Champions Trophy 2025 Schedule: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রাথমিক সূচি তৈরি করে ফেলল। তবে প্রকাশের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে পাক বোর্ড। এই টুর্নামেন্ট চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত। ১০ মার্চ ফাইনাল ম্যাচের একটি রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ভারতকে এ গ্রুপে রাখা হয়েছে। গ্রুপ বি-তে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তাবিত সময়সূচি অনুযায়ী, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি লাহোরে ১ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, তবে বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এখনও অস্থায়ী সূচির বিষয়ে সম্মতি দেয়নি। বুধবার পিটিআইকে এই তথ্য দিয়েছেন আইসিসি বোর্ডের একজন সিনিয়র সদস্য।
লাহোরে অল ইন্ডিয়া ম্যাচ
তথ্য অনুযায়ী, বার্বাডোসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখার জন্য পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি ১৫টি ম্যাচের একটি সূচি উপস্থাপন করেছেন। এতে নিরাপত্তা ও যৌক্তিক কারণে ভারতের সমস্ত ম্যাচ লাহোরে রাখা হয়েছে। আইসিসি বোর্ডের সদস্য বলেন, "পিসিবি ১৫ ম্যাচের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খসড়া জমা দিয়েছে। লাহোরে সাতটি, করাচিতে তিনটি এবং রাওয়ালপিন্ডিতে পাঁচটি ম্যাচ হবে। প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে করাচিতে। দুটি সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে এবং ফাইনাল হবে লাহোরে। ভারতীয় দলের সমস্ত ম্যাচ (সেমিফাইনাল সহ, যদি দল যোগ্যতা অর্জন করে) লাহোরে অনুষ্ঠিত হবে।"
হাইব্রিড মডেলে আয়োজিত হয়েছিল এশিয়া কাপ
সম্প্রতি, আইসিসি ইভেন্টস প্রধান ক্রিস টেটলি ইসলামাবাদে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আইসিসির নিরাপত্তা দল ভেন্যু ও অন্যান্য ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছে কয়েকদিন আগেই। পাকিস্তান সর্বশেষ ২০২৩ সালে এশিয়া কাপ আয়োজন করেছিল। এটি 'হাইব্রিড মডেল'-এ আয়োজিত হয়েছিল। ভারত নিজেদের ম্যাচগুলি শ্রীলঙ্কায় খেলেছিল কারণ সরকার পাকিস্তানে খেলার জন্য সবুজ সঙ্কেত দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।
বিসিসিআই কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য
"আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী দেশের সমস্ত বোর্ড প্রধান (বিসিসিআই ব্যতীত) তাদের সম্পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন, তবে বিসিসিআই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে পরামর্শ করে আইসিসিকে এই বিষয়ে অবহিত করবে," এমনটাই সূত্র জানিয়েছে। আইসিসিও, নিজেদের অবস্থান থেকে, কোনও বোর্ডকে তার দেশের সরকারের নীতির বিরুদ্ধে যেতে বাধ্য করতে পারে না। বিসিসিআই কবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার বিষয়।