ভারত: ২০২/১০
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২২৯/১০
ওয়ান্ডার্সে মিডিয়াম পেসার হিসাবে স্বপ্নের স্পেল উপহার দিলেন শার্দূল ঠাকুর। একটা কিংবা দুটো নয়, প্রোটিয়াজদের বিধ্বস্ত করে লর্ড শার্দূল ঠাকুর একাই তুললেন সাত উইকেট। গড়লেন একের পর এক রেকর্ড। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে পিছিয়ে ফেলে শার্দূলই আপাতত টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এতদিন ভারতীয়দের মধ্যে সেরা বোলিং পারফরম্যান্স ছিল অশ্বিনের (৬৬/৭)। নাগপুরে ২০১৫-য় অশ্বিনকে দুরন্ত বোলিং মেলে ধরেছিলেন। তবে মঙ্গলবার তারকা স্পিনারকে পিছনে ফেলে শার্দূলের বোলিং পরিসংখ্যান ৬১/৭।
আরও পড়ুন: এই না হলে লর্ড! শার্দূলের ‘পাঁচ’ থাবায় গর্তে প্রোটিয়াজরা
এর আগে প্রোটিয়াজদের বিরুদ্ধে ভারতের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স ছিল স্পিনারদেরই। নাগপুরের আগে অশ্বিন ভাইজ্যাগ টেস্টেও ৭ উইকেট দখল করেছিলেন। তারও আগে হরভজনের ঝুলিতেও প্রোটিয়াজদের বিপক্ষে ইনিংসে ৭ উইকেট শিকারের নজির।
বিদেশের মাটিতে শার্দূলের মঙ্গলবারের পারফরম্যান্স অন্যতম সেরা হিসাবেই রয়ে যাবে। শার্দূলের দাপুটে বোলিংয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা প্ৰথম ইনিংসে মাত্র ২৭ রানের লিড নিয়ে শেষ করে। ভারতের ২০২-এর পরে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট মাত্র ২২৯-এ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেরা বোলিং পারফরম্যান্সের নজির গড়ার পথে শার্দূলের শিকার হয়েছেন একে একে ডিন এলগার, কিগান পিটারসেন, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, কাইল ভেরেনে, তেম্বা বাভুমা, মার্কো জ্যানসেন এবং লুঙ্গি এনগিদি। শার্দূল ছাড়াও দুই উইকেট নেন মহম্মদ শামি। একটি উইকেট শিকার করেছেন জসপ্রীত বুমরা।
প্ৰথম দিনের শেষে ভারত কিছুটা বিপাকেই ছিল। মাত্র ২০২ অলআউট হয়ে যাওয়ার পরে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসও বেগ দিচ্ছিল ভারতকে। সেঞ্চুরিয়নে ভারতীয় বোলিংয়ের ত্রাতা হিসাবে আবির্ভাব ঘটেছিল ত্রয়ী- সিরাজ, বুমরা, শামি। জো’বার্গে আবার ত্রয়ী নয়, শিরোনামে শার্দূল। অনবদ্য পারফরম্যান্স দেখিয়ে।
আরও পড়ুন: পন্থ কি প্রতারক! বিতর্কিত বাম্প ক্যাচ ধরে বিরাট অভিযোগে বিদ্ধ তারকা, দেখুন ভিডিও
দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতে ১ উইকেট হারানোর পরে ভাল টানছিলেন অধিনায়ক ডিন এলগার এবং কিগান পিটারসেন। দুজনে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৪ রান যোগ করে ভারতকে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে দিয়েছিলেন। সেই সময়ই ত্রাতা শার্দূলের আবির্ভাব। লাঞ্চের আগে মাত্র ৪.৫ ওভারের মধ্যে শার্দূলের শিকারের তালিকায় নাম লেখান পরপর- এলগার, পিটারসেন (৬২) এবং ভ্যান ডার ডুসেন। ৮৮/১ থেকে একঝটকায় প্রোটিয়াজরা ১০২/৪ হয়ে যায়।
ফার্স্ট সেশনে মাত্র ৮ রান খরচ করেই শার্দুল তুলে নেন তিন উইকেট। এরপরে তেম্বা বাভুমা (৫১) এবং কাইল ভেরাইন (২১) ফের একবার ভারতকে চাপে ফেলে দেন ৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে। সেই পার্টনারশিপও ভেঙে ভারতকে ম্যাচে তুলে আনেন শার্দূল। টি এর আগে মাত্র দুই ওভারের ব্যবধানে শার্দূলের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুই প্রোটিয়াজ তারকা। এরপরে এই থামানো যায়নি তারকাকে। টি ব্রেকের পর নিজের ৭ উইকেটের রেকর্ড গড়া কীর্তি করেই শেষমেশ থামেন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭ রানে পিছিয়ে ব্যাট করতে নেমে ভারত আপাতত ৮৫/২। লিড ৫৮ রানের। কেএল রাহুলের পরে আউট হয়ে গিয়েছেন অন্য ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালও (২৩)। ভারত ৪৪/২ হয়ে যাওয়ার পরে দলকে টানছেন পূজারা (৩৫) এবং রাহানে (১১)।
ভারতের প্ৰথম একাদশ:
কেএল রাহুল, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে, হনুমা বিহারি, ঋষভ পন্থ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, শার্দূল ঠাকুর, মহম্মদ সিরাজ, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন