অবশেষে অপেক্ষার অবসান সূর্যকুমার যাদবের। বহু প্রতীক্ষার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাট হাতে নামলেন মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যান। এত নেমেই কামাল। দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে দলে থাকলেও ব্যাট করার সুযোগ পাননি। তৃতীয় ম্যাচে প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি। আর চতুর্থ ম্যাচেই চার তিন নম্বরে ব্যাট হাতে রাজকীয় ইনিংস খেলে গেলেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
৩১ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে নিজের আগমন ঘোষণা করে দিলেন তিনি। প্রথম বলেই জোফ্রা আর্চার শর্ট বল দিয়ে ভয় ধরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তবে মুম্বইয়ের তারকা ব্যাটসম্যান তাতে দমে না গিয়ে ফাইন লেগ দিয়ে পুল করে ছক্কা হাঁকিয়ে দেন। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের অভিষেকই হল ছক্কা হাঁকিয়ে।
আরো পড়ুন: এই কালো জলেই লুকিয়ে বিরাটের তুখোড় ফিটনেসের রহস্য, দাম জানলে চমকে উঠবেন
ঘটনা হল, আর্চারের এক্সপ্রেস পেসের সামনে অন্য কোনো ব্যাটসম্যান সম্ভবত এতটা সাহস করে উঠতে পারতেন না। তবে সূর্যকুমার অন্য ধাতুতে গড়া। আইপিএল খেলেই বড় মঞ্চের জন্য নিজেকে পরিণত করেছেন।
আন্তর্জাতিক অভিষেকের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানোর নিরিখে তিনিই প্ৰথম ভারতীয় যিনি এই কীর্তি গড়লেন। এর আগে টি২০ ক্রিকেটে দুরূহ এই কীর্তি গড়েছেন মাত্র ৭ জন ব্যাটসম্যান- সোহেল তনভীর (পাকিস্তান), জেরোম টেলর (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), জাভিয়ের মার্শাল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), কায়রণ পোলার্ড (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), টিনো বেস্ট (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মাঙ্গালিসো মসেলে (দক্ষিণ আফ্রিকা), মার্ক এদেয়ার (আয়ারল্যান্ড)। এই তালিকাতেই অষ্টম সংযোজন সূর্যকুমার যাদব।
আরো পড়ুন: বিরাটকে সরিয়ে ভারতের ক্যাপ্টেন হলেন রোহিত! ম্যাচের শেষেই কারণ জানালেন কোহলি
ঘরোয়া ক্রিকেটে গত কয়েক বছর ধরেই দুরন্ত ফর্মে ব্যাটিং করছেন সূর্যকুমার। আইপিএলেরও অন্যতম সেরা পারফর্মার তিনি। গত তিন সংস্করণের আইপিএলে তিনি ৪০০ প্লাস রান করেছেন প্রতিটি সিজনে। তিনিই প্ৰথম ভারতীয় যিনি সবথেকে বেশি সংখ্যক আইপিএল ম্যাচ খেলার পরে জাতীয় দলে জায়গা করে নিলেন। আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলার পর সূর্যকুমারকে জাতীয় দলে খেলানোর জন্য সওয়াল করেন একাধিক প্রাক্তন তারকা। অবশেষে সূর্যকুমারের জাতীয় দলে প্রবেশ দুর্দান্তভাবে। শুরুতের দারুণ পারফর্ম করার পরে আসন্ন তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজের স্কোয়াডেও রাখা হয়েছে তাঁকে।
দুর্ধর্ষ অভিষেক ঘটিয়ে ম্যাচের শেষে শার্দুল ঠাকুরকে দেওয়া বোর্ডের টিভিতে সাক্ষাৎকারে তিনি বলে দিয়েছেন, "আমার স্বপ্নই ছিল জাতীয় দলের হয়ে একদিন খেলা। তারওপর ম্যাচটাও আমরা জিতলাম। খুব বেশি সমস্যা তৈরি না করে নিজের মত করেই খেলেছি। জানতাম, প্ৰথম ২-৩টে বল খেলতে পারলেই বাকিটা সহজ হয়ে যাবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন