প্ৰথম টি২০-তে জয় পেয়ে ভারত ১-০ এগিয়ে গিয়েছে। প্ৰথমে ব্যাট করে আয়ারল্যান্ড স্কোরবোর্ডে ১০৮/৪ তুলেছিল। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে সেই রান ভারত তুলে দেয় মাত্র ৯.২ ওভারে। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ কমিয়ে আনা হয়েছিল ১২ ওভারে। হার্দিক পান্ডিয়া টসে জিতে প্ৰথমে আইরিশদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন।
প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ড মোটেই ভালো শুরু করতে পারেনি। এন্ড্রু বলবির্নি, গ্যারেথ ডেলানি, পল স্টার্লিং সকলেই ফিরে যান প্ৰথম চার ওভারের মুখে।
বল হাতে একমাত্র ভালো পারফর্ম করে যান ভুবনেশ্বর কুমার। মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশের ফায়দা নিয়ে দারুণ বোলিং করে যান তারকা। তিন ওভারে ১ মেডেন সহ ভুবনেশ্বর ১৬ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট তুলে নেন। ভুবনেশ্বরের অবশ্য বোলিং নয়, গতি নজর কেড়ে নেয়। স্পিডোমিটারে একাধিকবার দেখানো হয় ভুবি ২০০ কিমির ওপর বোলিং করলেন।
আরও পড়ুন: KKR-এর নেতা ছিলেন! আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসরের পথে বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন
ম্যাচে ভুবনেশ্বরের প্ৰথম ডেলিভারিই দেখানো হয় ২০১ কিমিতে। সেই ওভারেই স্পিডোমিটারে ভুবনেশ্বরের বলের গতি ওঠে ২০৮ কিমিতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ গতির নজির রয়েছে শোয়েব আখতারের। ১৬১.৩ কিমি গতিতে আগুন ঝরিয়েছিলেন। শোয়েবের সঙ্গে তুলনা করে নেটিজেনরা মজাও শুরু করে দেন।
ভুবনেশ্বর প্ৰথমে আইরিশদের ইনিংসের বিপর্যয় শুরু করার পরে দ্বিতীয় ওভারে বোলিং করতে এসে হার্দিক পল স্টার্লিংকে আউট করে দেন। তবে হ্যারি হেক্টর (৬৪ নট আউট) এবং লরক্যান টাকার ১৬ বলে ১৮ করে দলকে সম্মানজনক অবস্থায় পৌঁছে দেন।
দুরন্ত বোলিংয়ের পর ম্যাচ শেষে ভুবনেশ্বর বলে যান, "বোলিং বেশ উপভোগ করেছি। নতুন বলে সুইং হচ্ছিল। তবে ৪-৫ ওভারের পর ব্যাট করা কিছুটা সহজ হয়ে যায়। যেকোনও ফরম্যাটই হোক না কেন, এরকম পরিস্থিতিতে বল করা সবসময় উপভোগ্য।" এছাড়াও ভুবনেশ্বর নবাগত উমরান মালিককেও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধেই যিনি অভিষেক ঘটালেন রবিবার।