মাত্র একটা রান আউট। সেই রান আউটেই ঘুরে গেল ম্যাচের মোড়। টানটান সুপার ওভারে ফের একবার জয় পেল ভারত। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে। তবে সেই ম্যাচে ব্যাটসম্যান কোহলি নন, ভারতের জয়ে অনুঘটক হয়ে থাকলেন ফিল্ডার কোহলি।
ভারতের ১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে তরতরিয়ে এগোচ্ছিল নিউজিল্যান্ড। মার্টিন গুপ্টিল শুরুতে ফিরে গেলেও ভারতকে সমস্যায় ফেলেছিল কলিন মুনরো ও সেইফার্টের জুটি। দু-জনে অবিচ্ছিন্ন থেকে স্কোরবোর্ডে ৭৪ রান যোগও করে ফেলেছিলেন। কোনও ভারতীয় বোলারদেরই রেয়াত করছিলেন না।
মুনরো, সেইফার্ট দু-জনেই হাফসেঞ্চুরি করে দলকে টানছিলেন। সেই সময়েই ভারতকে ম্যাচে ফেরাল একটা থ্রো। বিরাট কোহলির থ্রো। ১২তম ওভারে শিবম দুবের ওয়াইড বল সুইপার কভার দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন মুনরো।
বাউন্ডারি প্রান্ত থেকে শার্দুল ঠাকুর সেই বল সংগ্রহ করে কভারে দাঁড়িয়ে থাকা কোহলিকে দেন। কোহলি সেই বল সরাসরি থ্রোয়ে উইকেট ভেঙে দেন। কলিন মুনরো দ্বিতীয় রান সংগ্রহ করার ছুটছিলেন। ক্রিজের অন্যপ্রান্তে পৌঁছনোর আগেই তিনি আউট।
ক্রিজে টিকে যাওয়া কলিন মুনরো ৬৪ রানে হঠাৎ আউট হওয়ার পরেই ধস নামে কিউয়ি ইনিংসে। এরপরে বুমরা, শার্দুলদের আটোসাটো বোলিংয়ের সামনে খেই হারিয়ে ফেলে কিউয়িরা। রস টেলর একপ্রান্তে টিকে ২৪ করলেও লোয়ার মিডল অর্ডার তাঁকে সঙ্গত করতে পারেনি।
শেষদিকে, ৩ ওভারে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। ২ ওভারে সেই সমীকরণ গিয়ে দাঁড়ায় ১০-এ। শেষ ওভারে ৭ রান দরকার ছিল। তবে শার্দুল ঠাকুর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করে সেই রান রুখে দেন। চাপের মুখে আউট করেন চার-চারজনকে।
তারপরে সুপার ওভারে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি কিউয়িরা। শেষ ওভারে দারুণ বোলিংয়ের সৌজন্য ম্যাচের সেরা শার্দুল ঠাকুরই।
যাইহোক, ব্যাটে এদিন রান পাননি কোহলি। ১১ রান করে ফিরতে হয়েছিল প্যাভিলিয়নে। তবে দুরন্ত রান আউট করে সেই নায়ক কোহলি।