IND vs ENG, 5th Test Match at Dharamshala: তৃতীয় দিন লাঞ্চের সময়েই দেওয়াল লিখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তখনও ভারতের রানের থেকে বহু দূরে ইংল্যান্ডের দুই ইনিংসের সম্মিলিত স্কোর। ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছে ইংল্যান্ডের অর্ধেক ব্যাটারই। হোম টিমের কাছে বিরাট জয়ের হাতছানি। হেরে যাওয়া ম্যাচে একা টেলএন্ডারদের নিয়ে সম্মানের জন্য লড়ছিলেন জো রুট।
সেই সময়েই সরফরাজ খানকে ফের দেখা গেল স্লেজিং করতে। তাঁর নিশানায় শোয়েব বশির। শর্ট লেগে ফিল্ডিং করতে করতে পাক বংশোদ্ভূত ইংরেজ স্পিনারকে বলছিলেন, "তাড়াতাড়ি খেলতে খেলতে খতম করো। পাহাড়ে বরফ দেখতে যাব।" মাইক্রোফোনে স্পষ্ট শোনা গেল সরফরাজের উবাচ।
আর সরফরাজের কথাই যেন সত্যি প্রমাণ হয়ে গেল। টি ব্রেকের আগেই খতম হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। ইনিংস হারের মধ্যে সফর শেষ করল ইংল্যান্ড দল। মাত্র আড়াই দিনে শেষ টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ায় উইকএন্ডে হিমালয়ে ঘুরতে যাওয়ার জবরদস্ত প্ল্যানিংয়ের সুযোগও করে দিল ধর্মশালা টেস্ট।
যাইহোক, ব্যাট হাতে সরফরাজ যে পাঁচ ইনিংসে ব্যাট করেছেন। তিনটিতেই হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। তবে তাঁর স্লেজিং শিরোনামে উঠে এসেছে একাধিকবার। ধর্মশালা টেস্টেই সরফরাজ শুভমান গিলকে আবার ধমক দিয়েছিলেন স্লেজিংয়ের মাত্রা ছাড়ানোয়।
তৃতীয় দিন ধর্মশালার হিমাচল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন শুভমান গিল। প্রসঙ্গ ছিল গিলের করা একদিন আগেই জেমস আন্ডারসনকে স্লেজিং। একশো টেস্ট খেলতে নামা জনি বেয়ারস্টো প্ৰথম স্লিপে দাঁড়ানো শুভমান গিলকে জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি জিমিকে কী বলেছিলে? ও অবসর নিচ্ছে কিনা! তার পরের বলেই জিমি তোমাকে আউট করে!”
গিল পাল্টা গা জ্বালিয়ে বলে দেন, “সে তো আমি সেঞ্চুরি করার পরে আউট করল! তুমি এই সিরিজে কেমন খেললে?” বেয়ারস্টোর এর পরে জবাব, “কতজন ফুলস্টপ করেছে।” শর্ট লেগে সেই সময় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন সরফরাজ খান। দুজনের বাদানুবাদে পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে আসেন সরফরাজ। বলতে থাকেন, “শান্ত হয়ে যাও জনি ভাই। জনি ভাই প্লিজ শান্ত হও।”
সরফরাজ এরপরে শুভমানকে থামানোর দায়িত্ব দেন উইকেটকিপার ধ্রুব জুরেলকে। বলতে থাকেন, “ওঁকে শান্ত হতে বল। কিছু রান তো বানিয়েছে। তারপরেই এত উড়ছে।”
দ্বিতীয় দিনের শেষে শুভমান প্রতিপক্ষের কিংবদন্তি জেমস আন্ডারসনকে কী বলেছিলেন, তা জানাতে অস্বীকার করেন। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে গিল বলে দেন, “আমাদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল, সেটা আমাদের মধ্যেই থাকুক।”