বৃষ্টিরই জয় হল। ভারত-পাক ম্যাচে জল ঢেলে দিল বৃষ্টি। সারাদিন বৃষ্টি হল। এর মধ্যে ভারতীয় ইনিংস শেষ হতেই সাড়ে আট বেজে গিয়েছিল। ভারত স্কোরবোর্ডে ২৬৬ তুলে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান ব্যাট করতে নামার আগে আবার-ও বৃষ্টি নামে।
এরপরে সময় যত গড়িয়েছে। অপেক্ষা তত বেড়েছে। সময় কমার সঙ্গে ওভার কমিয়ে হিসাব-নিকেশও চলছিল পুরোদমে। ওয়ানডে ক্রিকেটে ফলাফলের জন্য নূন্যতম ২০ ওভার হওয়া বাঞ্ছনীয় দুই ইনিংসে। আর পাক ইনিংসে ২০ ওভারের জন্য কাট-অফ টাইম ছিল ভারতীয় সময় অনুযায়ী রাত দশ টা দশে। সেই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও খেলা শুরু করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হয়।
বৃষ্টি বিঘ্নিত এই ম্যাচেই ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে ভারতের ব্যাটিংয়ের চিরকালীন দুর্বলতা আবারও প্রকট হল। পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপ অভিযান করতে নেমে প্ৰথম ম্যাচেই ভারতের ভরাডুবি। পুরো ৫০ ওভার-ও ব্যাটিং করতে পারল না টিম ইন্ডিয়া। ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ রানে অলআউট ভারত। হাফসেঞ্চুরির মুখ দেখলেন ঈশান কিষান এবং হার্দিক পান্ডিয়া। বাকিরা সেই ব্যর্থ।
বিপদে পড়ে গিয়েছিল ভারত। ব্যাপকভাবে সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিল। ইনিংস শুরু হতে না হতেই টপ অর্ডার ধসে গিয়েছিল। রোহিত, শুভমান তো বটেই কোহলি, শ্রেয়সও সাততাড়াতাড়ি সাজঘরে ফিরে গিয়েছিল। সেখান থেকেই ভারতকে ম্যাচে ফেরান ঈশান কিষান। ঋষভ পন্থ খেললে হয়ত যাঁর খেলাই হত না। কঠিন সময় থেকেই হাফসেঞ্চুরি করে দলকে ম্যাচে ফেরালেন তিনি।
মারকুটে ব্যাটসম্যান। অথচ ভারতের কঠিন সিচুয়েশনে নিজেকে বদলে ফেললেন ঈশান। হাফসেঞ্চুরি করতে ৫৪ বল নিয়ে নিলেন তিনি। ওয়ানডেতে এই প্ৰথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন ঈশান। আর প্ৰথম ম্যাচেই বাজিমাত ঈশানের। হাফসেঞ্চুরি করার পথে একটা ছক্কা সহ হাফডজন ওভার বাউন্ডারিও হাঁকান তিনি।
যাইহোক, ভারত একসময় ৬৬/৪-এ ধসে গিয়েছিল। সেখান থেকে ভারত ম্যাচে ফেরে ঈশান-হার্দিক পান্ডিয়ার ১৩৮ রানের পার্টনারশিপে ভর করে। ঈশান কিষানকে শেষ পর্যন্ত ফেরান হ্যারিস রউফ। ৮১ বলে ৮২ রানের ইনিংসে নয় বাউন্ডারি, জোড়া ওভার বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। হার্দিক পান্ডিয়া ৯০ বলে ৮৭ করেন। ঈশান আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ঈশান আউট হয়ে যান। তারপর বেশিক্ষণ টেকেনি ভারতের ইনিংস। ভারতের ইনিংসের ১০ উইকেটই পাক পেসারদের দখলে। হ্যারিস রউফ এবং নাসিম শাহ তিনটে করে উইকেট নেন। শাহিন শাহ আফ্রিদি চার উইকেট দখল করেন।