নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে নামার আগে বেশ চাপে ছিলেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। বিরাট কোহলির প্রত্যাবর্তনে অনেকেই মায়াঙ্ক আগারওয়ালের অপসারণ চেয়ে সরব হয়েছিলেন। তবে অজিঙ্কা রাহানের চোটে শেষমেশ কোহলির একাদশে সুযোগ পান মায়াঙ্ক।
আর চাপ নিয়ে ওয়াংখেড়েতে খেলতে নেমেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের জাত চিনিয়ে গেলেন তারকা। প্ৰথম ইনিংসে ভারতের বাকি ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও ভারত স্কোরবোর্ডে ৩২৫ তোলে মায়াঙ্কের দেড়শ রানের দুরন্ত ইনিংসে ভর করে।
আর প্ৰথম ইনিংসে যেখানে থেমেছিলেন সেখান থেকেই যেন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করলেন তারকা। ফের একবার তাঁর ব্যাট থেকে বেরোল ঝকঝকে ৬২ রানের ইনিংস। ফের একবার যখন শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি তখনই উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন আজাজ প্যাটেলের বলে। ডিপে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তিনি।
আরও পড়ুন: গিল নয়, পূজারাকে ওপেন করতে পাঠালেন কোহলি! রহস্য ফাঁস হল তারপরেই
একই ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকাতে না পারলেও মায়াঙ্ক অবশ্য নয়া রেকর্ডের মালিক হয়ে গেলেন মুম্বইয়ে। আইকনিক ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে চতুর্থ ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে একই টেস্টের দুই ইনিংসে ৫০+ স্কোর করে গেলেন তিনি। এর আগে ওয়াংখেড়েতে এই কীর্তি গড়েছিলেন চেতন চৌহান (১৯৭৮), সুনীল গাভাসকার (১৯৭৮) এবং কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত (১৯৮৭)।
এই তালিকায় মায়াঙ্ক বাদে একমাত্র সুনীল গাভাসকারই দুটো ৫০+ স্কোরের মধ্যে একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। ১৯৭৮-এ গাভাসকার সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ডাবল সেঞ্চুরি করেন। সেই ম্যাচেই দুই ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি বা ততোধিক স্কোরের রেকর্ড করেন চেতন চৌহান। একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তের কীর্তি আসে নয় বছর পরে।
ওয়াংখেড়েতে একই টেস্টের দুই ইনিংসে যে ওপেনাররা ৫০+ স্কোর করেছেন
চেতন চৌহান (৫২, ৮৪) ১৯৭৮-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে
সুনীল গাভাসকার (২০৫, ৭৩) ১৯৭৮-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে
কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত (৭১, ৬৫) ১৯৮৭-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে
ভারত দ্বিতীয় দিন কোনও উইকেট না হারিয়ে মাঠ ছেড়েছিল। তৃতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৬/৭ তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করল ভারত। জয়ের জন্য ৫৪০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড টি ব্রেকের আগে ১৩ তোলার ফাঁকেই হারিয়েছে ওপেনার টম ল্যাথামের উইকেট।
পূজারা শনিবার ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। রবিবার হাফসেঞ্চুরির ঠিক আগেই ৪৭ রানে আউট হন। শুভমান গিলও ৩ নম্বরে নেমে ৪৭ করলেন। বিরাট কোহলি (৩৬) এবং অক্ষর প্যাটেলের (৪১) অবদানে ভারত বিশাল টার্গেট কিউয়িদের সামনে রাখতে সমর্থ হয়।
প্রথম ইনিংসে ১০ উইকেটের পরে আজাজ প্যাটেল ফের একবার দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট পেলেন। রচিন রবীন্দ্র নেন ৩ উইকেট।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন