ওভালে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের দাপট। ৯৯ রানে প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন ভারতীয়রা। আর রানের পাহাড় হোক বা না হোক, বিদেশে প্ৰথমবার টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে এভারেস্ট ছুঁয়ে ফেললেন রোহিত শর্মা।
Advertisment
এর আগে রোহিত শর্মার যাবতীয় টেস্ট শতরান ছিল দেশের মাটিতে। তবে মঈন আলির বলে ট্রেডমার্ক ছক্কা হাঁকিয়ে রোহিত শতরান পূর্ণ করে নিলেন। সেই সঙ্গে নিজের ৩০০০ টেস্ট রানও করে ফেললেন মুম্বইকর।
ওপেনিং পার্টনারশিপেই ভারত ৮৩ তুলে ফেলেছিল। টি ব্রেকের সময় ভারত ১৯৯/১। রোহিতের (১০৩) পর হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পূজারাও (৪৮)। দ্বিতীয় উইকেটে রোহিত-পূজারা জুটি ইতিমধ্যেই ১১৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেছে। টি ব্রেকে ভারতের লিড ১০০ রানের।
কয়েক বছর আগেও টেস্টের আঙিনায় নিয়মিত ছিলেন না। রক্ষণাত্মক ক্রিকেটে যেন মানানসই ছিলেন না হিটম্যান। তবে কয়েক বছরে সেই ধারণা বদলে দিয়েছেন নিজেই। টেস্টে নিজের আক্রমণাত্মক ইগো বিসর্জন দিয়েই রোহিত সাফল্যের কাহিনী লিখছেন।
দ্বিতীয় দিনের শেষেই ভারতীয় ওপেনাররা ক্রিজে জমাটি হওয়ার লক্ষণ দেখিয়েছিলেন। স্কোরবোর্ড ছিল ৪৩/০। সেখান থেকে প্ৰথম ঘন্টায় ক্রিজ আকড়ে পড়ে থাকলেন রোহিত-রাহুল দুজনেই। রাহুল লাঞ্চের ঠিক আগেই আন্ডারসনের শিকার হলেও রোহিত ছিলেন লক্ষ্যে অবিচল। ফিফটি করার আগেই কেএল রাহুল আন্ডারসনের বলে বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন।
তবে সঙ্গীর বিদায়েও থামেননি রোহিত। ধীরে ধীরে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে ইনিংস টেনে নিয়ে গিয়েছেন নিশ্চিত শতরানের দিকে। সঙ্গী হয়েছেন পূজারা। দুর্ধর্ষ টেম্পারমেন্টের নিদর্শন তুলে ধরে অলি রবিনসন, ক্রিস ওকস, আন্ডারসনদের নতুন বলে বিষাক্ত সুইং সামলেছেন। সবমিলিয়ে রোহিতের দুরন্ত শতরানে ভর করেই ভাল পজিশনে ভারত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন