ভারত: ২০২/১০
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৯১/৭
লর্ড বোধহয় এমনই হন। একাই পাল্টে দেন ম্যাচের গতিপথ। শার্দূল ঠাকুরকে ক্রিকেট সমর্থকরা আদর করে বলেন 'লর্ড'। অনেকটা জাদেজাকে 'স্যার' বলার মত। সমর্থকদের সেই আস্থার মর্যাদা রাখলেন শার্দূল। ওয়ান্ডার্সের ওয়ান্ডার বয় হয়ে একাই প্রোটিয়াজদের বিধ্বস্ত করে দিলেন টেস্টের দ্বিতীয় দিন। পাঁচ উইকেট দখল করে শার্দূল ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেন।
প্ৰথম দিনের শেষে ভারত কিছুটা বিপাকেই ছিল। মাত্র ২০২ অলআউট হয়ে যাওয়ার পরে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসও বেগ দিচ্ছিল ভারতকে। সেঞ্চুরিয়নে ভারতীয় বোলিংয়ের ত্রাতা হিসাবে আবির্ভাব ঘটেছিল ত্রয়ী- সিরাজ, বুমরা, শামি। জো'বার্গে আবার ত্রয়ী নয়, শিরোনামে শার্দূল। অনবদ্য পারফরম্যান্স দেখিয়ে।
আরও পড়ুন: ব্যাটের মাঝেই বল, তবুও DRS! নিজেদেরই হাসির খোরাক করল বাংলাদেশ, ভিডিও দেখুন
দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতে ১ উইকেট হারানোর পরে ভাল টানছিলেন অধিনায়ক ডিন এলগার এবং কিগান পিটারসেন। দুজনে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৪ রান যোগ করে ভারতকে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে দিয়েছিলেন। সেই সময়ই ত্রাতা শার্দূলের আবির্ভাব। লাঞ্চের আগে মাত্র ৪.৫ ওভারের মধ্যে শার্দূলের শিকারের তালিকায় নাম লেখান পরপর- এলগার, পিটারসেন (৬২) এবং ভ্যান ডার ডুসেন। ৮৮/১ থেকে একঝটকায় প্রোটিয়াজরা ১০২/৪ হয়ে যায়।
ফার্স্ট সেশনে মাত্র ৮ রান খরচ করেই শার্দুল তুলে নেন তিন উইকেট। এরপরে তেম্বা বাভুমা (৫১) এবং কাইল ভেরাইন (২১) ফের একবার ভারতকে চাপে ফেলে দেন ৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে। সেই পার্টনারশিপও ভেঙে ভারতকে ম্যাচে তুলে আনেন শার্দূল।
মাত্র দুই ওভারের ব্যবধানে শার্দূলের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুই প্রোটিয়াজ তারকা। টি-এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড়সড় ঝটকা দিয়ে শামি ফেরান রাবাদাকে। টি ব্রেকের সময় আপডেট অনুযায়ী দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯১/৭-এ ধুঁকছে।
ভারতের প্ৰথম একাদশ:
কেএল রাহুল, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে, হনুমা বিহারি, ঋষভ পন্থ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, শার্দূল ঠাকুর, মহম্মদ সিরাজ, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন