দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্ৰথম টেস্টেই চালকের আসনে ভারত। আর ইন্ডিয়াকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিলেন ওপেনার কেএল রাহুল। দুরন্ত সেঞ্চুরি করে রাহুল মুগ্ধ করলেন ক্রিকেটপ্রেমীদের।
২১৮ বলে সেঞ্চুরি হাঁকালেন তারকা। রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে রাহুলকে ভাইস ক্যাপ্টেনসশিপের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বোর্ডের সেই আস্থার মর্যাদা রাখলেন তিনি। সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে রাহুল ১৬টি বাউন্ডারি, একটা ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কোহলিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে ভালই হয়েছে! বেফাঁস দাবিতে ফের তুলকালাম শাস্ত্রীর
ওপেনার হিসাবে সেঞ্চুরিয়নে বিরল কীর্তিও গড়ে ফেললেন তারকা। ওয়াসিম জাফরের পর দ্বিতীয় ভারতীয় ওপেনার হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে শতরান করলেন তিনি। ২০০৭-এ ওয়াসিম জাফর কেপ টাউনে ১১৬ করেছিলেন। মুরলি বিজয় (৯৭), গৌতম গম্ভীর (৯৩) এর কীর্তির কাছে পৌঁছেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি।
এর আগে কেএল রাহুল ২০১৮-তে নার্ভাস নাইনটিন-এর শিকার হয়েছিলেন। তিন বছর আগে রাহুল ৯০ করে ফিরে গিয়েছিলেন। তবে এবার আর সেই কীর্তি হাতছাড়া করলেন না। নজির গড়েই ফিরছেন প্যাভিলিয়নে।
আরও পড়ুন: কবে বাদ দেওয়া হবে পূজারাকে! ০ করতেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ক্রিকেট মহলের
সবমিলিয়ে কেএল রাহুলের নামের পাশে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের পরে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও টেস্ট শতরানের কীর্তি। যে কীর্তি রয়েছে আর মাত্র দু ওপেনারের- ক্রিস গেইল এবং পাকিস্তানের সাঈদ আনোয়ারের।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামার পরে ভারতকে দুরন্ত সূচনা উপহার দেন কেএল রাহুল এবং মায়াঙ্ক আগারওয়াল। দুজনে ওপেনিং পার্টনারশিপে ১১৭ তুলে যান। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এর আগে ওপেনিংয়ে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ হয়েছিল মাত্র দু-বার- ২০০৭-এ ওয়াসিম জাফর-দীনেশ কার্তিক (কেপটাউনে ১৫৩) এবং ২০১০-এ গৌতম গম্ভীর এবং শেওয়াগ (১৩৭ সেঞ্চুরিয়নে)।
ভারত দুই ওপেনারদের দুরন্ত ফিফটিতে ভর করে একসময় ১১৭/০ পৌঁছে গিয়েছিল। দ্বিতীয় সেশনেই মায়াঙ্ক নিজের টেস্ট কেরিয়ারের ষষ্ঠ হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে নিয়েছিলেন। এনগিদির বলে লেগ বিফোর হয়ে ফেরার আগে মায়াঙ্ক ৬০ করে যান। তারপরের বলেই এনগিদি ফেরান পূজারাকে। হ্যাটট্রিকের মুখে দাঁড়িয়ে অবশ্য কোহলিকে ফেরাতে পারেননি তিনি।
পিচ যথেষ্ট স্লো। এমন পিচে মায়াঙ্ক অনেক বেশি আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাঁকে যোগ্য সহায়তা করছিলেন কেএল রাহুল-ও। জুনের পরে প্ৰথম টেস্ট খেলতে নেমে প্রোটিয়াজ সিমাররা মোটেই সুবিধা করতে পারেননি।
মায়াঙ্ক আগারওয়াল এবং পূজারা পরপর দুবলে আউট হয়ে যাওয়ার পরে ভারত একসময় ১১৭/২ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে বিরাট কোহলির সঙ্গে ৮২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেন রাহুল।
কোহলি ৩৫ করে লুঙ্গি এনগিদির বলে ফেরার পরে রাহানে-রাহুল বাকি সময় কাটিয়ে দেন। ভারত দিনের শেষে ২৭২/৩। ব্যাট করছেন রাহুল (১২২) এবং অজিঙ্কা রাহানে (৪০)।
ভারতের প্ৰথম একাদশ:
মায়াঙ্ক আগারওয়াল, কেএল রাহুল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, ঋষভ পন্থ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, শার্দূল ঠাকুর, মহম্মদ সিরাজ, মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরা
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন