধরালেন শামি। ৪৪ রানে হার্দিক পাণ্ডিয়ার হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় তাঁর। অন্যদিকে, হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেললেন বেন স্টোকসও। ক্রিজে এলেন বাটলার। এসেই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছেন তিনি। ৪৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ড ২৮৯।
একসময় ৭-এর বেশি রান রেট নিয়ে ব্যাটিং করছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে পরপর উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের রান রেট এখন ৬-এর সামান্য বেশি। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছেন ভারতীয়রা। যদিও শেষ ওভারে চাহাল বেন স্টোকসের কাছে খরচ করলেন ১৪ রান। জো রুট ৪১ বলে ৩২ রানে এবং বেন স্টোকস ২৩ বলে ২৭ রানে ব্যাটিং করছেন। ৪০ ওভার শেষে ইংল্যান্ড ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ তুলে ফেলেছে।
কোহলির মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন শামি।
ফের শামি। ভারতকে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরিয়ে আনছেন শামি। বেয়ারস্টোর পরে এবার তিনি ফেরালেন মর্গ্যানকে। ইংরেজ অধিনায়ক পুল করতে গিয়ে সরাসরি ক্যাচ তুলে দিলেন কেদার যাদবের হাতে। মাত্র ১ রান করেই বিদায় দলনেতার।
শেষ ৫ ওভারে মাত্র ১৪ রান উঠেছিল স্কোরবোর্ডে। ফ্রি-ফ্লোয়িং ব্যাটিংয়ে রাশ টেনেছিলেন কুলদীপ, হার্দিকরা। রান রেট সামান্য কমে যেতেই চাপ বাড়ছিল ইংল্যান্ডের উপরে। এমন সময়ে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে অধৈর্য্য হয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিলেন বেয়ারস্টো। তিনি ফিরলেন ১১১ রানে। শামির গুড লেংথের বল মিড অফের উপর দিয়ে ফেলতে গিয়ে ঋষভ পন্থের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নিলেন তারকা ওপেনার। ৩২ ওভার শেষে ইংল্যান্ড ২০৫।
২৯.৪ ওভারেই ২০০ পূর্ণ করে ফেলল ইংল্যান্ড। ৩০ ওভারের শেষে ইংল্যান্ড ২০২। ১ উইকেট হারিয়ে। ভারতের প্রয়োজন কিছু দ্রুত উইকেট।
দুরন্ত শতরান জনি বেয়ারস্টো-র। মাস্ট উইন ম্যাচে বেয়ারস্টো পারফর্ম করে বুঝিয়ে দিলেন, তিনিন বিগ ম্য়াচ প্লেয়ার। মাত্র ৯১ বলে ১১০ কাছাকাছি স্ট্রাইক রেটে শতরান পূর্ণ করলেন তিনি। নিজের বিধ্বংসী ইনিংসে ৯টা বাউন্ডারি ও হাফডজন ওভার বাউন্ডারি হাকিয়েছেন তিনি।
দুর্ধর্ষ ক্যাচ জাদেজার। অবশেষে আউট জেসন রয়। কুলদীপ যাদবের ফুল লেংথের বল মিড অনে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন তারকা। ঝাঁপিয়ে পড়ে দর্শনীয় ক্যাচ জাদেজার। ১৬০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পতন ইংল্যান্ডের। কোহলির উচ্ছ্বাসই বুঝিয়ে দিচ্ছিল কতটা চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। নিজের ইনিংসে ৭টা বাউন্ডারি এবং ২টো ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন রয়। অন্যপ্রান্তে বেয়ারস্টো সাবলীলভাবে খেলে চলেছেন। ৭৯ বলে ৯০ রানে ব্যাটিং করছেন তিনি। ২৩ ওভার শেষে ইংল্যান্ড ১৬৩। ক্রিজে এলেন জো রুট। রান রেট ৭-এরও উপরে।
কোনওভাবেই বেয়ারস্টোদের থামাতে পারছে না চাহালরা। নিশ্চিন্তে, নির্বিঘ্নে রান তুলে চলেছে তাঁরা। এর মধ্যেই অর্ধশতরান করে ফেললেন জেসন রয় (৫৭ ব্যাটিং)। আগেই হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেছিলেন বেয়ারস্টো (৬২ ব্য়াটিং)। চোট সারিয়ে ফিরে আসার পরেই ৪১ বলে দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি রয়ের। ১৭ ওভারে সাড়ে ৭-এর কাছাকাছি রান রেটে ব্যাট করছেন ইংরেজরা। স্কোরবোর্ডে ১২৩।
ভারতের বোলারদের উপরে চড়াও হচ্ছেন জেসন রয় এবং জনি বেয়ারস্টোরা। মাঝে চাহালকে নিয়ে আনা হয়েছিল। ব্রেক থ্রু দিতে পারেননি স্পিনার। এবার হার্দিক পাণ্ডিয়ার প্রথম ওভারেই ১৩ রান স্কোরবোর্ডে তুললেন রয় ও বেয়ারস্টো। ১১ ওভারে সাড়ে ৫-এর কাছাকাছি রান রেট রেখে ৬০ তুলে ফেলেছে ইংল্য়ান্ড। অবিলম্বে পার্টনারশিপে ভাঙন ধরাতে না পারলে ভারতের সামনে বিপদ। জেসন রয় ৩১ রানে এবং বেয়ারস্টো ২৫ রানে ব্যাটিং করছেন।
ক্রিজে ধীরে ধীরে জমে বসছেন দুই ইংরেজ ওপেনার। পুরোপুরি থিতু হওয়ার আগেই ফেরত পাঠাতে হবে রয়, বেয়ারস্টোকে। সামির বল দু-বার ব্যাটের কানায় লাগিয়েও আউট হলেন না বেয়ারস্টো। ব্রেক থ্রু দিতে কে সক্ষম হবেন?
মহম্মদ শামি একটু খরুচে বোলিং করছেন। ২ ওভারেই খরচ করে ফেলেছেন ১৩ রান। অন্যদিকে, জসপ্রীত বুমরা বরাবরের মতো কৃপণ। ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো এবং চোট সারিয়ে ফেরা জেসন রয়কে সমস্যায় ফেলছেন বুম বুম বুমরা। তাঁর ২ ওভারে ইংরেজরা তুলতে পেরেছে মাত্র ৬ রান। ৪ ওভার শেষে ইংল্যান্ড ১৯।
বিরাট কোহলির টুপি কোথায়, প্রশ্ন তুলছে সোশ্যাল
অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের একাদশ থেকে জোড়া পরিবর্তন। জেসন রয় এবং লিয়াম প্লাঙ্কেট প্রথম একাদশে এলেন। বাদ পড়লেন জেমস ভিনস এবং লিয়াম প্লাঙ্কেট।
ভারতের একাদশে একটি পরিবর্তন। অলরাউন্ডার বিজয়শঙ্করের পরিবর্তে দলে ঋষভ পন্থ। কেদার যাদবকে নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, তিনি রয়েছেন প্রথম একাদশে। চার নম্বরে সম্ভবত নামানো হতে পারে তাঁকে।
প্রথম একাদশঃ লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থ, কেদার যাদব, মহেন্দ্র সিং ধোনি, হার্দিক পাণ্ডিয়া, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরা।
টসে জিতে ব্যাটিং করবে ইংল্যান্ড। ভারতকে রান তাড়া করার চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে।
অবশেষে প্রথম একাদশে শিঁকে ছিড়ল ঋষভ পন্থের। প্রথমে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সুযোগ মেলেনি। পরে শিখর ধাওয়ানের চোটে লন্ডনে উড়িয়ে আনা হয় তারকাকে। তবে স্কোয়াডে অন্তর্ভূক্তির পরেও প্রথম একাদশে সুযোগ মিলছিল না ঋষভের। তবে পরপর বিজয়শঙ্কর ও কেদার যাদব নিজেদের ভূমিকা পালন না করতে পারায় ঋষভের সামান্য হলেও সুযোগ ছিল। তারপরেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে তিনি। নিজের সুনামের সঙ্গে সুবিচার করতে পারবেন পারফরম্যান্স দিয়ে, সেটাই আপাতত দেখার।